Saturday, 17 November 2012

অট্টহাসিতে কি ব্যায়াম হয়



হাঁটার পর অনেকে ব্যায়ামের অংশ হিসেবে অট্টহাসির চর্চা করেন। অনেকে আবার কিছুক্ষণ প্রাণ খুলে হাসার পরক্ষণেই বুক ভাসিয়ে কান্না জুড়ে দেন। এটাও এক ব্যায়াম। কিন্তু হাসি-কান্না তো মূলত কৌতুক বা বেদনাদায়ক কিছুর প্রতিক্রিয়া মাত্র। এতে কীভাবে ব্যায়াম হয়? এটা আসলে ফুসফুস, হূদ্যন্ত্র এবং গলা, বুক ও পেটের মাংসপেশির ব্যায়াম। হাসির সময় প্রবল বেগে নিঃশ্বাস বেরোয়। ডায়াফ্রামের পেশিকে বেশ শক্ত কাজ করতে হয়। আমরা অনেক সময় বলি, হাসতে হাসতে মারা গেলাম। তার মানে, অবিরাম হাসি এত কষ্টসাধ্য যে একসময় শক্তির শেষ সীমায় পৌঁছে গেছি বলে মনে হয়। একটানা হাসি বেশ চাপ সৃষ্টি করে ও হাঁপিয়ে তোলে। কিন্তু হাসি কি ব্যায়ামের মতোই শারীরিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে? ব্যায়ামের ফলে সৃষ্ট কষ্টকর অনুভূতির প্রতিক্রিয়ায় শরীর এনডরফিন নিঃসরণ করে। এতে বেদনাদায়ক অনুভূতি কমে যায়। দেখা গেছে, জোরে একটানা হাসলেও শরীরে একই ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ, হাসিও একধরনের ব্যায়াম। কান্নার ব্যাপারটাও তাই। দলবেঁধে হাসি-কান্নায় আরও ভালো কাজ হয়।

No comments:

Post a Comment