Tuesday, 21 May 2013

স্বাস্থ্য ও মানবদেহ

খাটো দৃষ্টি দূরীকরনে বহির্মূখী কর্মকান্ড ও অবস্থান
মানব দেহের সবচেয়ে স্পর্শকাতর একটি অংশ চোখ। বিভিন্ন সময় চোখের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা যায়। চোখের দৃষ্টি জনিত সমস্যা প্রধানত ৪ ধরনের। এই ত্রুটি গুলো হলোঃ ক্ষীন দৃষ্টি ত্রুটি, দূর দৃষ্টি ত্রুটি, বার্ধক্য দৃষ্টি ত্রুটি, বিষম দৃষ্টি ত্রুটি। এর মাঝে প্রথম ২ ধরনের সমস্যাই প্রধান এবং এই সমস্যা গুলোরই বেশি মূখোমূখী হয়ে থাকি। আজকে আমরা যে সমস্যা নিয়ে আলোকপাত করবো সেটা হল ক্ষীন দৃষ্টি ত্রুটি ।

ক্ষীন দৃষ্টি ত্রুটিঃ
এ সমস্যার কারনে ব্যাক্তি চোখের কাছে বস্তু গুলো ঠিক দেখতে পায় কিন্তু দূরবর্তী বস্তু দেখতে পায় না বা অষ্পষ্ট দেখে। এই ত্রুটিকে মাইয়োপিয়া বা ক্ষীন দৃষ্টি বলে। শিশুদের বা কম বয়সীদের এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।
সমাধান/প্রতিকারঃ
বাইরে খেলাধুলা করা ছোট ছেলে মেয়েদের একটা উত্তম বিনোদনের একটি। এবং পরিসংখ্যান বলছে বাইরে সময় কাটানো চোখের জন্য উপকারী। কারন সৌর রশ্মি এই মাইয়োপিয়া রোধে বেশ কার্যকর। তাই জরিপ পরামর্শ দেয় যে ঘরের বাইরে যত টুকু সময় দেওওয়া যায় সেটাই উত্তম। তবে এক্ষেত্রে শিশুদের জন্য দৈনিক ১ থেকে দেড়ঘন্টা করে সপ্তাহে কমপক্ষে ১০-১৪ ঘন্টা বাইরে খেলাধুলায় সময় দেওয়া উচিত।
মাইয়োপিয়া বা ক্ষীনদৃষ্টির এই জটিল অসুখ পরিবেশ কিংবা জেনেটিক (বংশিয়) অথবা উভয় কারনেই হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে সৌর আলো এক্ষেত্রে চশমা ব্যবহার যাদুর মত রুখবে তা বলা যায়না। তবে এই সৌর আলকের পরামর্শ এক দিক দিয়ে ভালোই হল আপনার ও আপনার শিশুর জন্য, খেলা দুলা বাড়বে শরীর ও ফ্রেশ ও প্রানোচ্ছল থাকবে এটাই বা কম কি ?


খালি পায়ে হাটা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী

খালি পায়ে হাটা ও দৌড়ানো অনেক ক্ষেত্রেই জুতা পরে হাটার চেয়ে বেশি উপকারী। পায়ের বেশ কিছু রোগের জন্য আমেরিকার বিশেষজ্ঞ দল জুতা পরে হাটাকেই দায়ী করেছেন। হার্ভাট বিশ্ববিদ্যালয়ের ইরানী ডেভিস মূলতঃ মানুষের চলাফেরা এবং এর উপরে বর্তমান সময়ের জুতাগুলো স্বাস্থ্যসম্মত কিনা তা গবেষণা করছেন।
pavement pounders prone সহ বেশ কিছু রোগের জন্য নিয়মিত জুতা পরে দৌড়ানোকেই দায়ী করেছেন- চিকিৎসকগণ।
barefoot-415x539
তিনি জানান,
“যখন আপনি হিলওয়ালা জুতা পরে দ্রুত দৌড়ান তখন পায়ের একটি অংশে শরীরের সম্পূর্ণ ভর দেওয়া হয়, এবং অন্য অংশে কোন চাপ পরে না। এবং যদি খালি পায়ে হাটা হয় তখন সম্পূর্ণ পায়ে-ই একটা ভারসাম্য বজায় থাকে। “
এই বেপারে পর্যবেক্ষণের জন্য কেনিয়ার রানারদের উপরে পরীক্ষা চালানো হয়। তাদেরকের জুতা পরে  নিয়মিত দৌড়ানোর পরে খালি পায়ে দৌড়াতে দিলে তাদের পায়ে একটি ব্যথা অনুভব হয়। জুতা পরে দৌড়ালে চলাফেরার জন্য আলাদা একটি প্যাটার্ণ তৈরী হয়। মাংশপেশীগুলোও সেই ভাবে সংকুচিত এবং প্রসারিত হয়। কিন্তু খালি পায়ে হাটলে সেই মাংশপেশীতে আবার টান পরে এবং তাই ব্যথা অনুভব হয়।
এজন্য অবশ্য এমন ধরনের জুতা বানানো যেতে পারে যার মাধ্যমে পায়ের স্বাভাবিকতা বজায় থাকবে এবং পায়ের সাধারন চরাফেরায় ব্যঘাত হবে না।



ভালবাসার বিপদঃ ব্রোকেন হার্ট সিনড্রোম

বর্তমানে “হৃদয় জোড়া লাগা” ঘটনার প্রবল জোয়াড় চললেও “হৃদয় ভাঙা” ঘটনার স্বাভাবিক স্রোতটুকুও দেখা যায় না। এর কারণ হয়ত সত্যিকারের ভালবাসার ঘটনা আজকাল আর তেমন ঘটে না বলেই। তবে একদমই যে ঘটে না তাও না। আজও অনেকে সত্যিকারের ভালবাসার ফাঁদে পরেন এবং এর কারণে অনেকেরই হৃদয় ভেঙে চুরমার হয়ে যায়, যার কারণে তারা ভুগতে শুরু করেন ভাঙা হৃদয় সিনড্রোম বা Broken heart syndrom থেকে ।
broken_heart_by_starry_eyedkid-1এরই মধ্যেই অনেকে নিশ্চয় ধরে ফেলেছেন যে এটি  প্রেমঘটিত (সাধারণত) এরং হৃদয়ঘটিত এক ধরণের Medical Condition যার সংজ্ঞা অনেকটা এরকম -
“Broken Heart Syndrome হল এমন এক ধরণের Medical Condition, যেখানে আকস্মিক মানসিকভাবে চরম আঘাত পাওয়ার কারণে হৃদপিন্ডের  মাংসপেশী myocardium  সাময়িকভাবে দূর্বল হয়ে পরে এরং এর কারণে  শারিরীকভাবে বুকে  ব্যাথা অনুভূত হয়।”
আরও ভাল করে বলা যায় -
“Broken Heart Syndrome is such an Medical Condition which is triggered by extreme and sudden emotional trauma  and due to which there is a temporary weakening of the myocardium (the muscle of the heart).”
এবার একটু details এ আসা যাক।
পূর্বে ধারণা করা হত যারা Broken Heart Syndrome বা BHS এ ভুগে, তারা হয়ত বড় রকমের হার্ট এ্যটাকের (Heart Attack) স্বীকার হচ্ছে। কারণ  BHS এমনই চালাক যে এটা ঠিক Heart Attack  এর  symptoms বা লক্ষণগুলোর মত লক্ষণ প্রকাশ করে থাকে, যেমন – বুকে ব্যাথা হওয়া, শ্বাস-প্রশ্বাসে স্বল্পতা, প্রবলভাবে ঘেমে যাওয়া ইত্যাদি। পরবর্তীতে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ডাক্তারেরা নিশ্চিত হন যে এটা কোন হার্ট এ্যটাকের নয়,  হার্ট এ্যটাকের এর ভেলকি মাত্র। শুদ্ধ বাংলায় এটাকে হয়ত  মজা করে আমরা ”হৃদয়ের লীলা খেলা” বলতে পারি ।
Broken Heart Syndrome (BHS) আরও বিভিন্ন নামে পরিচিত,  যেমন – Takotsubo cardiomyopathy , Gebrochenes-Herz-Syndrom ইত্যাদি তবে stress cardiomyopathy নামটি বেশি প্রযোজ্য।
BHS প্রথম আবিষ্কার করেন জাপানী ডাক্তারেরা ১৯৯১ সালে। তারাই  এটার নাম দিয়েছিলেন Takotsubo cardiomyopathy বা octopus trap cardiomyopathy ।  যদিও এখন পর্যন্ত এর সঠিক কারণটি জানা যায়নি, তবে ধারণা করা হয়  আকস্মিক মানসিকভাবে চরম আঘাত পাওয়ার কারণে, শরীরের stress hormones-গুলোর (যেমন – adrenaline ) অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ায় এমনটি হয়। এখানে  মানসিকভাবে আঘাত পাওয়া বলতে প্রেমিক-প্রেমিকার সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়া, প্রিয় কাউকে হারিয়ে ফেলা ইত্যাদি ঘটনায় মানসিকভাবে আঘাত পাওয়াকেই সাধারণত বুঝিয়ে থাকে। এছাড়া ভয়াবহ কোন দু:সংবাদ শুনেও এমন হতে পারে।
যাই হোক সুসংবাদ হল যে BHS নকল হার্ট এ্যটাকের মাত্র এবং এটা থেকে ১০০% ভাগ সুস্থ হওয়া সম্ভব ।
পরিশেষে এটাই বলব যে Broken Heart Syndrome এর ভয়ে ভালবাসা থেকে দূরে থাকা হবে চূড়ান্ত রকমের বোকামি কারণ -
“Life is the flower of which love is the honey. ”
–Jean Baptiste Alphonse Karr
পুনশ্চ: পুরুষদের তুলনায় নারীরা Broken Heart Syndrome -এ বেশি ভোগে ( নারীরা একটু বেশিই ইমোশোনাল কিনা!  No offence! )।


আপনি জানেন কীঃ ক্যালসিয়াম ওজন কমায়!

 আমি শুনেছি জ্ঞান কখনো বৃথা যায় না। আর এটা এমন না যে ছোটরা বড়দের চেয়ে সবদিক থেকে কম জানে।

ক্যালসিয়াম এমন একটা মিনারেল যা শরীরের চর্বি কমিয়ে ওজনটাকেও কমিয়ে দেয়। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছে পারাভিউ ইউনিভার্সিটির গবেষকগণ। বেশ কিছু সংখ্যক মহিলাদের নিয়ে এ পরীক্ষাটি চালানো হয়েছে। গবেষকগণ তাদেরকে বেশি বেশি করে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধি খাবার খাইয়েছেন। অপর আরেকদল মহিলাদেরকে গবেষকগণ স্বাভাবিক খাবার খাইয়েছেন। দেখা গেছে যারা বেশি করে ক্যালসিয়াম খেয়েছেন তাদের ওজন কমেছে বাকিদের তুলনায়।
এদিকে ক্যালসিয়াম কিভাবে ওজন কমায় তা নিয়ে বিজ্ঞানী-গবেষকগণ একটা নতুন তথ্যও দাঁড় করিয়েছেন। তাদের ভাষ্যমতে ক্যালসিয়ামের অভাব হলে রক্তে প্যারাথাইয়েড হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এটি একই সাথে রক্তে এ্যাকটিভ ভিটামিন-ডি এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এই প্যারাথাইয়েড হরমোন এবং ভিটামিন ডি ফ্যাট সেলগুলোতে ক্যালসিয়ামের অনুপ্রবেশ ঘটায় এবং ফ্যাটসেল গুলোতে আরো ফ্যাট জমা হতে সাহায্য করে। ফলে শরীরে ফ্যাট জমে ওজন বেড়ে যায়।
অপরদিকে রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বেশি থাকলে এই দৃশ্যপট বদলে যায়। ফলে ফ্যাট ভাঙ্গতে শুরু করে আর ফ্যাটের স্টোরও কমে যায়। ফলে ওজনও কমে যায়।
সুতরাং ওজন কমাতে হলে এখন থেকেই বেশি বেশি করে ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খাওয়া শুরু করুন। থাকুন ফ্যাট ফ্রী, উড়ে বেড়ান মুক্ত বাতাসে :)



কোমল পানীয় পান করার ক্ষতিসমূহ এবং যা করা উচিত

 কোমল পানীয় পছন্দ করেন এমন কয় জন আছেন? হাত তোলেন! ;) দেখবেন ১০ জনের মধ্যে ৮ জনই হাত তুলবে। হ্যা এটাই স্বাভাবিক। বাজারে হাতের নাগালেই পেয়ে যাবেন নাম জানা – অজানা নানান কোমল পানীয় অর্থাৎ যাকে আমরা আদর করে ডাকি এনার্জি ড্রিকংস। আমরা অনেকেই জানি না যে এই সব এনার্জি ড্রিকংস গুলোতে আসলে কি থাকে। তবে খেতে অবশ্য বেশ মজা পাই। কারণ কোমল পানীয় গুলো আসলে খেতে ভারি মজাদার। কিন্তু প্রশ্ন হলো, নাম কোমল পানীয় হলেও তা কি সত্যি আমাদের দেহের জন্য কোমলীয়? নাহ একদম না। কোমল পানীয় আমাদের দেহের জন্য মারাত্তক ক্ষতি কর। মুলত কোমল পানিতে আছে ফসফরিক এসিড, ক্যাফেইন, সুগার, কার্বন ডাই অক্সাইড, অ্যালুমিনিয়াম ইত্যাদি। যা মুলত আমাদের দেহের ক্ষতি করার পাশা পাশি কোলেস্ট্রল মানে অতিরিক্ত মেদ বাড়িয়ে দেয়। সহজ কথায় আমাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে। যাই হোক আজ আমি আপনাদের সামনে এই কোমল পানীয়র কিছু বিশেষ ক্ষতিকর বিষয়গুলো তুলে ধরবো।

ক্ষতিকর দিক সমূহঃ

  • দুধ, ভিটামিন ডি, বি৬, বি১২, ক্যালসিয়ামের শোষণ হ্রাস পায়। যার ফলে হাড়ের ঘনত্ব কমে।
  • দাঁতের এনামেল নষ্ট হয়। ক্যাবিজের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
  • দেহে কোলেস্ট্রল বৃদ্ধি করে মানে শরীরের ওজন বাড়ায়। ক্ষুদা মন্দা সৃষ্টি করে এবং অতিরিক্ত পানে তা বৃদ্ধি পেতে থাকে।
  • কোমল পানীয় অ্যাসিডিক, তাই অ্যাসিডিটি বাড়ায়।
  • কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • চামড়ায় ভাঁজের সৃষ্টি হয়। ফলে চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে।

যা করা উচিতঃ

  • যতদুর সম্ভব কোমল পানীয় পান করা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।
  • যদি পান করা থেকে বিরত না থাকতে পারেন তাহলে নিয়মিত নয়, মাঝে মাঝে (২০০-২৫০ মিলি) পান করতে পারেন।
  • খালি পেটে কখনোই পান করবেন না।
  • ক্ষার জাতীয় খাবার খাওয়ার পর পান করুন।
  • কোমল পানীয় পান করার সময় স্ট্র ব্যবহার করুন।
  • পান করার পর ব্রাস করে নিতে ভুলবেন না যেন

 

ব্যায়ামের জানা-অজানা উপকারীতা

আমরা সবাই বলি ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করা উপকারী। কিন্তু কতটুকু উপকারী, তা অনেকেই জানি না। নিয়মিত ব্যায়াম করলে নানা রকম দীর্ঘ মেয়াদী রোগব্যাধি থেকে মুক্ত থাকা যায়, ওজন কমানো যায়, ভালো ঘুম হয় আর মানসিক প্রশান্তি আসে।

নিচে ব্যায়াম করার বেশ কিছু উপকারীতা আপনাদের সাথে শেয়ার করলামঃ

ব্যায়াম মনকে চাঙ্গা করেঃ

ব্যায়াম করলে মস্তিস্ক থেকে নানা রকম রাসয়নিক পদার্থ নির্গত হয়। এসব রাসায়নিক উপাদান চিত্ত প্রফুল্ল করে এবং শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তির পাশাপাশি চেহারায় লাবণ্য ও ওজ্জ্বল্য বাড়ায়। যিনি নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাকে বিষন্নতা কিংবা হতাশা সহজে হ্রাস করতে পারে না।

রোগ প্রতিরোধ করেঃ

আধুনিক জীবনে শারীরিক পরিশ্রমের পরিমান কমে গিয়েছে, অর্থাৎ হাটাহাটির প্রয়োজন হয় না বললেই চলে আর আমাদের খাদ্যাভ্যাসও বদলে গিয়েছে। ফলে দিনে দিনে ক্রনিক রোগ ব্যাধি যেমনঃ হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, অস্থিক্ষয়, ক্যানসার ইত্যাদি প্রকোপ বহুগুণে বেড়েছে। নিয়মিত ব্যায়াম এগুলো প্রতিরোধ করে।

শরীরের বাড়তি ওজন কমায়ঃ

বাড়তি ওজন কমাতে ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই। শারীরিক চর্চা করলে ক্যালরি খরচ হয়। এভাবে আমরা যতই ব্যায়াম করবো ততই আমাদের ক্যালরী খরচ হবে এবং যার ফলে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রনে থাকবে।

কর্মস্পৃহা বাড়ায়ঃ

ব্যায়ামের ফলে আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষে অতিরিক্ত অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবারাহ হয়। এর ফলে আমাদের হৃদযন্ত্র ও রক্তলালি সচল থাকে। এর ফলে সমস্ত শরীরে একটি সুস্থ প্রাণস্পন্দন ও উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। এটা আমাদের কর্মস্পৃহা বাড়ায়।

সুনিন্দ্রা আনেঃ

যাদের ঘুমের সমস্যা আছে তাদের জন্য ব্যায়াম অত্যান্ত উপকারী। ব্যায়াম অনিন্দ্র দুর করে, অতি নিদ্রা হ্রাস করে। অবশ্য একেবারে ঘুমানোর আগে ব্যায়াম করা উচিত নয়। কারণ ব্যায়ামের পরে মানসিক চাঙা ভাবের কারণে ঘুম আসা বিলম্বিত হতে পারে।

যৌন জীবনের জন্য উপকারীঃ

যাদের যৌনজীবনে জড়তা কিংবা অনাগ্রহ এসেছে, তাদের জন্য ব্যায়াম অত্যান্ত উপকারী। নিয়মিত ব্যায়াম করলে যৌনস্পৃহা বাড়ে, যৌন মিলনের স্থায়ীত্বকাল বৃদ্ধি পায় এবং দাম্পত্য জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে।

ব্যায়ামের বিকল্পঃ

যদি আপনি নিয়মিত ব্যায়াম করার সময় না পান তাহলে নিয়মিত সালাত আদায় করুন। কারণ আমার জানা মতে, ব্যায়াম থেকে যে সব উপকারীতা পাওয়া যায় তার থেকে বেশী উপকারীতা পাওয়া যায় নিয়মিত সালাত আদায় করলে। আর তাছাড়া প্রত্যেক মুসলাম নর-নারীর উপর সালাত ফরজ।
সুতরাং বুঝায়ই যাচ্ছে যে সুস্থ দেহ ও মনের বিকাশের জন্য নিয়মিত ব্যায়াম কতখানি গুরুত্বপূর্ণ। তাই আসুন নিয়মিত সালাত আদায় করি এবং ব্যায়াম করি।

No comments:

Post a Comment