Monday, 24 December 2012

বাংলা জোকস

কোলের বান্দর

এক ভদ্র মহিলা বাচ্চা কোলে নিয়ে বাসে চড়ল। বাস চালক মুচকি হেসে বলল, “বাচ্চাটি দেখতে কুৎসিত।”
মহিলা ভাড়া চুকিয়ে দিয়ে পিছনের একটা সিটে গিয়ে বসল এবং রাগে গজগজ করতে লাগল।
মহিলাকে এমন করতে দেখে পাশের সিটের ভদ্রলোক জিজ্ঞেস করলো কি হয়েছে।
“বাস ড্রাইভাই আমাকে অপমান করছে!”, ভদ্রমহিলা উত্তর দিল।
সহানুভূতি দেখিয়ে ভদ্রলোক বলল, “নাহ, সে পাবলিক সার্ভেন্ট। প্যাসেঞ্জারদের সাথে সে এরকম ব্যবহার করতে পারে না।”
“ঠিক বলেছেন। আমার মনে হয় ফিরে গিয়ে তাকে একটা উচিত জবাব দিয়ে আসি।”
“ঠিক আছে, যান। তবে আপাতত কোলের বান্দরটাকে আমার কাছে দিয়ে যান।”

ওহ শিট!

তিনজন নানের মধ্যে কথা হচ্ছিল। প্রথম জন বলল, ‘ফাদারের ঘর পরিস্কারের সময় আমি কি পেয়েছিলাম জানো? অনেকগুলো পর্ণগ্রাফিক ম্যাগাজিন!’
‘তো তুমি সেগুলো দিয়ে কী করলে?’ অন্য জন্য জিজ্ঞেস করল।
‘ফেলে দিয়েছিলাম।’
দ্বিতীয়জন বলল, ‘গতকাল আমি তার ঘরে অনেকগুলো কনডম পেয়েছিলাম।’
অন্য দুইজন খুব অবাক হল। পরে জিজ্ঞেস করলো সে সেগুলো কী করেছে।
দ্বিতীয়জন বলল, ‘সবগুলা ছিদ্র করে রেখে দিয়েছিলাম।’
তৃতীয়জন বলল, ‘ওহ শিট!’

বিবাহিত?

রাত তখন ১১টা। বাইরে প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছে। এমন সময় খাবারের দোকানে খেতে এলেন ইদ্রিস সাহেব।
দোকানদার: কিছু মনে করবেন না স্যার, আপনি কি বিবাহিত?
ইদ্রিস সাহেব: তো তোমার কী মনে হয়? আমি কি আমার মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে এই ঝড়ের রাতে বাইরে খেতে এসেছি?

আলাদা আলাদা প্যাকেট

আবুল মিঞা ফলের দোকানদার। একদিন তাঁর দোকানে এলেন এক অদ্ভুত ক্রেতা।
ক্রেতা: আমাকে এক কেজি আপেল দিন তো। প্রতিটা আপেল আলাদা আলাদা প্যাকেটে দেবেন।
আবুল মিঞা তা-ই করলেন।
ক্রেতা: হু, এবার আমাকে এক কেজি আম দিন। এ ক্ষেত্রেও প্রতিটা আম ভিন্ন ভিন্ন ঠোঙায় দেবেন।
আবুল মিঞা তা-ই করলেন। ক্রেতা তখন দেখছিলেন, আবুল মিঞার দোকানে আর কী কী আছে।
আবুল চটজলদি দুই হাতে আঙুরগুলো আড়াল করে বললেন, ভাই, আমি আঙুর বিক্রি করি না!

কুকুরকে খাওয়ানোর কেক

পল্টু বেকারির দোকানে নতুন চাকরি পেয়েছে। অথচ চাকরির দুই দিনের মাথায় দোকানমালিক তাকে ছাঁটাই করে দিল। কী তার অপরাধ?
দোকানে এক ভদ্রলোক এসেছিলেন। বলেছিলেন, খোকা, তোমাদের এখানে কি কুকুরকে খাওয়ানোর কেক পাওয়া যায়?
পল্টু গদগদ হয়ে বলেছিল, অবশ্যই স্যার! এখানে খাবেন, না বাড়ি গিয়ে খাবেন?

ক্রেতা: তোমার দোকানে কি সবকিছু পাওয়া যায়?
বিক্রেতা: জি স্যার, সব পাবেন!
ক্রেতা: বিস্কুট আছে?
বিক্রেতা: ওহেহা, স্যরি স্যার, বিস্কুট একটু আগেই শেষ হয়ে গেছে।
ক্রেতা: চাল আছে?
বিক্রেতা: চাল স্যার এখনো এসে পৌঁছায়নি। আমি স্যার খুবই দুঃখিত।
ক্রেতা: সাবান আছে?
বিক্রেতা: স্যার, সাবান আজকে বিকেলে এলেই পাবেন, এখন নেই।
ক্রেতা: তালা আছে?
বিক্রেতা: জি জি স্যার! এটা আছে!
ক্রেতা: গুড। দোকানে তালা লাগাও, আর বাড়ি গিয়ে ঘুমাও।

কজন ভিজবে

শিক্ষক: মন্টু। ধরো, একটা ছাতার নিচে ১০ জন দাঁড়িয়ে আছে, কজন ভিজবে?
মন্টু: কেউই না।
শিক্ষক: কীভাবে?
মন্টু: স্যার, আপনি তো বলেননি, ‘ধরো, বৃষ্টি হচ্ছে।’

বিয়ের মানে

    এক বিয়ের আসরে বিয়ের অনুষঠান হচ্ছে। অনেকেই উপস্হিত। এক অল্প বয়সি কিশোর এক বয়স্ক মানুষ কে জিজ্ঞাসা করল "আচ্ছা মামা বিয়েতে বর আর বউ হাতে হাত রেখে বিয়ে করে কেন?"
    বয়স্ক বলল "তুমি কখনো কুস্তি দেখেছ?" কিশোর বলল "হ্যাঁ দেখেছি"
    বয়স্ক আবার বলল "বকসিং, ক্যারাটে, কুংফু দেখেছ?" কিশোর বলল "তাও দেখেছি"
    বয়স্ক বলল "কি দেখেছ?" কিশোর বলল "কি দেখেছি মানে? এর সঙ্গে বিয়ের কি সম্পর্ক?"
    বয়সক বলল "তুমি কচু দেখছ। লড়াইয়ের আগে দুই খেলোয়ার কি করে দেখনি? হাতে হাত মিলায়। এটাও তাই।"

 বউকে কে বেশী ভয় পায়

    চার বন্ধু মিলে কথা হচ্ছে বউকে কে কেমন ভয় পায়। একে একে তিন বন্ধু স্বীকার করল বউকে তারা কমবেশী সবাই ভয় পায়।
    চতুর্থ বন্ধু বলল তোরা সব কাপুরুষের দল।
    বন্ধুরা বলল তার মানে তুই বউকে ভয় পাস না?
    সে বলল কখনোই না।
    বন্ধুরা এবার জিজ্ঞাসা করল কিরকম শুনি।
    সে বলল শুনবি? তাহলে শোন।
    সেদিন বউয়ের সাথে তুমুল ঝগড়া হল। আমিও ছেড়ে দেবার পাত্র নই। শেষে বউ হাঁটু গেড়ে বসল।
    বন্ধুরা বলল তারপর? তোর বউ কি করল?
    সে বলল তারপর আর কি? বউ মাথা নীচু করল।
    বন্ধুরাতো অবাক। জিজ্ঞাসা করল তারপর কি হল?
    একটু থেমে সে বলে বউ বলল বেড়িয়ে আয় মুখপোড়া খাটের তলা থেকে। আজ তোর একদিন কি আমার একদিন।

একদিন একটি ছেলে মন্দিরে গেছে ভগবানের কাছে প্রার্থনা করতে।
হে ভগবান !
তুমি আমার প্রিয় লেখক শরৎচন্দ্রকে আমার থেকে কেড়ে নিয়েছ, আমি কিছু বলিনি।
তুমি আমার প্রিয় কবি সুকান্তকে আমার থেকে কেড়ে নিয়েছ, আমি কিছু বলিনি।
তুমি আমার প্রিয় গায়ক কিশোরকুমারকে আমার থেকে কেড়ে নিয়েছ, আমি তবু কিছু বলিনি।
আজও আমি তোমার কাছে কোনো অভিযোগ নিয়ে আসিনি।
শুধু জানাতে এসেছি আমার প্রিয় নেত্রীর নাম মমতা ব্যানার্জ্জী।




No comments:

Post a Comment