Monday, 24 December 2012

বাংলা জোকস 2

ক্ষয়ক্ষতি

প্রথম বন্ধু: জানিস, গত রাতে আমাদের বাড়ির ওপর দিয়ে প্রচণ্ড ঝড় বয়ে গেছে।
দ্বিতীয় বন্ধু: বলিস কি? তা তোদের বাড়ির কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে?

এত ঝড়-বৃষ্টি

শিক্ষক: পল্টু, মনে করো, তুমি জাহাজে করে যাচ্ছ। এমন সময় প্রচণ্ড ঝড় আর বৃষ্টি। কী করবে তুমি?
পল্টু: স্যার, আমি দ্রুত নোঙর ফেলব।
শিক্ষক: ধরো, একটু পর আবারও ঝড়! বৃষ্টি! কী করবে তুমি?
পল্টু: স্যার, আমি আবারও নোঙর ফেলব।
শিক্ষক: আবারও ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে?
পল্টু: আবারও নোঙর ফেলব!
শিক্ষক: ওহ্! তুমি এত নোঙর পাও কই?
পল্টু: স্যার, আপনি এত ঝড়-বৃষ্টি পান কই?

ছাতা মাথায় দিয়ে যা

মালিক বলছে চাকর আবুলকে, ‘আবুল, আজ গাছে পানি দিয়েছিস?’
আবুল: জি না হুজুর! বাইরে তো বৃষ্টি নেমেছে।
মালিক: তো কী হয়েছে? ছাতা মাথায় দিয়ে যা!

একটু ধাক্কা দেবেন

গভীর রাত। প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছে।
কেউ একজন চিৎকার করে বলছে, ‘এই যে ভাই, কেউ আছেন? একটু ধাক্কা দেবেন?’
চিৎকার শুনে ঘুম ভেঙে গেল মিসেস মলির। মলি তাঁর স্বামী রফিক সাহেবকে ধাক্কা দিয়ে বললেন, ‘এই যে, শুনছো, কে যেন খুব বিপদে পড়েছে!’
ঘুমাতুর কণ্ঠে বললেন রফিক, ‘আহ্! ঘুমাও তো! লোকটার কণ্ঠ শুনে মাতাল মনে হচ্ছে।’
অভিমানের সুরে বললেন মলি, ‘মনে আছে সেই রাতের কথা? সেদিন তোমার কণ্ঠও মাতালের মতোই শোনাচ্ছিল।’
রফিক বললেন, ‘মনে আছে। সে রাতেও প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছিল। তোমার খুব শরীর খারাপ করেছিল। গাড়িতে করে তোমাকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ গাড়ি বন্ধ হয়ে গেল। সেদিন আমিও চিৎকার করেছিলাম, কেউ আছেন? একটু ধাক্কা দিয়ে দেবেন?’
মলি বললেন, ‘মনে আছে তাহলে। সেদিন যদি তোমার চিৎকার শুনে একটা লোকও এগিয়ে না আসত, কী হতো বলো তো? আজ অন্যের বিপদে তুমি যাবে না? প্লিজ, একটু গিয়ে দেখো না!’
অগত্যা উঠতে হলো রফিক সাহেবকে। ভিজে চুপচুপা হয়ে কাদা-পানি মাড়িয়ে এগিয়ে চললেন তিনি শব্দের উৎস লক্ষ্য করে। বললেন, ‘কোথায় ভাই আপনি?’
শুনতে পেলেন, ‘এই তো, এদিকে। বাগানের দিকে আসুন।’
রফিক সাহেব এগোলেন। আবারও শুনতে পেলেন, ‘হ্যাঁ হ্যাঁ…ডানে আসুন। নিম গাছটার পেছনে…।’
রফিক সাহেব আরও এগোলেন।
‘আহ্! ধন্যবাদ! আপনার ভাই দয়ার শরীর। কতক্ষণ ধরে দোলনায় বসে আছি, ধাক্কা দেওয়ার মতো কাউকে পাচ্ছি না!’ বলল মাতাল!

গোপালের অতিথি-সৎকার

এক বিদেশী পথিক রাত্রে অজানা জায়গায় এসে পড়েছে। তার উপর বৃষ্টি ও ঝড় নামল খুব জোরে। এই ঘন অন্ধকারে মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। এ সময় কোথায় আশ্রয় না নিলে নয়। সে পথের ধারে এক বাড়ির দরজায় বার বার আঘাত করতে লাগল। এ গৃহ-স্বামীটি হচ্ছেন গোপাল। তিনি উপর থেকে জানালা খুলে জিজ্ঞেস করলেন, কে হে বাপু তুমি? এত রাতে কড়া নাড়ানাড়ি করছ কেন?
পথিক। আজ্ঞে আমি বহুদূর থেকে আসিয়াছি, বিদেশি পথিক।
গোপাল। এখানে আপনার কি চাই?
পথিক। রাত্রিটা এখানে থাকতে চাই মহাশয়।
গোপাল। তা থাকতে পারো এখানে। তার জন্য আমাকে ডাকবার কোন দরকার ছিল না তো। ওটা সরকারী রাস্তা, যে কেউ ওখানে থাকতে পারে। বাড়ির বাইরের এই আশ্রয়টুকুর জন্য প্রার্থনার কোন প্রয়োজনই বা কী? না না, আমার কোন আপত্তিই নাই। তুমি নিশ্চিন্ত মনে থাকতে পার।
কিন্তু পরে সেই পথিককে আদর করে ঘরে ডেকে নিয়ে খেতে ও আশ্রয় দিয়ে এবং শুকনো কাপর চোপড় দিয়ে তার সেদিন বহু উপকার করে ছিল।

ভালো ঘুম হয় না

খোকন: জানেন স্যার, গতকাল আমার দাদিকে আপনার কথা বলছিলাম।
স্যার: তাই নাকি? তা তোমার দাদি কী বললেন?
খোকন: দাদি খুব আফসোস করলেন। বললেন, ‘আহা, আমার যদি এমন একজন শিক্ষক থাকত!’
স্যার: বাহ্! এ বয়সেও তোমার দাদির পড়ালেখায় এত আগ্রহ!
খোকন: না স্যার, তা না। দাদির অনেক দিন ভালো ঘুম হয় না কি না…

অনেক বড় হাত

শিক্ষক: সবুজ, বল তো দেখি আমার এক হাতে ১০টা আপেল, অন্য হাতে আটটা আপেল, তাহলে আমার কী আছে?
সবুজ: স্যার, আপনার অনেক বড় হাত আছে!

পেছনে আসার গিয়ার

নতুন গাড়ি কিনেছে হাবলু। পরদিন হাবলুর মা বললেন, ‘হাবলু বাবা, আজ মেহমান আসবে। এদিকে ঘরে বাজার-সদাই কিচ্ছু নেই। জলদি বাজার করে আয়, দেরি করিস না।’
হাবলু বলল, ‘তুমি কোনো চিন্তা কোরো না মা, বাজার দূরে হলে কী হবে, এখন তো আমার গাড়ি আছে। আমি এই যাব আর আসব।’
হাবলু গেল বাজারে, এদিকে ফেরার আর নাম নেই। মা তো দুশ্চিন্তায় শেষ।
অনেকক্ষণ বাদে ফিরল হাবলু।
মা: কিরে, তোর এত দেরি হলো কেন?
হাবলু: আর বোলো না মা, বাজারে যেতে তো লাগল ২০ মিনিট। কিন্তু ফেরার সময় দুই ঘণ্টা পেরিয়ে গেল।
মা: কেন কেন?
হাবলু: বোকা গাড়িওয়ালারা সামনে যাওয়ার গিয়ার দিয়েছে চারটা, আর পেছনে আসার গিয়ার মাত্র একটা?!

সর্দারজি মুচকি মুচকি হাসছে

সর্দারজি নতুন নতুন গাড়ি চালানো শিখেছেন। হাইওয়ে ধরে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনাক্রমে তিনি একটা গাড়ির পেছন থেকে ধাক্কা দিলেন। গাড়ি থেকে নেমে এল বিশালদেহী এক কুস্তিগির। সর্দারজির শার্টের কলার ধরে তাকে টেনেহিঁচড়ে গাড়ি থেকে বের করে বলল, ‘কত বড় সাহস, আমার নতুন গাড়ি তুমি ভেঙে ফেলেছ? আজ তোমাকে দেখাব মজা।’
রাস্তার পাশের মাঠে গোল একটা বৃত্ত আঁকল কুস্তিগির। সর্দারজিকে বৃত্তের মাঝখানে দাঁড় করিয়ে বলল, ‘এখানে দাঁড়িয়ে দেখো, তোমার গাড়ি আমি কী করি। কিন্তু খবরদার, এই বৃত্ত থেকে বের হবে না।’
সর্দারজির গাড়ির দরজাটা এক লাথি দিয়ে ভেঙে ফেলল কুস্তিগির। পেছনে তাকিয়ে দেখে, সর্দারজি মুচকি মুচকি হাসছেন।
আরও খেপে গেল কুস্তিগির। সে সর্দারজির গাড়ির জানালাগুলো ভেঙে ফেলল। তবু সর্দারজির হাসি থামে না। রেগেমেগে কুস্তিগির বলল, ‘এই বুদ্ধু, তুমি হাসছ কেন?’
সর্দারজি বললেন, ‘বুদ্ধু আমি না তুমি? তুমি যতবার গাড়ি ভাঙার জন্য পেছনে ফিরেছ, ততবার আমি বৃত্ত থেকে বের হয়েছি, তুমি দেখোনি!’

অদৃশ্য হওয়ার ক্রিম

বাড়িতে অতিথি এসেছেন। অতিথিদের নিয়ে খেতে বসেছেন বাড়ির কর্তা-কর্ত্রী। চলছে বেশ গল্পসল্প। অতিথিদের ছোট্ট ছেলেটার সঙ্গে আবার সে বাড়ির পিচ্চি ছেলেটার দারুণ ভাব। দুজন ভেতরের ঘরে খেলছিল।
হঠাৎ বড়দের সামনে এসে দাঁড়াল দুই পিচ্চি। আড়চোখে দুজনকে দেখে বাড়ির কর্তার চোখ তো ছানাবড়া! দুজনের গায়েই যে জন্মদিনের পোশাক! ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক হয়ে গেলেন তিনি। এদিকে দুজনকে চোখে পড়েছে অতিথিদেরও। তাঁরাও ভীষণ বিব্রত! লজ্জা পেয়ে দুজনকে দেখেও না দেখার ভান করলেন তাঁরা।
খাবার টেবিল ঘিরে একবার চক্কর খেল দুই শিশু। ভেতরের ঘরে যেতে যেতে একজন আরেকজনকে বলল, ‘বলেছিলাম না? অদৃশ্য হওয়ার ক্রিমটা সত্যিই কাজের!’

লোক দেখানো যাওয়া

শফিক আর কেয়া—দুজনের ছোট্ট সংসার। এর মাঝে একদিন উটকো এক অতিথির আগমন।
দিন গড়িয়ে সপ্তাহ পেরোয়, অতিথির আর যাওয়ার নামগন্ধ নেই। বিরক্ত হয়ে একদিন লোকটাকে তাড়ানোর ফন্দি আঁটল দুজন।
পরদিন সকাল না হতেই তুমুল ঝগড়া শুরু করল শফিক-কেয়া। ঝগড়া একসময় হাতাহাতির পর্যায়ে চলে গেল।
অবস্থা বেগতিক দেখে চুপচাপ বাক্স-পেটরা নিয়ে বেরিয়ে পড়ল অতিথি।
অতিথি বেরিয়ে গেলে ঝগড়া থামাল দুজন। কেয়াকে বলল শফিক, ‘ওগো, বেশি লেগেছে তোমার?’
কেয়া: আরে নাহ্! আমি তো লোক দেখানো কাঁদছিলাম!
এমন সময় দরজা দিয়ে ঢুকতে ঢুকতে বলল অতিথি, ‘আমিও তো লোক দেখানো গিয়েছিলাম!’

কে বেশি পেটুক

নাসিরুদ্দিন হোজ্জার বাড়িতে তাঁর কিছু বন্ধু এসেছেন। অতিথিদের তরমুজ দিয়ে আপ্যায়ন করলেন হোজ্জা। বন্ধুদের সঙ্গে খেতে বসলেন হোজ্জা নিজেও।
হোজ্জার পাশেই বসেছিলেন তাঁর এক দুষ্টু বন্ধু। তরমুজ খেয়ে খেয়ে বন্ধুটি হোজ্জার সামনে তরমুজের খোসা রাখছিলেন। খাওয়া শেষে দেখা গেল, হোজ্জার সামনে তরমুজের খোসার স্তূপ।
দুষ্টু বন্ধুটি অন্যদের বললেন, ‘দেখেছেন কাণ্ড? হোজ্জা কেমন পেটুক? তার সামনে তরমুজের খোসার স্তূপ হয়ে গেছে’!
হোজ্জা হেসে বললেন, ‘আর আমার বন্ধুটির সামনে দেখছি একটা খোসাও নেই! উনি খোসাশুদ্ধ খেয়েছেন! এখন আপনারাই বলুন, কে বেশি পেটুক!’

স্ত্রী কাঁদছে, কাঁদুক

বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গেছেন শাকিল। গিয়ে দেখেন বন্ধুর স্ত্রী কাঁদছেন।
শাকিল: কিরে, তোর বউ কাঁদছে কেন?
বন্ধু: জানি না। জিজ্ঞেস করিনি।
শাকিল: ওমা! জিজ্ঞেস করিসনি কেন?
বন্ধু: আগে যতবার জিজ্ঞেস করিছি, প্রতিবারই আমাকে ফতুর হতে হয়েছে!

পাঁচটি ফুলের নাম

বাড়ির ছোট্ট মেয়েটার সঙ্গে খাতির জমানোর চেষ্টা করছেন অতিথি।
অতিথি: বাবু, তুমি কোন ক্লাসে পড়ো?
ছোট্ট মেয়ে: ক্লাস ওয়ানে।
অতিথি: বাহ্! পাঁচটি ফুলের নাম বলো তো দেখি।
ছোট্ট মেয়ে: দুটি গোলাপ, তিনটি জবা!

চোরের সাথে খোঁজাখুজি

পদা: কাল রাতে ঘরে চোর এসেছিল।
গদা: বলিস কী!
পদা: ঘুম ভেঙে গেলে তাকে জিজ্ঞেস করলাম, সে কী করছে? বলল, টাকা-পয়সা খুঁজছে।
গদা: তুই চোরটাকে ধরে পুলিশে দিস নাই?
পদা: না…
গদা: তবে?
পদা: আমিও তার সাথে টাকা-পয়সা খুঁজতে শুরু করছিলাম।

সব পুরুষরাই সমান

মেয়েরা যখন বলে, সব পুরুষরাই সমান, তখন বুঝতে হবে মেয়েটির স্বামী বা বয়ফ্রেণ্ড চাইনীজ এবং চায়নাতে বেড়াতে যাওয়ার পর মেয়েটি তার স্বামী বা বয়ফ্রেণ্ডকে হারিয়ে ফেলে রাস্তায় রাস্তায় খুঁজে বেড়াচ্ছে।

No comments:

Post a Comment