প্রাচীনকালে মুরুব্বিরা বলতেন, নিজের ঢোল একটু কম পেটাও বাবা, তা না হলে
তো ঢোল ফাটাইয়া ফালাবা। মোদ্দাকথা, নিজের ঢোল নিজে পেটাতে হয় না। এমনটাই
তারা মনে করতেন। তারা ঢোল পেটানোর দায়িত্ব অন্যকে দিতেন। কিন্তু এই
ডিজিটালকালে এসে মুরুব্বিদের থিওরি বাতিল হয়ে গেছে। এখন নিজের ঢোল নিজেকেই
পেটাতে হবে। কারণ আপনিই ভালো জানেন কিভাবে আপনার ঢোল পেটাতে হবে। কিভাবে
পেটালে ঢোল ভালো বাজবে। ফেটে যাবে না। কারণ অন্যকে পেটাতে দিলে তারা এমন
আস্তে পেটাবে যে, কেউ শুনতে পাবে না। অথবা ঢোল এমন জোরে পেটাবে, শেষে ঢোলই
ফেটে যাবে। সুতরাং নিজের ঢোল নিজেই পেটাও। এতে কোনো দোষ নেই। কেন দেখেছেন
না, আপনার চোখের সামনে যদু, মধু, কদু সমানে নিজের ঢোল পিটিয়ে যাচ্ছে। এতে
কিন্তু তাদের লাভ ছাড়া কোনো তি হচ্ছে না। তো চলুন এখন থেকে নিজের ঢোল
পেটাই। কিন্তু মুশকিল হলো, আপনি তো আর তাদের মতো না। এখনো শিখতে পারেননি,
কিভাবে ঢোল পেটাতে হয়। আপনাকে জলে না ফেলে আমরা এখন আপনাকে কিছু ঢোল
পেটানোর অনুগল্পের নতুনসহ কিছু কলাকৌশল হাতে-কলমে শিখিয়ে দেবো।
উদাহরণ হিসেবে আমার কথাই বলতে পারি, আমি নিজেকে অতি উচ্চশ্রেণীর লেখক, থুক্কু লেখক মনে করি। ইতোমধ্যে দেশের নামকরা পত্রিকা-ম্যাগাজিনের আমার শত শত কৌতুক ছাপা হয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন রসেভরা ছড়া-কবিতা নিত্যদিন বিভিন্ন জায়গায় ছাপা হচ্ছে। আজকেও তো কুম্ভকর্ণ ম্যাগাজিনে আমার প্রচণ্ড হাসির একটা কৌতুক ছাপা হয়েছে। এই সুসংবাদ আমি রাত ১২টা থেকেই সবাইকে মোবাইল করে জানিয়ে দিয়েছি। আমার অনেক ভক্ত আছে, তারাও আমার ছাপা হওয়া কৌতুক পড়ে আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। সুতরাং আপনি যদি লেখক শ্রেণীর কেউ হন, সে েেত্র মেরে ভাইয়া, ওই পদ্ধতি কাজে লাগাতে উঠেপড়ে লাগেন।
আধুনিক পদ্ধতির সাহায্য নিতে পারেন। ইন্টানেট দুনিয়ায় প্রবেশ করতে হবে। নিজের একটা ব্লগ ওপেন করার পাশাপাশি, অন্যদের ব্লগে গিয়েও ভিড় জমাতে হবে। তারপর সবাই মিলে গলা ফাটিয়ে ফেলবেন, মানে কার্যক্রম শুরু করবেন আর কী! ব্লগের পাশাপাশি ফেসবুকেও জয়েন করতে পারেন। সেখানে নিজেকে মেলে ধরার অফুরন্ত সুযোগ পাবেন। এতে দোষের কিছু নেই। এই পদ্ধতি লেখক-কবি শ্রেণীর জন্য বিশেষ ফলদায়ক।
যদি প্রেমিক হন। প্রেমিকাকে নিজের সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করতে অনেক চেষ্টা-তদবির করেও মনপ্রিয়ার মন পাচ্ছেন না। তো আপনাকে আপনার কিছু শুভাকাক্সী (ছেলেমেয়ে উভয় লাগবে) সৃষ্টি করতে হবে। তারা আপনার সম্পর্কে জনে জনে বিভিন্ন গালগল্প বলে বেড়াবে। বিশেষ করে মেয়ে বন্ধু আপনার প্রেমিকার কাছে গিয়ে যাতে আপনাকে ধোয়া তুলসিপাতা হিসেবে প্রচার করতে পারে সে দিকে বেশি দৃষ্টি দিবেন। কিছু দিন পরেই দেখবেন, আপনার উদ্দেশ্য সফল হয়েছে।
আপনি আপনার অফিসে বস ও কলিগদের কাছে নিজের ব্যাপারে কোনো পাত্তা পাচ্ছেন না। বসও আপনাকে গণনায়ই ধরে না। মোট কথা আপনি কোনো কাজের না বলেই তারা মনে করে। আপনিও যে অনেক কাজ করে তা তারা জানে না। সুতরাং আপনি দাদার (দাদাকে আপনারা চিনবেন না) পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। দাদার মতো করে, আপনিও সবসময় বসের সামনে দাঁত কেলিয়ে নিজের প্রতিদিনের কাজের বিবরণ দিতে থাকুন। প্রতিদিন একটি কাজ নিয়েই বসে থাকুন। যদি কেউ অন্য কোনো কাজের কথা বলে, তখন বলুন, আপনার হাতে কোনো সময় নেই। আপনার কাজের অনেক প্রেসার। দেখবেন, কেউ আপনাকে আর ঘাটবে না। উল্টো তারাই বলতে থাকবেÑ হ্যাঁ, তাই তো, উনার হাতে অনেক কাজ; উনাকে বিরক্ত করা যাবে না।
নিজের ঢোল পেটানোর আরো অনেক গল্প আছে এবং আরো আছে কিছু কলাকৌশল। কিন্তু আজ সব বলা যাবে না। আগামীর জন্য অপো করতে হবে। তত দিন নিজেই চেষ্টা করুন।
উদাহরণ হিসেবে আমার কথাই বলতে পারি, আমি নিজেকে অতি উচ্চশ্রেণীর লেখক, থুক্কু লেখক মনে করি। ইতোমধ্যে দেশের নামকরা পত্রিকা-ম্যাগাজিনের আমার শত শত কৌতুক ছাপা হয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন রসেভরা ছড়া-কবিতা নিত্যদিন বিভিন্ন জায়গায় ছাপা হচ্ছে। আজকেও তো কুম্ভকর্ণ ম্যাগাজিনে আমার প্রচণ্ড হাসির একটা কৌতুক ছাপা হয়েছে। এই সুসংবাদ আমি রাত ১২টা থেকেই সবাইকে মোবাইল করে জানিয়ে দিয়েছি। আমার অনেক ভক্ত আছে, তারাও আমার ছাপা হওয়া কৌতুক পড়ে আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। সুতরাং আপনি যদি লেখক শ্রেণীর কেউ হন, সে েেত্র মেরে ভাইয়া, ওই পদ্ধতি কাজে লাগাতে উঠেপড়ে লাগেন।
আধুনিক পদ্ধতির সাহায্য নিতে পারেন। ইন্টানেট দুনিয়ায় প্রবেশ করতে হবে। নিজের একটা ব্লগ ওপেন করার পাশাপাশি, অন্যদের ব্লগে গিয়েও ভিড় জমাতে হবে। তারপর সবাই মিলে গলা ফাটিয়ে ফেলবেন, মানে কার্যক্রম শুরু করবেন আর কী! ব্লগের পাশাপাশি ফেসবুকেও জয়েন করতে পারেন। সেখানে নিজেকে মেলে ধরার অফুরন্ত সুযোগ পাবেন। এতে দোষের কিছু নেই। এই পদ্ধতি লেখক-কবি শ্রেণীর জন্য বিশেষ ফলদায়ক।
যদি প্রেমিক হন। প্রেমিকাকে নিজের সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করতে অনেক চেষ্টা-তদবির করেও মনপ্রিয়ার মন পাচ্ছেন না। তো আপনাকে আপনার কিছু শুভাকাক্সী (ছেলেমেয়ে উভয় লাগবে) সৃষ্টি করতে হবে। তারা আপনার সম্পর্কে জনে জনে বিভিন্ন গালগল্প বলে বেড়াবে। বিশেষ করে মেয়ে বন্ধু আপনার প্রেমিকার কাছে গিয়ে যাতে আপনাকে ধোয়া তুলসিপাতা হিসেবে প্রচার করতে পারে সে দিকে বেশি দৃষ্টি দিবেন। কিছু দিন পরেই দেখবেন, আপনার উদ্দেশ্য সফল হয়েছে।
আপনি আপনার অফিসে বস ও কলিগদের কাছে নিজের ব্যাপারে কোনো পাত্তা পাচ্ছেন না। বসও আপনাকে গণনায়ই ধরে না। মোট কথা আপনি কোনো কাজের না বলেই তারা মনে করে। আপনিও যে অনেক কাজ করে তা তারা জানে না। সুতরাং আপনি দাদার (দাদাকে আপনারা চিনবেন না) পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। দাদার মতো করে, আপনিও সবসময় বসের সামনে দাঁত কেলিয়ে নিজের প্রতিদিনের কাজের বিবরণ দিতে থাকুন। প্রতিদিন একটি কাজ নিয়েই বসে থাকুন। যদি কেউ অন্য কোনো কাজের কথা বলে, তখন বলুন, আপনার হাতে কোনো সময় নেই। আপনার কাজের অনেক প্রেসার। দেখবেন, কেউ আপনাকে আর ঘাটবে না। উল্টো তারাই বলতে থাকবেÑ হ্যাঁ, তাই তো, উনার হাতে অনেক কাজ; উনাকে বিরক্ত করা যাবে না।
নিজের ঢোল পেটানোর আরো অনেক গল্প আছে এবং আরো আছে কিছু কলাকৌশল। কিন্তু আজ সব বলা যাবে না। আগামীর জন্য অপো করতে হবে। তত দিন নিজেই চেষ্টা করুন।
I'm glad to visit your blog! Try to visit ours, it only takes a minute to check this link.
ReplyDeleteMarriage bureau in Bangladesh