বাসায় কে কে আছেন
প্রেমিক-প্রেমিকার কথোপকথন—প্রেমিক: আমি মনে হয় তোমাকে বিয়েটা করতে পারব না।
প্রেমিকা: এত দিন পর এ কথা বলছ কেন? কেন, কী হয়েছে বলো তো শুনি?
প্রেমিক: না, তেমন কিছু না। আমার বাসা থেকে নিষেধ আছে।
প্রেমিকা: তা তোমার বাসায় কে কে আছেন?
প্রেমিক: বেশি না। আমার এক স্ত্রী আর তিন সন্তান।
গবেটের সঙ্গে জীবন কাটাবে
মেয়ের প্রেমিকের উদ্দেশ্যে বাবা বললেন, আমার মেয়ে একটা গবেটের সঙ্গে তার জীবনটা কাটাবে এ আমি কিছুতেই হতে দিতে পারি না।প্রেমিক বলল, সে জন্যই তো ওকে আপনার বাড়ি থেকে তাড়াতাড়ি আমার বাড়ি নিয়ে যেতে চাই।
কাফনের খরচ
: বাবাকে বল নি, আমাকে না পেলে তুমি বাঁচবে না।: বলেছিলাম।
: কী বলেছেন বাবা?
: বলেছেন- ‘চিন্তা করো না, কাফনের খরচ দিয়ে দেব’।
আলাদা বিল
প্রেমিক – প্রেমিকা হোটেলে বসে খাচ্ছে। প্রচুর খাবারের অর্ডার দেওয়া হয়েছে।প্রেমিক : তা হলে তুমি আমাকে বিয়ে করবে না বলে ঠিক করেছ?
প্রেমিকা : হ্যাঁ, আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারব না।
প্রেমিক : এই বেয়ারা, আমাদের দু’জনের দুটো আলাদা বিল নিয়ে এস।
নারী বনাম পুরুষ
হাতের লেখাপুরুষ : লেখা কোনো রকমে পড়া গেলেই হলো। কাকের ঠ্যাং-বকের ঠ্যাং কী হচ্ছে তা নিয়ে মোটেও মাথা ঘামায় না।
নারী : লেখা হতে হবে মুক্তোর মতো ঝরঝরে।
কেনাকাটা
নারী : প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের লিস্ট বানিয়ে বাজারে গিয়ে সেগুলো কিনে আনে।
পুরুষ : যতক্ষণ না বাড়ির চাল-ডাল সব শেষ বলে বউ চেঁচাতে শুরু করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত বাজারে যেতে চায় না। বাজারে গিয়ে যা পছন্দ হয় তা-ই কিনতে চায়। কখনো কখনো দাম দিতে গিয়ে দেখে, সে মানিব্যাগ আনতে ভুলে গেছে।
মিতব্যয়িতা
নারী : এক টাকা দামের জিনিসের জন্য কখনোই দুই টাকা খরচ করবে না। তা সে যত পছন্দসই হোক না কেন।
পুরুষ : যা পছন্দ হবে তা কিনতেই হবে। জিতে কিংবা ঠকে যেভাবেই হোক।
তর্ক
নারী : তর্কাতর্কির শেষ কথাটি হবে নারীর।
পুরুষ : নারীর পর পুরুষের কথা বলা মানে নতুন তর্কের শুরু।
প্রেম
পুরুষ: প্রতিটি পুরুষই চায় কোনো নারীর প্রথম প্রেম হতে।
নারী: নারীরা চায় তারা তাদের ভালোবাসার পুরুষটির শেষ প্রেম হোক।
ব্রেকআপ
নারী : সম্পর্ক ভেঙে গেলে কাছের কোনো বান্ধবীকে জড়িয়ে হাপুস নয়নে কাঁদতে থাকে। কিংবা ‘পুরুষ বড় নির্বোধ’ জাতীয় কবিতা লেখা শুরু করে এবং নতুনভাবে জীবনটা শুরু করার চেষ্টা করে।
পুরুষ : ব্রেকআপ হওয়ার ছয় মাস পরও সাবেক প্রেমিকাকে রাতবিরেতে ফোন করে ‘ডাইনি, তুই আমার জীবনটা শেষ করে দিলি’—এ জাতীয় ডায়ালগ ঝাড়তে থাকে।
বিয়ে
নারী : মনে করে বিয়ের পর হাজব্যান্ড বদলে যাবে, কিন্তু তা হয় না।
পুরুষ : মনে করে প্রেমিকা স্ত্রী হওয়ার পরও একই রকম থাকবে। কিন্তু স্ত্রী বদলে যায়।
স্মৃতি
নারী : যে পুরুষটি তাকে বিয়ে করতে চায় তাকে সারা জীবন মনে রাখে।
পুরুষ : সেসব নারীকে মনে রাখে যাদের সে বিয়ে করেনি।
বাথরুম
পুুরুষ : সাধারণত ছয়টি জিনিস থাকে। সাবান, সেভিং ক্রিম, রেজর, টুথব্রাশ, আর তোয়ালে (ক্ষেত্রবিশেষে কোনো হোটেল থেকে চুরি করা)।
নারী : সাবান, টুথব্রাশ, টুথপেস্ট তো আছেই সেই সঙ্গে শ্যাম্পু, চিরুনি, লিপস্টিক….আরও কত কী! বেশির ভাগ জিনিস পুরুষেরা চিনবেই না।
জুতো
নারী : গরমের দিনে অফিস ডেস্কের নিচে পা ঢুকিয়ে জুতো খুলে রাখে।
পুরুষ : সারা দিন এক জুতা-মোজাই পায়ে দিয়ে রাখে।
পশু-পাখি
নারী : পশু-পাখি ভালোবাসে।
পুরুষ : পশু-পাখিকে কষ্ট দিতে ভালোবাসে।
সন্তান
নারী : নারীরা তাদের সন্তানদের পুরোপুরি চেনে। তাদের সুখ, দুঃখ, স্বপ্ন, বন্ধু, গোপন ভয় এমনকি গোপন প্রেম সম্পর্কেও তারা জানে।
পুরুষ : নিজের বাড়িতে মোট কয়জন মানুষ আছে তা-ও সব সময় মনে রাখতে পারে না।
অলংকার
নারী : যেকোনো ধরনের অলংকার পরলেই নারীদের সুন্দর দেখায়।
পুরুষ : বড়জোর একটা আংটি কিংবা ব্রেসলেট। এর চেয়ে বেশি কিছু পরলেই লোকে মন্দ বলতে শুরু করে।
বন্ধু
নারী : বান্ধবীরা মিলে আড্ডা দিতে গেলে নিজেদের সুখ-দুঃখের আলাপেই ব্যস্ত থাকে।
পুরুষ : পুরুষদের আড্ডায় ‘দোস্ত তোর লাইটারটা দে তো’ জাতীয় কথাবার্তাই বেশি শোনা যায়।
বাইরে খাওয়া
নারী : ভাগাভাগি করে বিল দেয়।
পুরুষ : সবাই চায় অন্যের ওপর বিল চাপিয়ে দিতে। কারও কাছেই ভাংতি থাকে না।
কাপড় ধোয়া
নারী : প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত কাপড় কাচে।
পুরুষ : চিমটি কাটলে ময়লা বের না হওয়া পর্যন্ত কাপড়ে সাবান ছোঁয়ায় না।
জুতা নিয়েই এসো
ছেলে ও মেয়ের মধ্যে কথা হচ্ছে—ছেলে: ওগো, তুমি আমার হূদয়ের মাঝে চলে এসো।
মেয়ে: জুতা খুলে আসব?
ছেলে: আরে বুদ্ধু, এটা তোমার মায়ের পরিষ্কার করা ঘর নয়। জুতা নিয়েই এসো।
ডিম পেড়ে দেখাও
মোরগ: এই শোনো!মুরগি: আমাকে বলছেন?
মোরগ: হ্যাঁ, আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি। তোমার জন্য আমি সবকিছু করতে পারি।
মুরগি: সত্যি! তুমি আমার জন্য সবকিছু করতে পার? তাহলে কষ্ট করে একটা ডিম পেড়ে দেখাও না!
শুধুই তোমাকে
একজন লাস্যময়ী তরুনী কার্ডের দোকানে গিয়ে প্রেমিককে দেওয়ার মতো সবচেয়ে সুন্দর কার্ডটি দেখতে চাইল। দোকানি একটি কার্ড বের করে আনল। তাতে লেখা, ‘আমি ভালবাসি তোমাকে …শুধুই তোমাকে।মেয়েটির কার্ড দেখে খুব পছন্দ হল, সে দোকানিকে এক ডজন কার্ড দিতে বলল।
খরচটা সার্থক
প্রেমিক : জান, এই যে অন্ধকার ট্যানেলটা আমরা এইমাত্র পার হয়ে এলাম, এটা দুই মাইল লম্বা আর এটা তৈরি করতে খরচ পড়েছে প্রায় দশ কোটি টাকা।প্রেমিকা ( অবিন্যস্ত পোশাক ঠিক করেত করতে)
: হুঁ ! খরচটা সার্থক হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
তোমার জন্য এ্যাম্বুলেন্স
রেস্টুরেন্টে প্রেমিক-প্রেমিকাপ্রেমিক : কী খাবে?
প্রেমিকা : আমার জন্য এক কাপ চা হলেই চলবে তোমার জন্য এ্যাম্বুলেন্স।
প্রেমিক : মানে?
প্রেমিকা : মানে ঐ দেখ আমার স্বামী ঢুকছেন-
কিন্তু দেখা গেল স্বামীর পিছন পিছন ঢুকছে আরেক তরুনী। এবার প্রেমিকা (মানে ঐ স্বামীর প্রকৃত স্ত্রী) মূর্ছা গেলেন। প্রেমিকের জন্য আনা এ্যাম্বুলেন্সে করে প্রেমিকাকে নিয়ে ছুটতে হল হসপিটালে।
পুরোনো প্রেমিকার চিঠি
বহুদিন পর আমার পুরোনো প্রেমিকার চিঠি পেলাম। চিঠির ভাষা ছিল এ রকম-প্রিয় মজনু, তোমার সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙাটাই ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল। আজ আমি বুঝতে পেরেছি, পৃথিবীতে তুমিই আমায় সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতে। আমরা কি পারি না পুরোনো সম্পর্কটা নতুন করে তৈরি করতে? তোমার উত্তরের প্রতীক্ষায় রইলাম।
ইতি-তোমার জুলি
পুনশ্চঃ লটারিতে এক কোটি টাকা পাওয়ার জন্য অভিনন্দন।
বিয়ে করতে রাজি
ছেলেঃ দেখ, আমার মনে হয় এবার আমাদের বিয়ে করে নেওয়া উচিত।মেয়েঃ সেটা মানছি, কিন্তু কারা এমন মানুষ আছে যে আমাদের বিয়ে করতে রাজি হবে?
ইংরেজি জানি না
এক ছেলে তার বান্ধবীকে বলল, যখন ওই ইংরেজ ছেলেটা তোমার হাত ধরল, তুমি তাকে ধমক দিলে না কেন?বান্ধবী বলল, কীভাবে দেব। আমি তো ইংরেজি জানি না।
পৃথিবীতে কত সুন্দরী
হাবলুঃ তুমি যদি আমাকে বিয়ে না করো, তাহলে আমি নির্ঘাত আত্মহত্যা করব।বান্ধবীঃ ছি, আত্মহত্যা করবে কেন? পৃথিবীতে কত সুন্দরী মেয়ে আছে।
হাবলুঃ বাপ রে, তুমিই বিয়ে করতে চাইছ না, আবার সুন্দরী মেয়ে!
প্রকৃত ভালোবাসা
দুই প্রেমিক-প্রেমিকা ঠিক করেছে আত্মহত্যা করবে। উঁচু পাহাড় থেকে প্রথমে ছেলেটি ঝাঁপ দিল, কিন্তু মেয়েটি দিল না। সে চোখ বন্ধ করে বলল, ভালোবাসা অন্ধ।এদিকে ঝাঁপ দেওয়ার পর ছেলেটি প্যারাসুট খুলে বলল, প্রকৃত ভালোবাসা কখনো মরে না!
আমিও তোমাকে খুব ভালোবাসি
গুল্লু আর গাবলু একদিন একটা রেস্তোরাঁয় গেছে। সুস্বাদু খাবার খাওয়ার পর গাবলু বলল, আমি তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি, গুল্লু!গুল্লু উত্তর দিল, কিন্তু আমি তো তোমাকে একটুও ভালোবাসি না।
গাবলু বলল, ভালো করে ভেবে দেখেছ তো?
গুল্লু বলল, হ্যাঁ, হ্যাঁ, বললাম তো আমি তোমাকে একটুও ভালোবাসি না।
গাবলু বলল, আচ্ছা, ঠিক আছে। ওয়েটার, দুটো আলাদা বিল নিয়ে এসো তো।
গুল্লু সঙ্গে সঙ্গে বলল, ঠিক আছে, ঠিক আছে, আমিও তোমাকে খুব ভালোবাসি।
এমন কোন ইডিয়ট নেই যে আমাকে বিয়ে করবে
বিয়ের দিনক্ষণ পাকা। এমন পর্যায়ে প্রেমিক প্রেমিকার মধ্যে কথা হচ্ছে —প্রেমিকঃ এখন কাউকে কিছু বলব না, একেবারে বিয়ে করে সবাইকে চমকে দেব।
প্রেমিকাঃ আমি শুধু রহমানকে একবার বলব।
প্রেমিকঃ এত লোক থাকতে রহমান কেন?
প্রেমিকাঃ ও-ই আমাকে বলেছিল, পৃথিবীতে এমন কোন ইডিয়ট নেই যে আমাকে বিয়ে করবে।
কোন গাধাই বিয়ে করবেনা
প্রেমিক-প্রেমিকা নিজেরাই নিজেদের বিয়ে ঠিক করেছে। ছেলেটা বলল, আমাদের বিয়ের এই খবরটা বিয়ের আগের দিন পযর্ন্ত কাউকে আমরা জানাবো না । খবরটা শুধু বিয়ের আগের দিন আমরা সবাইকে জানাবো এবং এইটা একটা Surprise হবে।মেয়েটা বলল, আমি শুধু একজনকে এই খবরটা জানাতে চাই।
ছেলে :- কেন?
মেয়ে :- পাশের বাড়ির কালু আমাকে একদিন বলেছিল, কোন গাধাই নাকি আমাকে বিয়ে করবেনা। তাই ওকে জানাতে হবে।
No comments:
Post a Comment