Tuesday, 20 November 2012

বিয়ের আয়োজন


বিয়ের আয়োজনের যেন শেষ নেই। আবার বছরের পর বছর ধরে স্মৃতিতে থাকবে এই কয়েকটি দিন। তাই বিয়ের প্রতিটি আয়োজনেই থাকা চাই বৈচিত্র্য।এ নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ওয়েডিং ডেকোর বাই নুসরাতের প্রধান নির্বাহী নুসরাত নওরীন।

পানচিনি
একখানি থালায় খিলি করা পান দিয়ে গাছপালা আর ঘরবাড়ি তৈরি করে নিতে পারেন। রঙিন মসলা আর সুপারি দিয়ে তৈরি করে দিতে পারেন পথখানি। সবুজ মসলায় হয়ে উঠতে পারে সবুজ মাঠ। এর মাঝে বর-কনে সাজানো ছোট্ট দুটি পুতুল সাজিয়ে দিতে পারেন। আবার বড় একটি রুপার থালায় পান আর সুপারির সাদামাটা উপস্থাপনটাও কিন্তু খারাপ লাগার কথা নয়। আনারসে পানের খিলি গেঁথে গেঁথে তৈরি করে নিতে পারেন সুন্দর একটা ময়ূর। চাইলে দু-একটা ময়ূরের পাখাও করতে পারেন যোগ। আর ময়ূর বসে থাকা থালায় ছড়িয়ে দিন সুপারি ও মিষ্টি জর্দা। পানের সঙ্গে মাটির হাঁড়িতে কিংবা কাঠের পাত্রে দিতে পারেন মিষ্টি।

আংটি বদল
নুসরাত নওরীন বলেন, ‘গোলাপের পাপড়ির মাঝে আংটি সুন্দর করে বসিয়ে দেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া ঝিনুকের খোলার ভেতরেও মুক্তাঘেরা আংটিখানি আপনার সামনের দিনের চলার পথের জ্যোতি বাড়াবে। ছোট একখানি ট্রেতে লাল মখমল কিংবা শিফনের কাপড়ের ওপর সাদা ঝিনুকটা দেখতে সবারই চোখ জুড়িয়ে যাবে।’
মাটির বড় পাত্রে পানির ওপর ভাসা পান পাতায় শোভা বাড়াবে বর-কনের আংটি দুটি। বিয়ের শেষে কনের বরের বাড়ি যাওয়ার পর ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে রাখা থালি থেকে বর-কনে দুজনকে আংটি খুঁজে বের করার খেলায় মাতিয়ে তুলতে পারেন। তবে বর-কনে দুই পক্ষই সাবধান! কারণ, মজা করে বলা হয় আংটিখানি যে পক্ষ আগে পাবে, সারা জীবন তার কর্তৃত্ব চলবে সংসারে।

রাখির জৌলুশ
মেয়েদের ক্ষেত্রে সোনালি রাখির সঙ্গে যোগ করে দিতে পারেন বড় দুটি ঝুমকা। ছেলেদের রুপালি রাখিতে থাকতে পারে মুক্তা কিংবা সাদা পুঁতির কারুকাজ। বড় কোনো থালিতে কাঁচা হলুদ আর মেহেদির পাশে প্রদীপের আলোয় মেলে ধরতে পারেন রাখি। আপনি চাইলে আলাদা ছোট থালিও রাখতে পারেন রাখির জন্য।

ফুলের গয়না
হলুদ কিংবা মেহেদির আয়োজনে নিজেকে সাজিয়ে তুলতে কনের সাজে ফুলের গয়নায় জুড়ি নেই। এসময়ে কনের পোশাকের সঙ্গে রং মিলিয়ে আবার কনট্রাস্ট রঙের বাহারি সব ফুলের গয়না জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাজা ফুলের গয়না হিসেবে অর্কিড বেশি চলছে। কারণ, এর ওপর ইচ্ছেমতো রং ছড়িয়ে করে নেওয়া যায় পোশাকের উপযোগী গয়না। এর সঙ্গে পুঁতি, পাথরও যোগ করে নিতে পারেন। শুধু কানের ফুল আর গলার হারই নয়, বাজু, টিকলি, টায়রা—এগুলো কন্যার সাজকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে। আপনি তাজা ফুলের পাশাপাশি কৃত্রিম ফুলের গয়নাও বেছে নিতে পারেন।

মাছ পাঠানো
বিয়ের আগের দিনে বরপক্ষের পাঠানো মাছ কনেবাড়ির প্রধান আকর্ষণের বিষয়। তাই তাদের উপস্থাপনটাও হওয়া চাই অনেক বেশি আকর্ষণীয়। পাঞ্জাবি, লুঙ্গি, গামছা আর ছোট ছাতায় একটি মাছ সেজে উঠতে পারে বরের সাজে। বর-মাছের মুখে টাকা গুঁজে দিতেও যেন এ সময় ভুল না হয়। আর লাল জরির শাড়িতে নথ-টিকলিতে সেজে ওঠা কনে-বউ মাছ তো বরের পাশে থাকছেই।

আয়না দেখা বা শাহ নজর
বিয়ে পড়ানোর পর বর-কনের এবার চোখ চাওয়াচাওয়ির সুযোগ। লাজুক লতা কনের মুখ সরাসরি চাহনিতে দেখতে বরেরও যেন আজ লাজের শেষ নেই। আয়োজনটা তাই হয়ে আসছে শাহ নজরে। বড় একখানি কাঠের আয়নার চারপাশটা ফুলে ফুলে মুড়ে নেওয়া যেতে পারে। তার ফাঁকে ফাঁকে মুক্তা আর ঝিনুক-শামুকও করতে পারেন যোগ। আয়নার ওপরে মেলে ধরতে পারেন রঙিন কোনো দোপাট্টা। দোপাট্টার আড়ালে আয়নায় এবার শুধু বর-কনের মুখ। কী, হলো তো শাহ নজর?

গেট ধরা
বিয়ের আয়োজনে কনেবাড়ির একদল তরুণ-তরুণীর বহুল আকাঙ্ক্ষিত ক্ষণের এবার অবসান হবে। এ জন্য কিন্তু দুই পক্ষেরই আয়োজন জরুরি। কনেপক্ষ যত ভালো অভ্যর্থনা দিতে পারবে, বরপক্ষ থেকে প্রাপ্তির অঙ্কটাও তেমন মোটা হবে। যে ফিতা কেটে বরপক্ষ প্রবেশ করবে, সেই ফিতাটি হওয়া চাই সুন্দর। ফুলে ফুলে মোড়াও হতে পারে সেটি। বরপক্ষের টাকা দেওয়ার থলেটা হতে পারে মখমলের। বর প্রতীকী কোনো বড় নোট আর তার ভেতরের খামে ভরে দিন টাকা। আপনি শোলা দিয়ে তৈরি সোনালি বড় একখানি কয়েনও দিতে পারেন। তবে যা-ই করুন, টাকাটা যেন থাকে ঠিকঠাক। নতুবা বরমশাইয়ের সেই গঞ্জনা সইতে হবে চিরকাল।

আগমনের ধ্বনি
বর-কনের আগমনের ধ্বনি এবার শোনা গেল। বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন এবার দুজনেই। বর-কনের আগমনটা হতে পারে বৈচিত্র্যময়। কনে চড়তে পারেন পালকিতে। পালকিটি হতে পারে ময়ূর পালকিও। তবে বিয়ের মঞ্চে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত যেন পালকির সোনালি পর্দাখানি না খোলা হয়। ছেলে আসতে পারে ঘোড়ায় চড়ে। সাদা ঘোড়ার ওপর একখানি আসন বসিয়ে তার ওপর ছড়িয়ে দিতে পারেন রঙিন কাপড়। বরের পেছনে ছাতা ধরে থাকতে পারেন কেউ কেউ। নুসরাত নওরীন বলেন, বর-কনের আগমনটা এখন অনেক বেশি আকর্ষণীয় করা হয়। কখনো কখনো ঘোড়ার গাড়ি আবার কখনো একখানি রিকশা সাজিয়ে কনে যাত্রীকে নিয়ে বর রিকশাচালককেও দেখা যায় আজকাল। কনে নিয়ে এবার বরের জীবনযাত্রা শুরু হলো।


ধূমপান প্রতিরোধে অভিনব কৌশল

 
ধূমপানের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরতে সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে এক যুবকের লাশের ছবি সংযোজিত হয়েছে যুক্তরাজ্যে। গত বছরের ১ অক্টোবর থেকে যুক্তরাজ্যে সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে এ ধরনের ছবি দেখা যাচ্ছে। এ ছবি ছাড়াও সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে উল্লেখ আছে কিভাবে সিগারেট পুরুষের যৌনক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। এ রকম আরো কিছু লিখিত সতর্কতা ২০০৩ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে চালু আছে। ইউরোপ মহাদেশের মধ্যে যুক্তরাজ্য প্রথম যারা পুরোদ¯ুÍর মৃত মানুষের ছবি সম্বলিত সিগারেট প্যাকেট বাজারে ছাড়লো। কানাডা অবশ্য ২০০১ সাল থেকে এ রকম কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িত। কানাডায় এ ধরনের সিগারেটের প্যাকেট বাজারে আসতে ৩১ শতাংশ ধূমপায়ীর বোধের পরিবর্তন আসে। এদের মধ্যে ধূমপানের পরিণতি মেনে নিয়ে শতকরা ২৭ জন ধূমপান থেকে বিরত থাকেন। ধূমপান বন্ধ করতে লাশের ছবি তাদের মারাত্মকভাবে প্ররোচিত করে । যুক্তরাজ্য  তাদের এ উদ্যোগের এক ধরনের প্রভাব আশা করছে। কেননা ধূমপান এককভাবে আগাম মৃত্যুহারের জন্য অন্যতম কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। এখন প্রতিবছর ধূমপানের কারণে শুধু ইংল্যান্ডে ৮৭ হাজার লোক মারা যান।


মৃতদেহের ছবিযুক্ত সিগারেটের পাকেট বিষয়ক সরকারি ঘোষণার পর ব্রিটেনের চিফ মেডিক্যাল অফিসার স্যার লিয়াম জেনাল্ডসন বলেন, ‘লিখিত স্বাস্থ্য সতর্কতা অনেক ধূমপায়ীকে ধূমপান বন্ধে উৎসাহিত করছে। মৃত মানুষের ছবিযুক্ত সতর্কতা অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে ধূমপানের ক্ষতিকর স্বাস্থ্য পরিণতির বাস্তবতা তুলে ধরেছে। আমি মনে করি এবার ধূমপায়ীরা আরো বেশি ভাবার সুযোগ পাবে এবং স্বাস্থ্য রক্ষায় ধূমপান ছেড়ে দেবে।’ বৃহত্তর পরিসরে মৃতদেহের ছবিটি ছাড়াও সিগারেট প্যাকেটের গায়ে ১৫ ধরনের লিখিত স্বাস্থ্য সতর্কতা আবর্তিত আছে। চিত্রে বিধৃত এ রকম নিষ্ঠুর সত্যের স্বাস্থ্য সচেতনতা ২০১৫ সাল নাগাদ ব্রিটেনের অন্যান্য তামাকজাত পণ্যে দেখা যাবে। ইউরোপ মহাদেশের বাইরে স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রসার ঘটাতে অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, ভারত, নিউজিল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, উরুগুয়ে এবং ভেনিজুয়েলায় সিগারেটের প্যাকেটে বিভিন্ন রকম গ্রাফিক ইমজে ব্যবহৃত হচ্ছে।

ডান চোখ বাঁ চোখ



তোমরা নিশ্চয়ই লক্ষকরেছ যে বেশির ভাগ মানুষ ডান হাতে কাজ করে এবংঅল্প কিছু মানুষ রয়েছে, যারা বাঁ হাতে কাজ করে। আমাদের চোখেরও সে রকম ব্যাপার আছে। আমাদের কেউ কেউ ডান চোখের মানুষ,কেউ কেউ বাঁ চোখের মানুষ।
তুমি কি ডান চোখের মানুষ, না বাঁ চোখের মানুষ? বের করা খুব সোজা, অনেক দূরে কোনো একটা জিনিস আঙুল দিয়ে দেখাও। এবার একটা চোখ বন্ধ করো, তোমার আঙুলটি কি জিনিস থেকে সরে গেল? যদি সরে গিয়েথাকে, তা হলে যে চোখ বন্ধ করেছ, তুমি সেই চোখের মানুষ! যদি না সরে থাকে, তাহলে অন্যচোখ বন্ধ করো, এবার জিনিসটা নিশ্চয়ই সরে যাবে, আর তুমি সেই চোখের মানুষ!

দাম্পত্যে সুসম্পর্কই সুস্থ রাখে বাকি জীবনে


সমপ্রতি নারী পুরুষের দাম্পত্য জীবনে সুসম্পর্ক রাখা নিয়ে গবেষণালব্ধ একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে। আপনি যদি বিবাহিত হন এবং আপনার জীবন সঙ্গিনীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকে, তাহলে মধ্য বয়সেও ব্রেইন বা মস্তিষ্ক সতেজ, বুদ্ধিদীপ্ত, স্মৃতিশক্তি ও চিন্তাশক্তি প্রখর থাকতে পারে। এমনকি শেষ জীবনেও ডিমেনসিয়া বা আত্মভোলা সমস্যাও কম হতে পারে।
গবেষণায় বিশেষজ্ঞগণ দেখতে পেয়েছেন মধ্য বয়সেও যারা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সুন্দর সম্পর্ক রাখতে পেরেছেন তাদের ক্ষেত্রে পুরুষরাই স্বাস্থ্যগত সুবিধা বেশি পেয়েছেন। মহিলাদের চেয়ে পুরুষদের স্মৃতিশক্তি ও চিন্তাশক্তি অধিক প্রখর থেকেছে। বিশেষজ্ঞগণ গবেষণা রিপোর্টে আরও উল্লেখ করেন স্বামী-স্ত্রীর সুসম্পর্ক ও পারিবারিক সহযোগিতা এবং শ্রদ্ধাবোধ থাকলে মস্তিষ্ক বুড়িয়ে যাওয়া বা এজিং ব্রেইন রোধ করে। এই গবেষণা তথ্যটি অবশ্যই আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে এবং যারা শুধু শারীরিক স্বাস্থ্য নয়, মনের স্বাস্থ্যও ভালো রাখতে চান তাদের এই গবেষণা রিপোর্ট থেকে শিক্ষা নেয়ার আছে। বিবাহিত দম্পতিদের নিয়ে এই চমৎকার গবেষণা পরিচালিত হয়েছে ফিনল্যান্ডে। যাদের বয়স ৫০ এর কোটায় এমন ১৫ শত নারী-পুরুষ অন্তর্ভুক্ত করা হয় গবেষণায়।



Monday, 19 November 2012

প্রিয় মুখখানি



‘হারানো’ শব্দটি শুনলেই এখনো কঠিনভাবে শিউরে উঠি। বুকের ভেতরটা হুহু করে ওঠে। চিৎকার করে শুধু কাঁদতে ইচ্ছে হয়। কেন এমন হলো? সত্যি সত্যিই আমার জীবন থেকে হারিয়ে গেছে মায়াভরা সেই মুখখানি। আর কোনো দিনই ফিরে পাবো না আমার হারিয়ে যাওয়া প্রিয় মুখ, প্রিয় মুহূর্ত।
পৃথিবীর বুকে প্রত্যেক সন্তানের মহা মূল্যবান সম্পদ হলো বাবা-মা। যাদের একজনের অবর্তমানে সমগ্র পৃথিবীই অন্ধকার মনে হয়। বলছি আজ নিজের জীবনচিত্রের আলোকে। আব্বু আমার হারিয়ে গেছে না ফেরার দেশে। হারিয়ে গেছে সব আদর, ভালোবাসা, স্নেহ, মায়ামমতা।
আব্বু আমাকে ভীষণ ভালোবাসত। দিনের কর্মব্যস্ততা শেষে রাতে যখন সবাই একত্র হতাম, তখন শুরু হতো অনেক গল্প, অনেক মজা। আমি আব্বুর ছোট মেয়ে হওয়ায় আদর, আবদার, আহাদের পরিমাণটা অন্যদের থেকে একটু বেশিই ছিল। একটু যদি এদিক-ওদিক হতো, তবেই শুরু হয়ে যেত মান-অভিমান। আর সেই মান ভাঙাতে আব্বুর কত রকম প্রচেষ্টা। সবটাই এখন শুধু স্মৃতি।
একবার আব্বু এক সপ্তাহের জন্য অফিসের কাজে ঢাকায় গিয়েছিল। তখন আমি কাস ফাইভে পড়তাম। আব্বুকে ছেড়ে ওই এক সপ্তাহ যে আমি কতটা কষ্টে ছিলাম তা আমার লেখা দেখেই  আব্বু বুঝেছিল। আব্বু ঢাকায় চলে যাওয়ার দিন থেকে ফিরে আসার দিন পর্যন্ত লিখেছিলাম অনেক চিঠি। তা দেখে আব্বু আমাকে বলেছিলÑ ‘পাগলি মেয়ে কোথাকার, এত কান্না করলে হয়? আব্বু মাত্র বাড়িতে ছিল না তাই এ অবস্থা, আর যখন দুনিয়াতেই থাকবে না তখন কী হবে?’
কথাগুলো শুনে অনেক কেঁদেছিলাম। সান্ত্বনাও পেয়েছিলাম অনেক। কিন্তু আজ যে আমি কিছুই পাই না। সবই হারিয়ে গেছে। দিনের পর দিন, বছরের পর বছর অপেক্ষার প্রহর গুনলেও আব্বু আর কখনোই ফিরে আসবে না। ডায়েরির পর ডায়েরি শেষ হলেও কেউ তা দেখে আর বলবে নাÑ ‘পাগলি মেয়েটা আমার…।

বউ শাশুড়ি বন্ধু!


ঝুমার নতুন বিয়ে হয়েছে। শ্বশুর বাড়ির সবাই তাকে অনেক গুরুত্ব দেয় ভালোবাসে। সমস্যা শুধু শাশুড়ি। খুব আক্ষেপ করে সেদিন বলছিলো শাশুড়ি না থাকলে আমার সংসারটা অনেক শান্তির হতো। বউ-শাশুড়ি সম্পর্ক কি শুধুই খুনসুটি আর একে অন্যের দোষ ধরার জন্য? না, দিন পাল্টেছে, আমরা মনে করি শাশুড়িও হয়ে উঠতে পারেন বউমার আশ্রয়ের জায়গা। সেই সাথে বউও হবে শাশুড়ির মনের কথা শেয়ার করার সঙ্গি। কীভাবে? বউদের জন্য রইলো কিছু সহজ পদ্ধতি, যা আমাদের এই সম্পর্ককে আরও আন্তরিকভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং অর্থবহ করতে সাহায্য করবে।
শাশুড়ির পছন্দ অপছন্দগুলো স্বামীর কাছ থেকে জেনে নিন। তিনি অপছন্দ করেন এমন বিষয়গুলো কথা বলার সময় সামনে আনবেন না। দীর্ঘদিন শাশুড়ি তার পরিবারের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন। বিয়ের সঙ্গে সঙ্গে তার কিছু বিষয় আপনার ভালো না লাগলেও রাতারাতি ওগুলো পরিবর্তন করতে চাওয়াটা ঠিক নয়।


এমন হতে পারে আপনার বাবার বাড়ির রান্নার সঙ্গে শাশুড়ির রান্নার ধরণ মিলছে না। বা তাদের রান্না হয়তো আপনার খেতে কষ্ট হচ্ছে, এমন অবস্থায়ও শাশুড়ির রান্নার প্রশংসা করুন। চেষ্টা করুন তাদের খাবার পছন্দ করে খেতে আর মাঝে মাঝে আপনার পছন্দের আইটেম সবার জন্য তৈরি করুন। শাশুড়ির যে রান্নাগুলো আপনার স্বামী পছন্দ করেন, সে রেসিপিগুলো আগ্রহের সঙ্গে শিখে নিন। শাশুড়ি আর স্বামী একসঙ্গে খুশি হয়ে যাবেন। বাড়িতে যদি ননদ থাকে স্বাভাবিকভাবেই শাশুড়ি নিজের মেয়েকে গুরুত্ব দেবেন। এটা দেখে হয়তো আপনার ভালো নাও লাগতে পারে। তবে ননদকে প্রতিদ্বন্দ্বী না ভেবে তার সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলুন। শাশুড়ি যখন দেখবেন আপনি তার প্রিয় সন্তানকে আপন করে নিয়েছেন, তিনি আপনাকে আরও পছন্দ করতে শুরু করবেন।
আপনার বাড়িতে কোনো অতিথি যদি কোনো উপহার নিয়ে আসেন আপনার নিশ্চয় ভালো লাগবে। এই আইডিয়াটাই কাজে লাগান। শাশুড়ির জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী মনে রাখুন, আর বিশেষ দিন ছাড়াও মাঝে মাঝে তার জন্য ছোট ছোট উপহার নিয়ে আসুন। শাশুড়ি আগের দিনের মানুষ বউ একটু সাজুগুজু করে পরিপাটি থাকলে তিনি পছন্দ করেন, এলোমেলো থাকা পছন্দ করেন না। বেশ তো এটা নিয়ে আভিযোগ করার কি আছে? গুছিয়ে থাকলে সবাই আপনার রুচিরই প্রশংসা করবে। আর আয়নাতেও আপনাকেই সুন্দর লাগবে। শাশুড়ির সঙ্গে সবসময় নরম, ভদ্রভাবে কথা বলুন। তার কোনো আচরণ ভালো না লাগলে বিতর্কে জড়াবেন না। কোনো প্রয়োজনে আপনি বা শাশুড়ি বাইরে থাকলে নিয়মিত ফোন করে খোঁজ নিন। তিনি ফোন করে আপনার খোঁজ করেননি কেন এই অপেক্ষায় না থেকে আগে ফোন করুন। তিনিও একসময় আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে উদ্যোগি হবেন। আর এভাবেই আপনাদের মাঝে একটি সুন্দর সম্পর্ক তৈরি হবে। কোনো পরিকল্পনা করার সময় শাশুড়ির পরামর্শ চান। এতে করে সন্তানের জীবনে তার মতামতের গুরুত্ব আছে ভেবে তিনি  আনন্দিত হবেন। সম্মান করে শাশুড়ির ভালোবাসা অর্জন করুন। তার কোনো আচরনে কষ্ট পেলেও ক্ষমা করতে জানতে ভুলবেন না। আর এই সহজ নিয়মগুলোই আপনার জীবন অনেক সহজ করে দেবে।




নিজের ঢোল নিজে পেটাই

প্রাচীনকালে মুরুব্বিরা বলতেন, নিজের ঢোল একটু কম পেটাও বাবা, তা না হলে তো ঢোল ফাটাইয়া ফালাবা। মোদ্দাকথা, নিজের ঢোল নিজে পেটাতে হয় না। এমনটাই তারা মনে করতেন। তারা ঢোল পেটানোর দায়িত্ব অন্যকে দিতেন। কিন্তু এই ডিজিটালকালে এসে মুরুব্বিদের থিওরি বাতিল হয়ে গেছে। এখন নিজের ঢোল নিজেকেই পেটাতে হবে। কারণ আপনিই ভালো জানেন কিভাবে আপনার ঢোল পেটাতে হবে। কিভাবে পেটালে ঢোল ভালো বাজবে। ফেটে যাবে না। কারণ অন্যকে পেটাতে দিলে তারা এমন আস্তে পেটাবে যে, কেউ শুনতে পাবে না। অথবা ঢোল এমন জোরে পেটাবে, শেষে ঢোলই ফেটে যাবে। সুতরাং নিজের ঢোল নিজেই পেটাও। এতে কোনো দোষ নেই। কেন দেখেছেন না, আপনার চোখের সামনে যদু, মধু, কদু সমানে নিজের ঢোল পিটিয়ে যাচ্ছে। এতে কিন্তু তাদের লাভ ছাড়া কোনো তি হচ্ছে না। তো চলুন এখন থেকে নিজের ঢোল পেটাই। কিন্তু মুশকিল হলো, আপনি তো আর তাদের মতো না। এখনো শিখতে পারেননি, কিভাবে ঢোল পেটাতে হয়। আপনাকে জলে না ফেলে আমরা এখন আপনাকে কিছু ঢোল পেটানোর অনুগল্পের নতুনসহ কিছু কলাকৌশল হাতে-কলমে শিখিয়ে দেবো।
উদাহরণ হিসেবে আমার কথাই বলতে পারি, আমি নিজেকে অতি উচ্চশ্রেণীর লেখক, থুক্কু লেখক মনে করি। ইতোমধ্যে দেশের নামকরা পত্রিকা-ম্যাগাজিনের আমার শত শত কৌতুক ছাপা হয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন রসেভরা ছড়া-কবিতা নিত্যদিন বিভিন্ন জায়গায় ছাপা হচ্ছে। আজকেও তো কুম্ভকর্ণ ম্যাগাজিনে আমার প্রচণ্ড হাসির একটা কৌতুক ছাপা হয়েছে। এই সুসংবাদ আমি রাত ১২টা থেকেই সবাইকে মোবাইল করে জানিয়ে দিয়েছি।  আমার অনেক ভক্ত আছে, তারাও আমার ছাপা হওয়া কৌতুক পড়ে আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। সুতরাং আপনি যদি লেখক শ্রেণীর কেউ হন, সে েেত্র মেরে ভাইয়া, ওই পদ্ধতি কাজে লাগাতে উঠেপড়ে লাগেন।
আধুনিক পদ্ধতির সাহায্য নিতে পারেন। ইন্টানেট দুনিয়ায় প্রবেশ করতে হবে। নিজের একটা ব্লগ ওপেন করার পাশাপাশি, অন্যদের ব্লগে গিয়েও ভিড় জমাতে হবে। তারপর সবাই মিলে গলা ফাটিয়ে ফেলবেন, মানে কার্যক্রম শুরু করবেন আর কী!  ব্লগের পাশাপাশি ফেসবুকেও জয়েন করতে পারেন। সেখানে নিজেকে মেলে ধরার অফুরন্ত সুযোগ পাবেন। এতে দোষের কিছু নেই। এই পদ্ধতি লেখক-কবি শ্রেণীর জন্য বিশেষ ফলদায়ক।
যদি প্রেমিক হন। প্রেমিকাকে নিজের সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করতে অনেক চেষ্টা-তদবির করেও মনপ্রিয়ার মন পাচ্ছেন না। তো আপনাকে আপনার কিছু শুভাকাক্সী (ছেলেমেয়ে উভয় লাগবে) সৃষ্টি করতে হবে। তারা আপনার সম্পর্কে জনে জনে বিভিন্ন গালগল্প বলে বেড়াবে। বিশেষ করে মেয়ে বন্ধু আপনার প্রেমিকার কাছে গিয়ে যাতে আপনাকে ধোয়া তুলসিপাতা হিসেবে প্রচার করতে পারে সে দিকে বেশি দৃষ্টি দিবেন। কিছু দিন পরেই দেখবেন, আপনার উদ্দেশ্য সফল হয়েছে।
আপনি আপনার অফিসে বস ও কলিগদের কাছে নিজের ব্যাপারে কোনো পাত্তা পাচ্ছেন না। বসও আপনাকে গণনায়ই ধরে না। মোট কথা আপনি কোনো কাজের না বলেই তারা মনে করে। আপনিও যে অনেক কাজ করে তা তারা জানে না। সুতরাং আপনি দাদার (দাদাকে আপনারা চিনবেন না) পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। দাদার মতো করে, আপনিও সবসময় বসের সামনে দাঁত কেলিয়ে নিজের প্রতিদিনের কাজের বিবরণ দিতে থাকুন। প্রতিদিন একটি কাজ নিয়েই বসে থাকুন। যদি কেউ অন্য কোনো কাজের কথা বলে, তখন বলুন, আপনার হাতে কোনো সময় নেই। আপনার কাজের অনেক প্রেসার। দেখবেন, কেউ আপনাকে আর ঘাটবে না। উল্টো তারাই বলতে থাকবেÑ হ্যাঁ, তাই তো, উনার হাতে অনেক কাজ; উনাকে বিরক্ত করা যাবে না।
নিজের ঢোল পেটানোর আরো অনেক গল্প আছে এবং আরো আছে কিছু কলাকৌশল। কিন্তু আজ সব বলা যাবে না। আগামীর জন্য অপো করতে হবে। তত দিন নিজেই চেষ্টা করুন।

Sunday, 18 November 2012

এক যে ছিল রাজা

 
তোমরা অনেক মজার মজার গল্প জানো নিশ্চয়ই। কেউ কেউ হয়তো ভূতপ্রেতের কিসসা জানো। আবার কেউ বা জানো রাজা-রাজড়াদের গল্প। এমন অনেক গল্প আছে যা অনেক পুরনো দিনের। কিন্তু সেইসব গল্প শুনলে তোমরা চমকে উঠবে। তোমরা অনেক কিছু জানতে পারবে। এসব গল্পে হয়তো হাসাহাসির খোরাক নেই। নেই রমরমা কোনো ভয়ের বিষয়। তবে এসব গল্প শুনলে তোমরা হয়তো ভাববে, এসব ঘটনাও কি আসলে সম্ভব। মানুষ কি এমন হতে পারে! কিংবা মানুষের পক্ষে এমন করা আদৌ কি সম্ভব। এসব কাহিনী শুনে তোমরা অবাক হয়ে যাবে। আজ এমনই এক কাহিনী তোমাদের শোনাব।


 
সে অনেক অনেক দিন আগের কথা। এক ছিল মস্তবড় রাজা। তার ছিল বিশাল বড় এক রাজ্য। এত বড় রাজ্য তখন কোথাও ছিল না। আজো এত বড় রাজ্য দুনিয়ার মানুষ দেখেনি। অথচ সেই রাজার ছিল অতি সাধারণ এক রাজপ্রাসাদ। সেই প্রাসাদে কোনো জাঁকজমক ছিল না। রাজপ্রাসাদের সিংহদরজায় ছিল না কোনো পাহারাদার। রাজার নিরাপত্তার জন্য কোনো সৈন্যসামন্ত ছিল না। সেই রাজপ্রাসাদ উজির-নাজিরদের ভিড়ে গমগম করত না। রাজার প্রাসাদে দাসদাসীদের কলরবও শোনা যেত না। রাতের বেলায় নানা রঙের বাতির মহড়াও চোখে পড়ত না রাজপ্রাসাদে। আর রাজার অবস্থা তো ছিল আরো করুণ। তাকে দেখলে কে বুঝবে যে তিনি এত বিশাল রাজ্যের মালিক। তার গায়ে জরির পোশাক নেই। মাথায় স্বর্ণের মুকুটও নেই। রাজার পায়ে সোনালি নাগরাও নেই। রাজা যখন চলেন তার আগে-পিছে শত শত সৈন্যসামন্ত বা দাসদাসীর লটবহর দেখা যেত না। সেই এক অদ্ভুত রাজা ছিলেন তিনি। আর অদ্ভুত ধরনের ছিল তার রাজপ্রাসাদ। আমাদের অতিপরিচিত এই রাজা ছিলেন এক গরিব রাজা। গরিব হলে কী হবে, রাজার ছিল দুনিয়াজোড়া নাম। তার ছিল বিশাল রাজ্য। তার ক্ষমতাও ছিল অসীম। তার নাম শুনলেই আশপাশের বড় বড় রাজা ভয়ে থরথর করে কাঁপত। তার রাজ্যে কোনো অভাব-অনটন ছিল না। রাজ্যের মানুষ সুখশান্তিতে বাস করত। সেই রাজ্যে উঁচু-নীচুর কোনো ভেদাভেদ ছিল না। রাজার রাজ্যে হানাহানি-দলাদলি ছিল না। সবাই মিলেমিশে বাস করত তার রাজ্যে। সেই রাজ্যের মানুষ সদাই হাসিখুশিতে দিন কাটাত। রাজাও ছিল বড় সচেতন। তার দেশের কোনো মানুষ না খেয়ে না পরে থাকুক সেটা রাজা চিন্তাও করতে পারত না। তাই সে রাতের আঁধারে ঘুরে বেড়াত মানুষের দ্বারে দ্বারে। কে কোথায় কিভাবে আছে, তাদের অবস্থা নিজ চোখে দেখার জন্য সে ব্যাকুল থাকত। সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়ত গরিব রাজা ঠিক তখনই বেরিয়ে পড়ত তার প্রজাদের খোঁজে। সে বলত, আমার রাজ্যে একটি কুকুরও যদি না খেয়ে মারা যায় তাহলে এর জন্য আমাকেই মহান প্রভুর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। কেমন অপূর্ব মহৎ ও দরদি ছিল সেই রাজা।
একদিনের ঘটনা। রাজা আপন মনে ঘুরে বেড়াচ্ছিল মদিনার অলিগলিতে। চার দিকে তখন ঘন অন্ধকার। মদিনার মানুষেরা সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। কোথাও কোনো সাড়াশব্দ নেই। রাজা ঘুরতে ঘুরতে এক জায়গায় এসে দেখল অনতিদূরে ক্ষীণ আলো জ্বলছে। রাজা বুঝল কেউ হয়তো জেগে আছে। তার মনে অজানা এক বিপদের আশঙ্কা জাগল। তাই সে এগিয়ে গেল। সামনে এগোতেই রাজার চোখে পড়ল একটি তাঁবু। সে আরো কাছে গেলে বাইরে থেকে এক দৃশ্য দেখে রাজার মন খারাপ হয়ে গেল। সে দেখল এক মহিলা উনুনে পানি জ্বাল দিচ্ছে আর পাশে বসে তার ছোট ছোট ছেলেমেয়ে কাঁদছে। রাজা অনেকক্ষণ একই দৃশ্য দেখে অবাক হলো। তাই সে কাছে এগিয়ে গিয়ে মহিলাকে পানি জ্বাল দেয়ার কারণ জিজ্ঞেস করল। মহিলা লোকটির কথা শুনে অশ্রুসজল হয়ে উঠল। তার বাকরুদ্ধ হয়ে গেল। তারপর অনেক কষ্টে মহিলা বলল, ‘আমার ঘরে কোনো খাবার নেই। ছেলেমেয়েরা না খেয়ে আছে। ুধার জ্বালায় কাঁদছে। তাই তাদের মিথ্যা বুঝ দেয়ার জন্য খালি হাঁড়িতে মিছেমিছি পানি জ্বাল দিচ্ছি।’
মহিলার দুঃখের কথা শুনে রাজার মন বিষাদে ভরে উঠল। সে এই অবুঝ শিশুদের ব্যথা দেখে মর্মাহত হলো। তৎক্ষণাৎ রাজা মহিলাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলল, একটু অপেক্ষা করো মা, আমি এক্ষনি আসছি। এ কথা বলেই সে বেরিয়ে পড়ল। একটু পরই বায়তুলমাল থেকে খাবারের বোঝা নিজের পিঠে বহন করে মহিলার তাঁবুতে পৌঁছে দিলো। মহিলা এগুলো দিয়ে খাবার তৈরি করে ুধার্ত ছেলেমেয়েদের খাওয়াল। এতে মহিলা খুবই খুশি হলো। এই অবস্থা দেখে রাজার মনও পরম তৃপ্তিতে ভরে উঠল। মহিলার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে এবার রাজা গভীর রাতে রাজপ্রসাদে ফিরে গেল। প্রজার সেবা করতে পেরে সে প্রভুর শুকরিয়া আদায় করল।


এই মহান রাজার জীবনের আর একটি ঘটনা। একদিন তার বেগম তাকে বলল, বহুদিন ধরে জয়তুন তেল দিয়ে শুকনো রুটি খেতে খেতে মুখে একদম অরুচি ধরে গেছে। যদি একটু মধুর ব্যবস্থা করা যেত তাহলে মন্দ হতো না। রাজা বেগমের কথা শুনে ভাবল। সেও যে এ রকমই চিন্তা করছিল। কিন্তু মধু আনার সামর্থ্য যে তার নেই। যা ভাতা পায় তা দিয়ে মধু জোগাড় করা খুব কটিন। বহু ভেবে বেগম একটা উপায় বের করল। সে বলল, বায়তুলমাল থেকে কিছু দিরহাম ধার নিলেই তো হয়ে যায়। পরে তা ধীরে ধীরে শোধ করার ব্যবস্থা করা যায়। বেগমের কথা রাজার মনঃপূত হলো। তাই সে বায়তুলমালের প্রধানের কাছে যাওয়ার জন্য মনস্থ করল। এমন সময় রাজার পুত্র বলল, বাবা! আপনি কি মনে করেন যে আপনি আগামীকাল পর্যন্ত বেঁচে থাকবেন?

রাজা জবাব দিলো, মানুষের তো এক মুহূর্তও বেঁচে থাকার সুযোগ নেই।
এবার পুত্র বলল, তাহলে আপনার ঋণ করে ভালো খাবার জোগাড় করা কি ঠিক হবে? এ কথা শুনে রাজার মন কেঁপে উঠল। তাই তার আর মধু খাওয়া হলো না। এই মহান লোকটির নাম কি তোমরা অনুমান করতে পারো? এত সহজ-সরল, খোদাভীরু ও প্রজাবৎসল রাজার কথা কি কল্পনা করা যায়! অথচ তিনি অর্ধেক দুনিয়ার মালিক। এই মহারাজা আর কেউ নন, ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত উমর রা:। তিনি উমর ইবনে খাত্তাব। তার শাসনব্যবস্থার নজির আজো বিরল। উমরের রা: শাসনের মতো সুন্দর ও শান্তিময় অবস্থা আজো দুনিয়ায় কায়েম হয়নি। এই মহান ব্যক্তির জীবনে এ রকম আরো অনেক অনুপম ও শিক্ষণীয় ঘটনায় পরিপূর্ণ। তোমরা বড় হয়ে তার বিশাল জীবনচরিত পড়লে আরো অনেক কিছুই জানতে পারবে। তিনি ৫৮৩ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১০ বছর ছয় মাস ক্ষমতায় ছিলেন। হিজরি ২৩ সালে এই মহান ব্যক্তি ইন্তেকাল করেন।

না খাওয়ার দল

 
না খেয়ে বেঁচে থাকা দুনিয়ার কোনো প্রাণীর পক্ষেই সম্ভব নয়। পেটে দানাপানি না পড়লে কেমন লাগে, এক বেলা না খেয়ে থাকলে হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যায়। এর পরও এমন কিছু প্রাণী আছে, ক্ষুধা যারা অনেক দিন দমিয়ে রাখতে পারে।


মরুর জাহাজ উটের কথাই ধরো না। দিগন্তবিস্তারী মরুভূমিতে চাঁদি ফাটানো রোদের মধ্যে মানুষসহ বোঝা নিয়ে ক্লান্তিহীন হেঁটে যায় তারা। দিনের পর দিন এভাবেই কাটে। এ সময় খাবার না পেলেও ক্ষুৎপিপাসায় কাতর হয় না ওরা। এর কারণটি হচ্ছে উটের পিঠে পাহাড়ের মতো উঁচু হয়ে থাকা কুঁজ। এই কুঁজ পুরোটাই চর্বির ভান্ডার। উট যখন না খেয়ে থাকে, এই চর্বি হজম হয়ে তার টিকে থাকার শক্তি জোগায়। এ ছাড়া উটের গলার ভেতর পানি জমিয়ে রাখার থলে রয়েছে। এ সঞ্চয় তার পানির চাহিদা মেটায়।
সাপেরও খিদে ঠেকিয়ে রাখার ক্ষমতা দারুণ। অনেক সাপই একটানা এক বছর না খেয়ে থাকতে পারে। সুস্বাদু মাছ স্যামন প্রায় নয় মাস না খেয়ে থাকতে পারে। সাগর থেকে এই মাছ যখন ঝাঁক বেঁধে নদীর উজানের দিকে ছোটে, এ সময় না খেয়ে থাকে ওরা।
ভালুকদের মধ্যে বাদামি গ্রিজলি ভালুক অতিকায় একটি প্রাণী। দেহ যেমন, খায়ও তেমন। তবে খিদে চেপে রাখতেও কম পটু নয়। শীতকালে এই ভালুক নির্জন কোনো নিরাপদ স্থানে শীতঘুমের আয়োজন করে। এ সময় পুরোটা শীতকাল ঘুমিয়ে কাটায় ওরা। এতে একটানা সাত মাস না খেলেও কিছু হয় না ওদের। ঠিক উটের মতো গায়ে জমে থাকা চর্বি খাবারের কাজ সারে।
ইংরেজিতে ওদের বলে ‘হানিপট অ্যান্ট’। বাংলায় ‘মধুপিঁপড়া। শরীরের চেয়ে বড় গোলগাল একটা মধুর পোঁটলা নিয়ে ঘোরে ওরা। সঙ্গে মধু নিয়ে ঘুরলে কী হবে, উপোসে কম যায় না। একটানা ছয় মাস না খেলেও কাহিল হয় না ওরা।

সামুদ্রিক প্রাণীর মধ্যে বিশাল খাদক বলে কুখ্যাতি আছে তিমির। এ ক্ষেত্রে অ্যান্টার্কটিকার সাগরজলে বাস করা ‘সাউদার্ন রাইট হোয়েল’ একটানা চার মাস না খেয়ে থাকতে পারে।
মেরু অঞ্চলের পাখি এমপেরর পেঙ্গুইন বা রাজ পেঙ্গুইনও না খেয়ে থাকতে পারে অনেক দিন। ডিম থেকে ছানা ফোটার পর কনকনে হিম পরিবেশে ওটাকে আগলে রাখে বাবা পেঙ্গুইন। আর মা যায় সাগরে মাছ ধরে আনতে। এ সময় মাস তিনেক একদম খেতে পারে না বাবা পেঙ্গুইন।
ওয়েডেল সিলের বেলায় এমন কষ্ট পোহাতে হয় মাকে। নতুন বাচ্চাটিকে আগলে রাখতে গিয়ে পুরো তিন সপ্তাহ না খেয়ে থাকতে হয় তাকে।

Saturday, 17 November 2012

যে দিন আমায় হারাবে


GKw`b Avwg P‡j hv‡ev wKQzB bv e‡j
†mw`b Zzwg Kuv`‡e শুধুy Si‡e AkÖæ evo‡e †e`bv
†hw`b Avwg i‡ev bv †mw`b Zzwg GKv i‡e 
mewKQzB eyS‡Z cvi‡e hLb Avgvq nviv‡e| 
†hgb dyj dz‡U S‡i hvq †euvUv c‡o _v‡K 
†Zvgvi ü`q Kuv`‡e †mw`b †h w`b Avgvq nviv‡e|

বাংলা সাহিত্যে

  1. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর  উপন্যাস — বউ ঠাকুরানী হাট — ১৮৭৭ সাল।  কবিতা — হিন্দু মেলার উপহার — ১২৮১ বঙ্গাব্দ  কাব্য — বনফুল — ১২৮২ বঙ্গাব্দ  ছোট গল্প — ভিখারিনী — ১৮৭৪ সাল   নাটক — রুদ্রচন্ড — ১৮৮১ সাল
     
  2. কাজী নজরুল ইসলাম  উপন্যাস — বাধঁন হারা — ১৯২৭ সাল  কবিতা — মুক্তি — ১৩২৬ বঙ্গাব্দ  কাব্য — অগ্নিবীণা — ১৯২২ সাল  নাটক — ঝিলিমিলি — ১৯৩০ সাল   গল্প — হেনা — ১৩২৬ বঙ্গাব্দ
      প্রকাশিত গল্প — বাউন্ডেলের আত্মকাহিনী — ???
  3. প্যারীচাঁদ মিত্র  উপন্যাস — আলালের ঘরের দুলাল — ১৮৫৮ সাল
  4. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর  অনুবাদ গ্রন্থ — বেতাল পঞ্চবিংশতি — ১৮৪৭ সাল
     
  5. রাজা রামমোহন রায়  প্রবন্ধ গ্রন্থ — বেদান্ত গ্রন্থ — ১৮১৫ সাল
     
  6. আবদুল গাফফার চৌধুরী  ছোট গল্প — কৃষ্ণ পক্ষ  — ১৯৫৯ সাল  উপন্যাস — চন্দ্রদ্বীপের উপাখ্যান   — ১৯৬০ সাল  শিশু সাহিত্য — ডানপিটে শওকত — ১৯৫৩ সাল
  7. আবু ইসহাক  উপন্যাস — সূর্য দীঘল বাড়ি — ১৯৫৫ সাল
  8. আবুল ফজল  উপন্যাস — চৌকির — ১৯৩৪ সাল  গল্প — মাটির পৃথিবী — ১৯৩৪ সাল  নাটক — আলোক লতা — ১৯৩৪ সাল
  9. আবুল মনসুর আহমেদ  ছোট গল্প — আয়না — ১৯৩৫ সাল
  10. আলাউদ্দিন আল আজাদ  কাব্য — মানচিত্র — ১৯৬১ সাল উপন্যাস — তেইশ নম্বর তৈলচিত্র — ১৯৬০ সাল  নাটক — মনক্কোর যাদুঘর — ১৯৫৮ সাল
      গল্প — জেগে আছি — ১৯৫০ সাল
      প্রবন্ধ — শিল্পীর সাধনা — ১৯৫৮ সাল
  11. আহসান হাবীব  কাব্য — রাত্রি শেষ — ১৯৪৬ সাল
  12. গোলাম মোস্তফা  উপন্যাস — রূপের নেশা — ১৯২০ সাল
     
  13. জসীম উদ্দিন  কাব্য — রাখালী — ১৯২৭ সাল
     
  14. জহির রায়হান  গল্প — সূর্য গ্রহন — ১৯৫৫ সাল
     
  15. নীলিমা ইব্রাহিম  উপন্যাস — বিশ শতকের মেয়ে — ১৯৫৮ সাল
     
  16. নূরুল মোমেন  নাটক — নেমেসিস — ১৯৪৮ সাল
     
  17. ফররুখ আহমদ  কাব্য — সাত সাগরের মাঝি — ১৯৪৪ সাল
     
  18. মুনীর চৌধুরী  নাটক — রক্তাক্ত প্রান্তর — ১৩৬৮ বঙ্গাব্দ
     
  19. ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ  ভাষাগ্রন্থ — ভাষা ও সাহিত্য — ১৯৩১ সাল
     
  20. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়  গল্প — মন্দির — ১৯০৫ সাল
     
  21. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়  উপন্যাস –পথের পাঁচালী — ১৯২৯ সাল
     
  22. জীবনান্দ দাশ  কাব্য — ঝরা পালক — ১৯২৮ সাল
     
  23. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়  উপন্যাস — পদ্মা নদীর মাঝি — ১৯৩৬ সাল
     
  24. বেগম সুফিয়া কামাল  গল্প — কেয়ার কাটা — ১৯৩৭ সাল
     
  25. মোহাম্মদ রজিবর রহমান  উপন্যাস — আনোয়ারা — ১৯১৪ সাল
     
  26. সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী  কাব্য — অনল প্রবাহ — ১৯০০ সাল
     
  27. মাইকেল মধুসূদন দত্ত ইংরেজি রচনা — The Captive Ladie — ১৮৪৯ সাল  নাটক –শর্মিষ্ঠা — ১৮৫৯ সাল
      কাব্য — তিলত্তমা সম্ভব — ১৮৬০ সাল
      মহাকাব্য — মেঘনাদ বধ — ১৮৬১ সাল
  28. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উপন্যাস ইংরেজি — Rajmohan’s Wife — ১৮৬২ সাল  উপন্যাস বাংলা — দুর্গেশনন্দিনী — ১৮৬৫ সাল
     
  29. দ্বিজেন্দ্রলাল রায়  নাটক — তারাবাঈ — ???
     
  30. মীর মোশাররফ হোসেন  নাটক — বসন্তকুমারী — ১৮৭৩ সালউপন্যাস — রত্নাবতী — ১৮৬৯ সাল
     
  31. দীনবন্ধু মিত্র  নাটক — নীলদর্পন — ১৮৬০ সাল
     
  32. রামনারায়ন তর্করত্ন  নাটক — কুলীনকুল সর্বস্ব — ১৮৫৪ সাল
     
  33. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ  গল্প — নয়নচারা — ১৯৪৫ সালউপন্যাস — লালসালু — ১৯৪৮ সাল
     
  34. হাসান হাফিজুর রহমান  কাব্য — বিমুখ প্রান্তর — ১৯৬৩ সাল
     
  35. শামসুর রহমান  কাব্য — প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে — ১৯৫৯ সাল
     
  36. শহীদুল্লাহ কায়সার  উপন্যাস — সারেং বউ — ১৯৬২ সাল
     
  37. বন্দে আলী মিঞা  কাব্য — ময়নামতির চর — ১৯৩০ সাল
     
  38. বেগম রোকেয়া  প্রবন্ধ — মতিচুর — ১৯০৪ সাল

*ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ  জন্ম ১৮৮৫ সালে, মৃত্যু ১৯৩১ সালে (১৩ই জুলাই)।

*ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ সম্পাদিত পত্রিকার নাম অঙ্কুর, ১৯২১ সালে প্রকাশিত হয়।

*Buddhist Mystic songs ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ রচনা করেন।

*ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ তিন জন চন্ডীদাসের উপস্থিতি প্রমান করেছেন

*পদ্মাবতী ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, ১৯৫০ সালে সম্পাদনা করেছেন।

*বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ রচনা করেন।

*বাংলা সাহিত্যে গাজী মিয়া  মীর মশাররফ হোসেন।

*মীর মশাররফ হোসেন জন্মগ্রহন ও মৃত্যুবরণ করেন কবে?

*‘বিষাদ সিন্ধু’ গ্রন্থের রচয়িতাজন্মঃ ১৯৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর এবং মৃত্যুঃ ১৯১১ সালের ১৯ নভেম্বর। প্রকাশিত হয়?

*‘গাজী মিয়ার বস্তানী’ রচয়িতা কে?

*মীর মশাররফ হোসেনের রচিত নাটক কি কি?



ডিম






ভূতগুলো কালো কালো
ডিম হলো নীল,
প্রতি রাতে ডিম খেয়ে
উড়ে গেল চিল।

বড় বড় দাড়ি তার
ফোটে না তো ছানা,
ডালে ডালে ঝুলে ঝুলে
ছানা ধরা মানা।

মাথা নেই-দাঁত আছে
প্রতি রাতে হাসে
বারো মাসে লোকমুখে
এই কথা ভাসে।

তেজপাতা স্মৃতিশক্তি বাড়ায়



খিচুড়ি থেকে পরমান্ন, মুগ ডাল থেকে মাংস আমাদের রান্নার সব পদেই ব্যবহার করা হয় যে তেজপাতা সে তেজপাতার ওষুধি গুণ প্রায় তুলনা রহিত। তেজপাতা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে যেমন কাজ করে তেমনি এর রয়েছে ফোলা কমানোরও গুণ। তেজপাতা রক্ত পরিষ্কার করে এবং গলার খরখরে ভাব দূর করতেও একে ব্যবহার করা যায়। নর্দামব্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক দেখেছেন, তেজপাতার মধ্যে স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর গুণও রয়েছে।
আলঝাইমার্স রোগে মানুষের স্মৃতিশক্তি নষ্ট হয়ে যায়। এ রোগের জন্য যে, এনজাইমটি দায়ী তা প্রতিরোধ করার উপাদান রয়েছে তেজপাতায়। আলঝাইমার্স রোগের উদ্দীপক অ্যাসিটাইলকোলিন নামক নিউরোট্রান্সমিটারটি তেজপাতায় থাকা উপাদান ভেঙে দেয়।
অনুঘটক হিসেবে কাজ করার সময় বিষাক্ত কিছু সৃষ্টি করে যা শরীরের জেনেটিক কোড অর্থাৎ ডিএনএ-কে আহত করে। কিছুদিন আগে সায়েন্স পত্রিকায় খবরটি প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষক দলের প্রধান আয়ন এ ব্লেয়ার বলেছেন, তবে ভিটামিন-সি পিল মানেই ক্যান্সার রোগের কারণ নয়। গবেষণায় ভিটামিন-সি পিল সম্পর্কে সতর্ক করে দিচ্ছে, এটা যেমন শরীর ভালো রাখে, তেমনি তা খারাপও কিছু করতে পারে। শরীর সম্পর্কে যারা সজাগ এবং ভালো রাখার চেষ্টা করেন তাদের এ পিল অতিরিক্ত না খাওয়াই ভালো।
ওরিগ্যান স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ব্লেয়ারের মতে, শরীরে ভিটামিন সি’র চাহিদা মেটাতে সুষম আহারই সবচেয়ে ভালো উপায়। এ ক্ষেত্রে আদর্শ আহার হিসেবে বিশেষ করে উল্লেখ করা যায়Ñ লেবু জাতীয় ফল, সবুজ শাকসবজি, শস্যদানা ইত্যাদি।
অবশ্য পরীক্ষাটা যেহেতু গবেষণাগারে টেস্ট টিউবে করা হয়েছে, তাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর আগে মানবদেহে তা বিশেষভাবে পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে বলে ব্লেয়ার মন্তব্য করেছেন।

তিনি তিনি R তিনি

পরের কষ্টে ব্যথিত, ইশ্!
মনে মনে বাজাবেন শিস।
দেখা হলে—কী অবস্থা?
কেমন চলছে? ভালো!
দেখতে ভীষণ ফরসা তিনি
মনটা শুধু কালো।

তিনি
ভীষণ করিতকর্মা
অফিসে খান আঙুর আপেল
রেস্টুরেন্টে শর্মা।
ভিখারিদের পেলে বলেন
এখন ক্ষমা কর মা।

তিনি
ডাঁটে ফাটে হাঁটেন চলেন
নিজের অতীত গল্প বলেন
নানান রঙে রসিয়ে
বেল বাজিয়ে ডেকে ডেকে
চোখের সামনে বসিয়ে।

তিনি
এমনই অদ্ভুত
সবার কথা আচরণে
খুঁজে বেড়ান খুঁত।
শর্ষে দেখেই ভাবেন তাতে
আছে কালো ভূত।

তিনি
সবখানে ফিটফাট
জেল মাখানো চুলে ডিসকো ছাঁট।
স্যুট সাফারি পরে থাকেন
গলায় বাঁধেন টাই
মাথাভরা বুদ্ধি, তবে—
মগজভরা ছাই।



অট্টহাসিতে কি ব্যায়াম হয়



হাঁটার পর অনেকে ব্যায়ামের অংশ হিসেবে অট্টহাসির চর্চা করেন। অনেকে আবার কিছুক্ষণ প্রাণ খুলে হাসার পরক্ষণেই বুক ভাসিয়ে কান্না জুড়ে দেন। এটাও এক ব্যায়াম। কিন্তু হাসি-কান্না তো মূলত কৌতুক বা বেদনাদায়ক কিছুর প্রতিক্রিয়া মাত্র। এতে কীভাবে ব্যায়াম হয়? এটা আসলে ফুসফুস, হূদ্যন্ত্র এবং গলা, বুক ও পেটের মাংসপেশির ব্যায়াম। হাসির সময় প্রবল বেগে নিঃশ্বাস বেরোয়। ডায়াফ্রামের পেশিকে বেশ শক্ত কাজ করতে হয়। আমরা অনেক সময় বলি, হাসতে হাসতে মারা গেলাম। তার মানে, অবিরাম হাসি এত কষ্টসাধ্য যে একসময় শক্তির শেষ সীমায় পৌঁছে গেছি বলে মনে হয়। একটানা হাসি বেশ চাপ সৃষ্টি করে ও হাঁপিয়ে তোলে। কিন্তু হাসি কি ব্যায়ামের মতোই শারীরিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে? ব্যায়ামের ফলে সৃষ্ট কষ্টকর অনুভূতির প্রতিক্রিয়ায় শরীর এনডরফিন নিঃসরণ করে। এতে বেদনাদায়ক অনুভূতি কমে যায়। দেখা গেছে, জোরে একটানা হাসলেও শরীরে একই ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ, হাসিও একধরনের ব্যায়াম। কান্নার ব্যাপারটাও তাই। দলবেঁধে হাসি-কান্নায় আরও ভালো কাজ হয়।

Friday, 2 November 2012

Prothom Valo laga


Tar Sathe amar prothom deka bia barite ..... prothom dekatey take valo lege gelo
Tar mukher misti hasi jeno ami vulte parsi na..... 
bar bar take dekte issa korse.....
mone mone koto na sopno aksi take nia bose bose
ki j holo amar ..... prothom valo laga amar valo lege gelo.

সারাদিন কাটে আমার হেসে খেলে
শুধু রাত জানে আমি কতোটা কষ্টে
সবাইকে বলি প্রান খুলে হাসতে
কিন্তু নিজের হাসিতেই শূন্যতা রয়েছে
সবাই দেখতে থাকে চঞ্চল দুরন্ত সত্ত্বা তাকে
কেউ বুঝতে পারেনা নিঃসঙ্গটা আমাকে গ্রাস করেছে
...
সবাই জানে আমি অনেক অনেক সুখী
কিন্তু আমি জানি আমি কি বয়ে বেড়াচ্ছি
সকল হাসি আর সকল কান্না
একই মানুষের দুই সত্ত্বা
কোনটা প্রকাশ পায়
কোনটা পায় না........