Monday, 24 December 2012

বাংলা জোকস 4

কানে কম শোনে

রণন আর নাছের দুই বন্ধুতে কথা হচ্ছে।
রণন: বুঝলি নাছের, সুলেখাকে আমি ভালোবাসতাম, কিন্তু এখন আর বাসি না।
নাছের: কেন?
রণন: মেয়েটা কানে কম শোনে।
নাছের: কী করে বুঝলি?
রণন: আমি ওকে বললাম, আমি তোমাকে ভালোবাসি। আর ও বলল, আমার পায়ের স্যান্ডেলটা নতুন!

বিক্রয়কর্মী

প্রেমিকার জন্য আংটি কিনতে জুয়েলারির দোকানে গেছে নাহিন।
নাহিন: একটা আংটি দেখান তো। আমার হবু বউকে দেব।
দোকানদার: দামি কিছু দেখাব?
নাহিন: আরে না, কম দামি হলেই হবে। কোনোমতে বিয়েটা সেরে ফেলতে পারলেই হলো। অত দামি আংটি দিয়ে কী লাভ?
পরদিন প্রেমিকার বাবার সঙ্গে দেখা করতে তার বাড়িতে গেল নাহিন।
প্রেমিকা: এ কী, মাথা নিচু করে আছ কেন? তুমি যে এত লাজুক, তা তো আমার জানা ছিল না!
নাহিন: আমারও জানা ছিল না, তোমার বাবা একজন জুয়েলারির দোকানের বিক্রয়কর্মী!

পানি খেতে ইচ্ছে করছে না তো

বিবাহে প্রবল অনিচ্ছুক এক লোককে বলা হলো:
সারাটা জীবন একা একাই কাটাবে? ভেবে দ্যাখো, তুমি যখন মরণশয্যায়, তখন তোমার মুখে পানি দেওয়ার মতো কেউ থাকবে না।
কোনো প্রতিযুক্তি দেখাতে না পেরে বিয়ে করতে রাজি হয়ে গেল লোকটা।
অনেক বছর পরের কথা। দীর্ঘ সংসারজীবন যাপনের পর লোকটি বৃদ্ধ অবস্থায় শুয়ে আছে মৃত্যুর অপেক্ষায়। তাকে ঘিরে আছে তার স্ত্রী, পুত্র-কন্যা। শুয়ে শুয়ে সে ভাবছে:
কেন যে বিয়ে করেছিলাম! পানি খেতে ইচ্ছে করছে না তো!

স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য ওষুধ

হোজ্জা একবার স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য এক হেকিমের কাছ থেকে ওষুধ নিয়েছিলেন।
কয়েক মাস পর হোজ্জা তাঁর হেকিমের কাছে গেলেন ওই ওষুধ আনার জন্য।
‘আচ্ছা, গতবার তোমাকে কী ওষুধ দিয়েছিলাম, একেবারেই মনে করতে পারছি না।’
‘তাহলে ওই ওষুধ এখন থেকে আপনি নিজেই খাবেন’, হোজ্জা বিনীত গলায় বললেন।

রসিক গোপালের চালাকি

একবার গোপাল পাড়ার এক দোকান থেকে বাকি খেয়েছে। অনেক দিন হয়ে গেল দেনা সে শোধ করছে না। তখন মুদি রেগে মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের কাছে আরজি জানাল। পাঁচ টাকা দেনা ছিল সাত টাকার দাবিতা মুদি মহারাজের কাছে নালিশ করল। গোপাল রাজার তলব পেয়ে রাজসভায় গিয়ে বলল ‘সাত টাকা নয় হুজুর, পাঁচ টাকা দেনা, আমি ক্রমে আস্তে-আস্তে শোধ করব। আমায় দয়া করে কিস্তি-বন্দী করার হুকুম দিন।’
মহারাজের তাতে আপত্তি ছিল না। কিন্তু গোল বাধলো দেনার পরিমাণ নিয়ে। পাওনাদার বলে, সাত টাকা; দেনাদার বলে পাঁচ টাকা। অবশেষে মুদির খাতা তলব করা হলো। দেখা গেল- খাতা অনুসারে সাত টাকাই দেনা দাঁড়ায় বটে! গোপাল খাতার ভেতর লেখা ভালভাবে দেখে বলল ‘হুজুর! এই যে দেখুন, কত বড় জোচ্চুরি। যে-কদিন অড়র ডাল নিয়েছি, সেই কদিনই মুদি আমার নামে ঘি-ও লিখে রেখেছে। অথচ আমি কোন দিন অড়র-ডালে ঘি খাই না। আমি গরীব মানুষ কি ঘি খেতে পারি? প্রতিদিন আমাদের কি সম্ভব অড়হরের ডাল ঘি খেতে পারা?’
মুদি বললে- ‘দেখুন হুজুর, কত বড় মিথ্যে কথা বলছে, ঘি না দিয়ে কি কেউ অড়হর ডাল রান্না করে খেতে পারে?’
মহারাজের তাই মনে হলো। মহারাজের নিজের বাড়িতেও যখনি অড়হর ডাল রান্না হয়, তখনই রাতে প্রচুর ঘি দেওয়া হয়। কাজেই গোপাল নিশ্চয়ই মিথ্যা কথা বলছে। মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র সাত টাকারই ডিক্রি দিলেন মুদিকে। কি আর করবে! গোপাল ডিক্রি অনুযায়ী মুদির ডিক্রি শোধ করল বাধ্য হয়ে।
গোপালের কিন্তু মুদি যে ঠকিয়ে টাকা নিয়েছে, এ রাগ তার কিছুতেই গেল না। সে এর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ভাবল।
মনে মনে সে ফন্দী আঁটতে লাগল- কী করে এই মুদি জব্দ করা যায়। হঠাত একদিন সে একটা বুদ্ধি বের করল। সেবছরে গোপালের বাড়িতে আখের চাষ খুব ভাল হয়েছিল। সে কিছু আখের গুড় লোকের দ্বারা তৈরী করিয়ে নিল।
তারপর বেশ কিছুদিন সে এমনভাবে আলাপ-ব্যবহার করতে লাগল মুদির সঙ্গে যে মুদির ভুলক্রমেও সন্দেহ হল না তাকে জব্দ করার ফন্দী করছে গোপাল।
গোপাল একদিন কথা প্রসঙ্গে মুদিকে বলল, সে কিছু আখের গুড় সস্তায় বিক্রি করতে চায়। সামান্য লাভ রেখেই বেচে দেবে। টাকার বিশেষ প্রয়োজন। সস্তা দামের কথা শুনে মুদি কিছু গুড় কিনতে চাইল। গোপাল গুড় বিক্রি করতে রাজি হলো যে নগদে ক্রয় করতে হবে। মুদি নগদ টাকা দিয়ে পিপে ভর্তি গুড় সস্তায় কিনে গরুর গাড়ি করে আনন্দে বাড়ি নিয়ে গেল।
কয়েকদিন পরে পিপে খুলে সে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ল। কি সর্বনাশ! সামান্য গুড় উপর দিকটায় আসে বটে, কিন্তু তার তলায় সে সবই বালি মেশানো ইট সুরকির কুচি দানা। হায় হায় করে মুদি কাঁদতে লাগল এবং মনে মনে রাগ হল।
গোপাল গুড় বিক্রি করে নগদ টাকা পেয়ে ছেলে, মেয়ে, বৌ নিয়ে বেশ কয়েকদিন বাইরে বেড়াতে গেল মনের আনন্দে।
মুদি কিছুদিন পর অনেক খোঁজাখুঁজি করে গোপালকে বার করল। গুড়ের তলায় বালি সুরকির কথা বলে চোটপাট শুরু করতেই গোপাল বলল, ‘চটো ক্যান মুদি ভাই? ঘি ছাড়া অড়হর ডাল ব্যাচন যায় না, আর আমি বালি-সুরকি ছাড়া সরেস দানা গুড় বেচুম্‌ ক্যামনে?’ এই বলে হেসে হেসে গড়িয়ে পড়ল মাটিতে।

বিয়ের আগে বাঘ

বনের ভেতর এক বাঘের বিয়ে। সেই খুশিতে বনের সব পশুই নাচ-গান শুরু করেছে। বনের এক কোণায় একটা গাধার নাচ দেখে এক বাঁদর তাকে জিজ্ঞেস করলো, ‘আরে গাধা ভাই, তুমি অযথা নাচছো কেন?’
গাধা রেগে বলল, ‘এই বনে আজ আমার ছোট ভাইয়ের বিয়ে। আমি নাচবো না তো নাচবেটা কে, শুনি?’
বাঁদর আবারও প্রশ্ন করল, ‘বাঘ আবার কবে থেকে তোমার ভাই হলো?’
‘আরে বাঁদর, বিয়ের আগে আমিও বাঘ ছিলাম। বাঘের ক্ষেত্রেও তো একই ঘটনা ঘটবে। তাহলে সে তো আমার ভাই-ই হবে, নাকি?’—গাধার উত্তর।

তুমি একটা নেকড়ে

হোজ্জার এক প্রতিবেশী শিকারে গিয়ে নেকড়ের কবল থেকে এক ভেড়াকে বাঁচিয়ে বাড়ি নিয়ে আসে, পালবে বলে। শিকারির যত্নে ভেড়াটি দিন দিন নাদুস-নুদুস হয়ে উঠল। একদিন শিকারির লোভ হলো ভেড়ার মাংস খাওয়ার জন্য। তাই জবাই করতে উদ্যত হতেই ভেড়াটি ভয়ে বিকট শব্দে চিত্কার জুড়ে ছিল। ভেড়ার চিত্কারে হোজ্জার ঘুম গেল ভেঙে। ব্যাপারটা বোঝার জন্য সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীর বাড়িতে ছুটে গেলেন হোজ্জা।
হোজ্জাকে দেখে শিকারি প্রতিবেশী লজ্জিত গলায় বললেন, ‘এই ভেড়াটার প্রাণ বাঁচিয়ে ছিলাম একবার।’
‘তাহলে ও তোমাকে গালি দিচ্ছে কেন?’
‘গালি দিচ্ছে?’
‘ভেড়া বলছে, “তুমি একটা নেকড়ে”।’

কবুল বলিস না

স্বামী টিভি দেখছিল।
হঠাত চিৎকার করে উঠল: কবুল বলিস না! কবুল বলিস না!! কবুল বলিস না!!!
রান্নাঘর থেকে স্ত্রী জিজ্ঞেস করলো: টিভিতে কি দেখছ?
স্বামী: আমাদের বিয়ের ভিডিও।

আপনার বোন মানে আমারও বোন

বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে হাবলু যখন তার নতুন বউ নিয়ে বাসায় ফিরছিল, তখন বউয়ের বড় ভাই কাঁদতে কাঁদতে হাবলুকে বললেন, ‘ভাই, আমার বোনটার দিকে একটু খেয়াল রেখো।’
বউয়ের বড় ভাইয়ের কান্না দেখে হাবলুও কেঁদে কেঁদে বলল, ‘ভাই, আপনি কোনো চিন্তা করবেন না। আপনি তো আমার বড় ভাইয়ের মতো। আপনার বোন মানে আমারও বোন। ও খুব ভালোই থাকবে।’

যমজ

হোজ্জার গ্রামে যমজ ভাই ছিল। একদিন শোনা গেল, ওই যমজ ভাইদের একজন মারা গেছে।
রাস্তায় ওই যমজ তাদের একজনকে দেখে হোজ্জা দৌড়ে গেলেন তার দিকে। জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমাদের মধ্যে কোন জন মারা গেছে-তুমি না, তোমার ভাই?’

সেই জুয়েলারির দোকানের ঠিক পাশে

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ফোনে কথা হচ্ছে।
স্ত্রী: (ধমকের স্বরে) কোথায় তুমি?
স্বামী: প্রিয়তমা, তোমার কি সেই জুয়েলারির দোকানটার কথা মনে আছে, যে দোকানের একটা গয়নার সেট তুমি পছন্দ করেছিলে এবং বলছিলে, ‘ইশ্! যদি এটা কিনতে পারতাম?’
স্ত্রী: (গদগদ স্বরে) হ্যাঁ প্রিয়তম, মনে আছে!
স্বামী: আমি সেই জুয়েলারির দোকানের ঠিক পাশের দোকানে বসে চা খাচ্ছি।

রাম নাম জপলে ভূত ছাড়ে

বেড়াতে বেরিয়ে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র একবার গোপালের হাত চেপে ধরে আস্তে আস্তে মোচড়াতে লাগলেন।
গোপাল: আমার হাত নির্দোষ, ওকে রেহাই দিন।
রাজা: জোর করে ছাড়িয়ে নাও।
গোপাল: সেটা বেয়াদবি হবে।
রাজা: উহু, তাহলে হাত ছাড়ব না।
গোপাল তখন যে রোগের যে দাওয়াই বলে রাম নাম জপতে থাকলেন।
রাজা: এতে কি আর কাজ হবে? দাওয়াই কোথায়?
গোপাল: রাম নাম জপাই তো মোক্ষম দাওয়াই।
রাজা: মানে?
গোপাল: পিতামহ, প্রপিতামহের আমল থেকে শুনে আসছি, রাম নাম জপলে ভূত ছাড়ে।
রাজা গোপালের হাত ছেড়ে দিলেন সঙ্গে সঙ্গে।

বিয়ের মধ্যে পার্থক্য

অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ আর প্রেমের বিয়ের মধ্যে পার্থক্য বের করতে যাওয়া আসলে আহাম্মকি ছাড়া আর কিছু না।ব্যাপারটা আসলে ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা আর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার মধ্যে পার্থক্য নিরূপণের মতো বিষয়।

অশুভ

রাজার মেজাজ খারাপ। রাজপ্রাসাদ থেকে বেরিয়ে শিকারে যাওয়ার পথে হোজ্জা সামনে পড়ে গেলেন।
‘শিকারে যাওয়ার পথে হোজ্জার সামনে পড়ে যাওয়াটা আমার ভাগ্যের জন্য খারাপ’, প্রহরীদের রাগত গলায় বললেন রাজা। ‘আমার দিকে ওকে তাকাতে দিয়ো না-চাবুকপেটা করে ওকে পথ থেকে সরিয়ে দাও।’
প্রহরীরা তা-ই করল।
শিকার কিন্তু ভালোই হলো।
রাজা হোজ্জাকে ডেকে পাঠালেন।
‘আমি সত্যি দুঃখিত, হোজ্জা। ভেবেছিলাম তুমি অশুভ। কিন্তু তুমি তা নও।’
‘আপনি ভেবেছিলেন আমি অশুভ!’ হোজ্জা বললেন। ‘আপনি আমাকে দেখার পর ভালো শিকার করেছেন। আর আমি আপনাকে দেখে চাবুকপেটা খেয়েছি। কে যে কার অশুভ, বুঝলাম না।’

ভূত

রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের দরবারে রাজবৈদ্য নিয়োগ দেওয়া হবে। দেশদেশান্তর থেকে চিকিত্সকেরা এলেন যোগ দিতে। গোপালকে রাজা দায়িত্ব দিলেন চিকিত্সক নির্বাচনের। গোপাল খুশিমনে বসলেন তাঁদের মেধা পরীক্ষায়।
—আপনার চিকিত্সালয়ের আশপাশে ভূতের উপদ্রব আছে?
—জি আছে। প্রচুর ভূত। ওদের অত্যাচারে ঠিকমতো চিকিত্সা পর্যন্ত করতে পারি না। দিন দিন ওদের সংখ্যা বাড়ছেই।
এবার দ্বিতীয় চিকিত্সকের পালা।
—আপনার চিকিত্সালয়ের আশপাশে ভূতের উপদ্রব কেমন?
—আশ্চর্য, আপনি জানলেন কীভাবে! ওদের জ্বালায় আমি অস্থির। দিন দিন ওদের সংখ্যা বাড়ছেই।
এভাবে দেখা গেল সবার চিকিত্সালয়ের আশপাশেই ভূতের উপদ্রব আছে। একজনকে শুধু পাওয়া গেল, যাঁর কোনো ভূতসংক্রান্ত ঝামেলা নেই। গোপাল তাঁকে রাজবৈদ্য নিয়োগ দিলেন। পরে দেখা গেল এই চিকিত্সকই সেরা। রাজাও খুশি। একদিন রাজা ধরলেন গোপালকে। গোপাল বললেন, ‘আজ্ঞে মহারাজ, দেখুন, সবার চিকিত্সাকেন্দ্রের আশপাশে ভূতের উপদ্রব শুধু বাড়ছে আর বাড়ছে। এর অর্থ হলো, তাঁদের রোগী মরে আর ভূতের সংখ্যা বাড়ে…আর যাঁকে নিলাম, তাঁর ওখানে কোনো ভূতের উপদ্রব নেই…অর্থাত্ তাঁর রোগীএকজনও মরে না।

রিমোট কন্ট্রোল

এক ভদ্রমহিলা কেনাকাটা শেষে টাকা দেওয়ার সময় বিক্রেতা লক্ষ করলেন, ভদ্রমহিলার ব্যাগের ভেতরে একটা টিভি রিমোট কন্ট্রোল।
বিক্রেতা: কিছু মনে করবেন না, ম্যাডাম, আপনি কি সব সময় ব্যাগে রিমোট কন্ট্রোল রাখেন?
ভদ্রমহিলা: না। শুধু যেদিন আমার স্বামী আমার সঙ্গে মার্কেটে আসতে রাজি হয় না, সেদিন!

বাংলা জোকস 3

বাসায় কে কে আছেন

প্রেমিক-প্রেমিকার কথোপকথন—
প্রেমিক: আমি মনে হয় তোমাকে বিয়েটা করতে পারব না।
প্রেমিকা: এত দিন পর এ কথা বলছ কেন? কেন, কী হয়েছে বলো তো শুনি?
প্রেমিক: না, তেমন কিছু না। আমার বাসা থেকে নিষেধ আছে।
প্রেমিকা: তা তোমার বাসায় কে কে আছেন?
প্রেমিক: বেশি না। আমার এক স্ত্রী আর তিন সন্তান।

গবেটের সঙ্গে জীবন কাটাবে

মেয়ের প্রেমিকের উদ্দেশ্যে বাবা বললেন, আমার মেয়ে একটা গবেটের সঙ্গে তার জীবনটা কাটাবে এ আমি কিছুতেই হতে দিতে পারি না।
প্রেমিক বলল, সে জন্যই তো ওকে আপনার বাড়ি থেকে তাড়াতাড়ি আমার বাড়ি নিয়ে যেতে চাই।

কাফনের খরচ

: বাবাকে বল নি, আমাকে না পেলে তুমি বাঁচবে না।
: বলেছিলাম।
: কী বলেছেন বাবা?
: বলেছেন- ‘চিন্তা করো না, কাফনের খরচ দিয়ে দেব’।

আলাদা বিল

প্রেমিক – প্রেমিকা হোটেলে বসে খাচ্ছে। প্রচুর খাবারের অর্ডার দেওয়া হয়েছে।
প্রেমিক : তা হলে তুমি আমাকে বিয়ে করবে না বলে ঠিক করেছ?
প্রেমিকা : হ্যাঁ, আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারব না।
প্রেমিক : এই বেয়ারা, আমাদের দু’জনের দুটো আলাদা বিল নিয়ে এস।


নারী বনাম পুরুষ

হাতের লেখা
পুরুষ : লেখা কোনো রকমে পড়া গেলেই হলো। কাকের ঠ্যাং-বকের ঠ্যাং কী হচ্ছে তা নিয়ে মোটেও মাথা ঘামায় না।
নারী : লেখা হতে হবে মুক্তোর মতো ঝরঝরে।
কেনাকাটা
নারী : প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের লিস্ট বানিয়ে বাজারে গিয়ে সেগুলো কিনে আনে।
পুরুষ : যতক্ষণ না বাড়ির চাল-ডাল সব শেষ বলে বউ চেঁচাতে শুরু করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত বাজারে যেতে চায় না। বাজারে গিয়ে যা পছন্দ হয় তা-ই কিনতে চায়। কখনো কখনো দাম দিতে গিয়ে দেখে, সে মানিব্যাগ আনতে ভুলে গেছে।
মিতব্যয়িতা
নারী : এক টাকা দামের জিনিসের জন্য কখনোই দুই টাকা খরচ করবে না। তা সে যত পছন্দসই হোক না কেন।
পুরুষ : যা পছন্দ হবে তা কিনতেই হবে। জিতে কিংবা ঠকে যেভাবেই হোক।
তর্ক
নারী : তর্কাতর্কির শেষ কথাটি হবে নারীর।
পুরুষ : নারীর পর পুরুষের কথা বলা মানে নতুন তর্কের শুরু।
প্রেম
পুরুষ: প্রতিটি পুরুষই চায় কোনো নারীর প্রথম প্রেম হতে।
নারী: নারীরা চায় তারা তাদের ভালোবাসার পুরুষটির শেষ প্রেম হোক।
ব্রেকআপ
নারী : সম্পর্ক ভেঙে গেলে কাছের কোনো বান্ধবীকে জড়িয়ে হাপুস নয়নে কাঁদতে থাকে। কিংবা ‘পুরুষ বড় নির্বোধ’ জাতীয় কবিতা লেখা শুরু করে এবং নতুনভাবে জীবনটা শুরু করার চেষ্টা করে।
পুরুষ : ব্রেকআপ হওয়ার ছয় মাস পরও সাবেক প্রেমিকাকে রাতবিরেতে ফোন করে ‘ডাইনি, তুই আমার জীবনটা শেষ করে দিলি’—এ জাতীয় ডায়ালগ ঝাড়তে থাকে।
বিয়ে
নারী : মনে করে বিয়ের পর হাজব্যান্ড বদলে যাবে, কিন্তু তা হয় না।
পুরুষ : মনে করে প্রেমিকা স্ত্রী হওয়ার পরও একই রকম থাকবে। কিন্তু স্ত্রী বদলে যায়।
স্মৃতি
নারী : যে পুরুষটি তাকে বিয়ে করতে চায় তাকে সারা জীবন মনে রাখে।
পুরুষ : সেসব নারীকে মনে রাখে যাদের সে বিয়ে করেনি।
বাথরুম
পুুরুষ : সাধারণত ছয়টি জিনিস থাকে। সাবান, সেভিং ক্রিম, রেজর, টুথব্রাশ, আর তোয়ালে (ক্ষেত্রবিশেষে কোনো হোটেল থেকে চুরি করা)।
নারী : সাবান, টুথব্রাশ, টুথপেস্ট তো আছেই সেই সঙ্গে শ্যাম্পু, চিরুনি, লিপস্টিক….আরও কত কী! বেশির ভাগ জিনিস পুরুষেরা চিনবেই না।
জুতো
নারী : গরমের দিনে অফিস ডেস্কের নিচে পা ঢুকিয়ে জুতো খুলে রাখে।
পুরুষ : সারা দিন এক জুতা-মোজাই পায়ে দিয়ে রাখে।
পশু-পাখি
নারী : পশু-পাখি ভালোবাসে।
পুরুষ : পশু-পাখিকে কষ্ট দিতে ভালোবাসে।
সন্তান
নারী : নারীরা তাদের সন্তানদের পুরোপুরি চেনে। তাদের সুখ, দুঃখ, স্বপ্ন, বন্ধু, গোপন ভয় এমনকি গোপন প্রেম সম্পর্কেও তারা জানে।
পুরুষ : নিজের বাড়িতে মোট কয়জন মানুষ আছে তা-ও সব সময় মনে রাখতে পারে না।
অলংকার
নারী : যেকোনো ধরনের অলংকার পরলেই নারীদের সুন্দর দেখায়।
পুরুষ : বড়জোর একটা আংটি কিংবা ব্রেসলেট। এর চেয়ে বেশি কিছু পরলেই লোকে মন্দ বলতে শুরু করে।
বন্ধু
নারী : বান্ধবীরা মিলে আড্ডা দিতে গেলে নিজেদের সুখ-দুঃখের আলাপেই ব্যস্ত থাকে।
পুরুষ : পুরুষদের আড্ডায় ‘দোস্ত তোর লাইটারটা দে তো’ জাতীয় কথাবার্তাই বেশি শোনা যায়।
বাইরে খাওয়া
নারী : ভাগাভাগি করে বিল দেয়।
পুরুষ : সবাই চায় অন্যের ওপর বিল চাপিয়ে দিতে। কারও কাছেই ভাংতি থাকে না।
কাপড় ধোয়া
নারী : প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত কাপড় কাচে।
পুরুষ : চিমটি কাটলে ময়লা বের না হওয়া পর্যন্ত কাপড়ে সাবান ছোঁয়ায় না।

জুতা নিয়েই এসো

ছেলে ও মেয়ের মধ্যে কথা হচ্ছে—
ছেলে: ওগো, তুমি আমার হূদয়ের মাঝে চলে এসো।
মেয়ে: জুতা খুলে আসব?
ছেলে: আরে বুদ্ধু, এটা তোমার মায়ের পরিষ্কার করা ঘর নয়। জুতা নিয়েই এসো।

ডিম পেড়ে দেখাও

মোরগ: এই শোনো!
মুরগি: আমাকে বলছেন?
মোরগ: হ্যাঁ, আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি। তোমার জন্য আমি সবকিছু করতে পারি।
মুরগি: সত্যি! তুমি আমার জন্য সবকিছু করতে পার? তাহলে কষ্ট করে একটা ডিম পেড়ে দেখাও না!

শুধুই তোমাকে

একজন লাস্যময়ী তরুনী কার্ডের দোকানে গিয়ে প্রেমিককে দেওয়ার মতো সবচেয়ে সুন্দর কার্ডটি দেখতে চাইল। দোকানি একটি কার্ড বের করে আনল। তাতে লেখা, ‘আমি ভালবাসি তোমাকে …শুধুই তোমাকে।
মেয়েটির কার্ড দেখে খুব পছন্দ হল, সে দোকানিকে এক ডজন কার্ড দিতে বলল।

খরচটা সার্থক

প্রেমিক : জান, এই যে অন্ধকার ট্যানেলটা আমরা এইমাত্র পার হয়ে এলাম, এটা দুই মাইল লম্বা আর এটা তৈরি করতে খরচ পড়েছে প্রায় দশ কোটি টাকা।
প্রেমিকা ( অবিন্যস্ত পোশাক ঠিক করেত করতে)
: হুঁ ! খরচটা সার্থক হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

তোমার জন্য এ্যাম্বুলেন্স

রেস্টুরেন্টে প্রেমিক-প্রেমিকা
প্রেমিক : কী খাবে?
প্রেমিকা : আমার জন্য এক কাপ চা হলেই চলবে তোমার জন্য এ্যাম্বুলেন্স।
প্রেমিক : মানে?
প্রেমিকা : মানে ঐ দেখ আমার স্বামী ঢুকছেন-
কিন্তু দেখা গেল স্বামীর পিছন পিছন ঢুকছে আরেক তরুনী। এবার প্রেমিকা (মানে ঐ স্বামীর প্রকৃত স্ত্রী) মূর্ছা গেলেন। প্রেমিকের জন্য আনা এ্যাম্বুলেন্সে করে প্রেমিকাকে নিয়ে ছুটতে হল হসপিটালে।

পুরোনো প্রেমিকার চিঠি

বহুদিন পর আমার পুরোনো প্রেমিকার চিঠি পেলাম। চিঠির ভাষা ছিল এ রকম-
প্রিয় মজনু, তোমার সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙাটাই ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল। আজ আমি বুঝতে পেরেছি, পৃথিবীতে তুমিই আমায় সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতে। আমরা কি পারি না পুরোনো সম্পর্কটা নতুন করে তৈরি করতে? তোমার উত্তরের প্রতীক্ষায় রইলাম।
ইতি-তোমার জুলি
পুনশ্চঃ লটারিতে এক কোটি টাকা পাওয়ার জন্য অভিনন্দন।

বিয়ে করতে রাজি

ছেলেঃ দেখ, আমার মনে হয় এবার আমাদের বিয়ে করে নেওয়া উচিত।
মেয়েঃ সেটা মানছি, কিন্তু কারা এমন মানুষ আছে যে আমাদের বিয়ে করতে রাজি হবে?

ইংরেজি জানি না

এক ছেলে তার বান্ধবীকে বলল, যখন ওই ইংরেজ ছেলেটা তোমার হাত ধরল, তুমি তাকে ধমক দিলে না কেন?
বান্ধবী বলল, কীভাবে দেব। আমি তো ইংরেজি জানি না।

পৃথিবীতে কত সুন্দরী

হাবলুঃ তুমি যদি আমাকে বিয়ে না করো, তাহলে আমি নির্ঘাত আত্মহত্যা করব।
বান্ধবীঃ ছি, আত্মহত্যা করবে কেন? পৃথিবীতে কত সুন্দরী মেয়ে আছে।
হাবলুঃ বাপ রে, তুমিই বিয়ে করতে চাইছ না, আবার সুন্দরী মেয়ে!

প্রকৃত ভালোবাসা

দুই প্রেমিক-প্রেমিকা ঠিক করেছে আত্মহত্যা করবে। উঁচু পাহাড় থেকে প্রথমে ছেলেটি ঝাঁপ দিল, কিন্তু মেয়েটি দিল না। সে চোখ বন্ধ করে বলল, ভালোবাসা অন্ধ।
এদিকে ঝাঁপ দেওয়ার পর ছেলেটি প্যারাসুট খুলে বলল, প্রকৃত ভালোবাসা কখনো মরে না!

আমিও তোমাকে খুব ভালোবাসি

গুল্লু আর গাবলু একদিন একটা রেস্তোরাঁয় গেছে। সুস্বাদু খাবার খাওয়ার পর গাবলু বলল, আমি তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি, গুল্লু!
গুল্লু উত্তর দিল, কিন্তু আমি তো তোমাকে একটুও ভালোবাসি না।
গাবলু বলল, ভালো করে ভেবে দেখেছ তো?
গুল্লু বলল, হ্যাঁ, হ্যাঁ, বললাম তো আমি তোমাকে একটুও ভালোবাসি না।
গাবলু বলল, আচ্ছা, ঠিক আছে। ওয়েটার, দুটো আলাদা বিল নিয়ে এসো তো।
গুল্লু সঙ্গে সঙ্গে বলল, ঠিক আছে, ঠিক আছে, আমিও তোমাকে খুব ভালোবাসি।

এমন কোন ইডিয়ট নেই যে আমাকে বিয়ে করবে

বিয়ের দিনক্ষণ পাকা। এমন পর্যায়ে প্রেমিক প্রেমিকার মধ্যে কথা হচ্ছে —
প্রেমিকঃ এখন কাউকে কিছু বলব না, একেবারে বিয়ে করে সবাইকে চমকে দেব।
প্রেমিকাঃ আমি শুধু রহমানকে একবার বলব।
প্রেমিকঃ এত লোক থাকতে রহমান কেন?
প্রেমিকাঃ ও-ই আমাকে বলেছিল, পৃথিবীতে এমন কোন ইডিয়ট নেই যে আমাকে বিয়ে করবে।

কোন গাধাই বিয়ে করবেনা

প্রেমিক-প্রেমিকা নিজেরাই নিজেদের বিয়ে ঠিক করেছে। ছেলেটা বলল, আমাদের বিয়ের এই খবরটা বিয়ের আগের দিন পযর্ন্ত কাউকে আমরা জানাবো না । খবরটা শুধু বিয়ের আগের দিন আমরা সবাইকে জানাবো এবং এইটা একটা Surprise হবে।
মেয়েটা বলল, আমি শুধু একজনকে এই খবরটা জানাতে চাই।
ছেলে :- কেন?
মেয়ে :- পাশের বাড়ির কালু আমাকে একদিন বলেছিল, কোন গাধাই নাকি আমাকে বিয়ে করবেনা। তাই ওকে জানাতে হবে।


বাংলা জোকস 2

ক্ষয়ক্ষতি

প্রথম বন্ধু: জানিস, গত রাতে আমাদের বাড়ির ওপর দিয়ে প্রচণ্ড ঝড় বয়ে গেছে।
দ্বিতীয় বন্ধু: বলিস কি? তা তোদের বাড়ির কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে?

এত ঝড়-বৃষ্টি

শিক্ষক: পল্টু, মনে করো, তুমি জাহাজে করে যাচ্ছ। এমন সময় প্রচণ্ড ঝড় আর বৃষ্টি। কী করবে তুমি?
পল্টু: স্যার, আমি দ্রুত নোঙর ফেলব।
শিক্ষক: ধরো, একটু পর আবারও ঝড়! বৃষ্টি! কী করবে তুমি?
পল্টু: স্যার, আমি আবারও নোঙর ফেলব।
শিক্ষক: আবারও ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে?
পল্টু: আবারও নোঙর ফেলব!
শিক্ষক: ওহ্! তুমি এত নোঙর পাও কই?
পল্টু: স্যার, আপনি এত ঝড়-বৃষ্টি পান কই?

ছাতা মাথায় দিয়ে যা

মালিক বলছে চাকর আবুলকে, ‘আবুল, আজ গাছে পানি দিয়েছিস?’
আবুল: জি না হুজুর! বাইরে তো বৃষ্টি নেমেছে।
মালিক: তো কী হয়েছে? ছাতা মাথায় দিয়ে যা!

একটু ধাক্কা দেবেন

গভীর রাত। প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছে।
কেউ একজন চিৎকার করে বলছে, ‘এই যে ভাই, কেউ আছেন? একটু ধাক্কা দেবেন?’
চিৎকার শুনে ঘুম ভেঙে গেল মিসেস মলির। মলি তাঁর স্বামী রফিক সাহেবকে ধাক্কা দিয়ে বললেন, ‘এই যে, শুনছো, কে যেন খুব বিপদে পড়েছে!’
ঘুমাতুর কণ্ঠে বললেন রফিক, ‘আহ্! ঘুমাও তো! লোকটার কণ্ঠ শুনে মাতাল মনে হচ্ছে।’
অভিমানের সুরে বললেন মলি, ‘মনে আছে সেই রাতের কথা? সেদিন তোমার কণ্ঠও মাতালের মতোই শোনাচ্ছিল।’
রফিক বললেন, ‘মনে আছে। সে রাতেও প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছিল। তোমার খুব শরীর খারাপ করেছিল। গাড়িতে করে তোমাকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ গাড়ি বন্ধ হয়ে গেল। সেদিন আমিও চিৎকার করেছিলাম, কেউ আছেন? একটু ধাক্কা দিয়ে দেবেন?’
মলি বললেন, ‘মনে আছে তাহলে। সেদিন যদি তোমার চিৎকার শুনে একটা লোকও এগিয়ে না আসত, কী হতো বলো তো? আজ অন্যের বিপদে তুমি যাবে না? প্লিজ, একটু গিয়ে দেখো না!’
অগত্যা উঠতে হলো রফিক সাহেবকে। ভিজে চুপচুপা হয়ে কাদা-পানি মাড়িয়ে এগিয়ে চললেন তিনি শব্দের উৎস লক্ষ্য করে। বললেন, ‘কোথায় ভাই আপনি?’
শুনতে পেলেন, ‘এই তো, এদিকে। বাগানের দিকে আসুন।’
রফিক সাহেব এগোলেন। আবারও শুনতে পেলেন, ‘হ্যাঁ হ্যাঁ…ডানে আসুন। নিম গাছটার পেছনে…।’
রফিক সাহেব আরও এগোলেন।
‘আহ্! ধন্যবাদ! আপনার ভাই দয়ার শরীর। কতক্ষণ ধরে দোলনায় বসে আছি, ধাক্কা দেওয়ার মতো কাউকে পাচ্ছি না!’ বলল মাতাল!

গোপালের অতিথি-সৎকার

এক বিদেশী পথিক রাত্রে অজানা জায়গায় এসে পড়েছে। তার উপর বৃষ্টি ও ঝড় নামল খুব জোরে। এই ঘন অন্ধকারে মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। এ সময় কোথায় আশ্রয় না নিলে নয়। সে পথের ধারে এক বাড়ির দরজায় বার বার আঘাত করতে লাগল। এ গৃহ-স্বামীটি হচ্ছেন গোপাল। তিনি উপর থেকে জানালা খুলে জিজ্ঞেস করলেন, কে হে বাপু তুমি? এত রাতে কড়া নাড়ানাড়ি করছ কেন?
পথিক। আজ্ঞে আমি বহুদূর থেকে আসিয়াছি, বিদেশি পথিক।
গোপাল। এখানে আপনার কি চাই?
পথিক। রাত্রিটা এখানে থাকতে চাই মহাশয়।
গোপাল। তা থাকতে পারো এখানে। তার জন্য আমাকে ডাকবার কোন দরকার ছিল না তো। ওটা সরকারী রাস্তা, যে কেউ ওখানে থাকতে পারে। বাড়ির বাইরের এই আশ্রয়টুকুর জন্য প্রার্থনার কোন প্রয়োজনই বা কী? না না, আমার কোন আপত্তিই নাই। তুমি নিশ্চিন্ত মনে থাকতে পার।
কিন্তু পরে সেই পথিককে আদর করে ঘরে ডেকে নিয়ে খেতে ও আশ্রয় দিয়ে এবং শুকনো কাপর চোপড় দিয়ে তার সেদিন বহু উপকার করে ছিল।

ভালো ঘুম হয় না

খোকন: জানেন স্যার, গতকাল আমার দাদিকে আপনার কথা বলছিলাম।
স্যার: তাই নাকি? তা তোমার দাদি কী বললেন?
খোকন: দাদি খুব আফসোস করলেন। বললেন, ‘আহা, আমার যদি এমন একজন শিক্ষক থাকত!’
স্যার: বাহ্! এ বয়সেও তোমার দাদির পড়ালেখায় এত আগ্রহ!
খোকন: না স্যার, তা না। দাদির অনেক দিন ভালো ঘুম হয় না কি না…

অনেক বড় হাত

শিক্ষক: সবুজ, বল তো দেখি আমার এক হাতে ১০টা আপেল, অন্য হাতে আটটা আপেল, তাহলে আমার কী আছে?
সবুজ: স্যার, আপনার অনেক বড় হাত আছে!

পেছনে আসার গিয়ার

নতুন গাড়ি কিনেছে হাবলু। পরদিন হাবলুর মা বললেন, ‘হাবলু বাবা, আজ মেহমান আসবে। এদিকে ঘরে বাজার-সদাই কিচ্ছু নেই। জলদি বাজার করে আয়, দেরি করিস না।’
হাবলু বলল, ‘তুমি কোনো চিন্তা কোরো না মা, বাজার দূরে হলে কী হবে, এখন তো আমার গাড়ি আছে। আমি এই যাব আর আসব।’
হাবলু গেল বাজারে, এদিকে ফেরার আর নাম নেই। মা তো দুশ্চিন্তায় শেষ।
অনেকক্ষণ বাদে ফিরল হাবলু।
মা: কিরে, তোর এত দেরি হলো কেন?
হাবলু: আর বোলো না মা, বাজারে যেতে তো লাগল ২০ মিনিট। কিন্তু ফেরার সময় দুই ঘণ্টা পেরিয়ে গেল।
মা: কেন কেন?
হাবলু: বোকা গাড়িওয়ালারা সামনে যাওয়ার গিয়ার দিয়েছে চারটা, আর পেছনে আসার গিয়ার মাত্র একটা?!

সর্দারজি মুচকি মুচকি হাসছে

সর্দারজি নতুন নতুন গাড়ি চালানো শিখেছেন। হাইওয়ে ধরে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনাক্রমে তিনি একটা গাড়ির পেছন থেকে ধাক্কা দিলেন। গাড়ি থেকে নেমে এল বিশালদেহী এক কুস্তিগির। সর্দারজির শার্টের কলার ধরে তাকে টেনেহিঁচড়ে গাড়ি থেকে বের করে বলল, ‘কত বড় সাহস, আমার নতুন গাড়ি তুমি ভেঙে ফেলেছ? আজ তোমাকে দেখাব মজা।’
রাস্তার পাশের মাঠে গোল একটা বৃত্ত আঁকল কুস্তিগির। সর্দারজিকে বৃত্তের মাঝখানে দাঁড় করিয়ে বলল, ‘এখানে দাঁড়িয়ে দেখো, তোমার গাড়ি আমি কী করি। কিন্তু খবরদার, এই বৃত্ত থেকে বের হবে না।’
সর্দারজির গাড়ির দরজাটা এক লাথি দিয়ে ভেঙে ফেলল কুস্তিগির। পেছনে তাকিয়ে দেখে, সর্দারজি মুচকি মুচকি হাসছেন।
আরও খেপে গেল কুস্তিগির। সে সর্দারজির গাড়ির জানালাগুলো ভেঙে ফেলল। তবু সর্দারজির হাসি থামে না। রেগেমেগে কুস্তিগির বলল, ‘এই বুদ্ধু, তুমি হাসছ কেন?’
সর্দারজি বললেন, ‘বুদ্ধু আমি না তুমি? তুমি যতবার গাড়ি ভাঙার জন্য পেছনে ফিরেছ, ততবার আমি বৃত্ত থেকে বের হয়েছি, তুমি দেখোনি!’

অদৃশ্য হওয়ার ক্রিম

বাড়িতে অতিথি এসেছেন। অতিথিদের নিয়ে খেতে বসেছেন বাড়ির কর্তা-কর্ত্রী। চলছে বেশ গল্পসল্প। অতিথিদের ছোট্ট ছেলেটার সঙ্গে আবার সে বাড়ির পিচ্চি ছেলেটার দারুণ ভাব। দুজন ভেতরের ঘরে খেলছিল।
হঠাৎ বড়দের সামনে এসে দাঁড়াল দুই পিচ্চি। আড়চোখে দুজনকে দেখে বাড়ির কর্তার চোখ তো ছানাবড়া! দুজনের গায়েই যে জন্মদিনের পোশাক! ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক হয়ে গেলেন তিনি। এদিকে দুজনকে চোখে পড়েছে অতিথিদেরও। তাঁরাও ভীষণ বিব্রত! লজ্জা পেয়ে দুজনকে দেখেও না দেখার ভান করলেন তাঁরা।
খাবার টেবিল ঘিরে একবার চক্কর খেল দুই শিশু। ভেতরের ঘরে যেতে যেতে একজন আরেকজনকে বলল, ‘বলেছিলাম না? অদৃশ্য হওয়ার ক্রিমটা সত্যিই কাজের!’

লোক দেখানো যাওয়া

শফিক আর কেয়া—দুজনের ছোট্ট সংসার। এর মাঝে একদিন উটকো এক অতিথির আগমন।
দিন গড়িয়ে সপ্তাহ পেরোয়, অতিথির আর যাওয়ার নামগন্ধ নেই। বিরক্ত হয়ে একদিন লোকটাকে তাড়ানোর ফন্দি আঁটল দুজন।
পরদিন সকাল না হতেই তুমুল ঝগড়া শুরু করল শফিক-কেয়া। ঝগড়া একসময় হাতাহাতির পর্যায়ে চলে গেল।
অবস্থা বেগতিক দেখে চুপচাপ বাক্স-পেটরা নিয়ে বেরিয়ে পড়ল অতিথি।
অতিথি বেরিয়ে গেলে ঝগড়া থামাল দুজন। কেয়াকে বলল শফিক, ‘ওগো, বেশি লেগেছে তোমার?’
কেয়া: আরে নাহ্! আমি তো লোক দেখানো কাঁদছিলাম!
এমন সময় দরজা দিয়ে ঢুকতে ঢুকতে বলল অতিথি, ‘আমিও তো লোক দেখানো গিয়েছিলাম!’

কে বেশি পেটুক

নাসিরুদ্দিন হোজ্জার বাড়িতে তাঁর কিছু বন্ধু এসেছেন। অতিথিদের তরমুজ দিয়ে আপ্যায়ন করলেন হোজ্জা। বন্ধুদের সঙ্গে খেতে বসলেন হোজ্জা নিজেও।
হোজ্জার পাশেই বসেছিলেন তাঁর এক দুষ্টু বন্ধু। তরমুজ খেয়ে খেয়ে বন্ধুটি হোজ্জার সামনে তরমুজের খোসা রাখছিলেন। খাওয়া শেষে দেখা গেল, হোজ্জার সামনে তরমুজের খোসার স্তূপ।
দুষ্টু বন্ধুটি অন্যদের বললেন, ‘দেখেছেন কাণ্ড? হোজ্জা কেমন পেটুক? তার সামনে তরমুজের খোসার স্তূপ হয়ে গেছে’!
হোজ্জা হেসে বললেন, ‘আর আমার বন্ধুটির সামনে দেখছি একটা খোসাও নেই! উনি খোসাশুদ্ধ খেয়েছেন! এখন আপনারাই বলুন, কে বেশি পেটুক!’

স্ত্রী কাঁদছে, কাঁদুক

বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গেছেন শাকিল। গিয়ে দেখেন বন্ধুর স্ত্রী কাঁদছেন।
শাকিল: কিরে, তোর বউ কাঁদছে কেন?
বন্ধু: জানি না। জিজ্ঞেস করিনি।
শাকিল: ওমা! জিজ্ঞেস করিসনি কেন?
বন্ধু: আগে যতবার জিজ্ঞেস করিছি, প্রতিবারই আমাকে ফতুর হতে হয়েছে!

পাঁচটি ফুলের নাম

বাড়ির ছোট্ট মেয়েটার সঙ্গে খাতির জমানোর চেষ্টা করছেন অতিথি।
অতিথি: বাবু, তুমি কোন ক্লাসে পড়ো?
ছোট্ট মেয়ে: ক্লাস ওয়ানে।
অতিথি: বাহ্! পাঁচটি ফুলের নাম বলো তো দেখি।
ছোট্ট মেয়ে: দুটি গোলাপ, তিনটি জবা!

চোরের সাথে খোঁজাখুজি

পদা: কাল রাতে ঘরে চোর এসেছিল।
গদা: বলিস কী!
পদা: ঘুম ভেঙে গেলে তাকে জিজ্ঞেস করলাম, সে কী করছে? বলল, টাকা-পয়সা খুঁজছে।
গদা: তুই চোরটাকে ধরে পুলিশে দিস নাই?
পদা: না…
গদা: তবে?
পদা: আমিও তার সাথে টাকা-পয়সা খুঁজতে শুরু করছিলাম।

সব পুরুষরাই সমান

মেয়েরা যখন বলে, সব পুরুষরাই সমান, তখন বুঝতে হবে মেয়েটির স্বামী বা বয়ফ্রেণ্ড চাইনীজ এবং চায়নাতে বেড়াতে যাওয়ার পর মেয়েটি তার স্বামী বা বয়ফ্রেণ্ডকে হারিয়ে ফেলে রাস্তায় রাস্তায় খুঁজে বেড়াচ্ছে।

বাংলা জোকস

কোলের বান্দর

এক ভদ্র মহিলা বাচ্চা কোলে নিয়ে বাসে চড়ল। বাস চালক মুচকি হেসে বলল, “বাচ্চাটি দেখতে কুৎসিত।”
মহিলা ভাড়া চুকিয়ে দিয়ে পিছনের একটা সিটে গিয়ে বসল এবং রাগে গজগজ করতে লাগল।
মহিলাকে এমন করতে দেখে পাশের সিটের ভদ্রলোক জিজ্ঞেস করলো কি হয়েছে।
“বাস ড্রাইভাই আমাকে অপমান করছে!”, ভদ্রমহিলা উত্তর দিল।
সহানুভূতি দেখিয়ে ভদ্রলোক বলল, “নাহ, সে পাবলিক সার্ভেন্ট। প্যাসেঞ্জারদের সাথে সে এরকম ব্যবহার করতে পারে না।”
“ঠিক বলেছেন। আমার মনে হয় ফিরে গিয়ে তাকে একটা উচিত জবাব দিয়ে আসি।”
“ঠিক আছে, যান। তবে আপাতত কোলের বান্দরটাকে আমার কাছে দিয়ে যান।”

ওহ শিট!

তিনজন নানের মধ্যে কথা হচ্ছিল। প্রথম জন বলল, ‘ফাদারের ঘর পরিস্কারের সময় আমি কি পেয়েছিলাম জানো? অনেকগুলো পর্ণগ্রাফিক ম্যাগাজিন!’
‘তো তুমি সেগুলো দিয়ে কী করলে?’ অন্য জন্য জিজ্ঞেস করল।
‘ফেলে দিয়েছিলাম।’
দ্বিতীয়জন বলল, ‘গতকাল আমি তার ঘরে অনেকগুলো কনডম পেয়েছিলাম।’
অন্য দুইজন খুব অবাক হল। পরে জিজ্ঞেস করলো সে সেগুলো কী করেছে।
দ্বিতীয়জন বলল, ‘সবগুলা ছিদ্র করে রেখে দিয়েছিলাম।’
তৃতীয়জন বলল, ‘ওহ শিট!’

বিবাহিত?

রাত তখন ১১টা। বাইরে প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছে। এমন সময় খাবারের দোকানে খেতে এলেন ইদ্রিস সাহেব।
দোকানদার: কিছু মনে করবেন না স্যার, আপনি কি বিবাহিত?
ইদ্রিস সাহেব: তো তোমার কী মনে হয়? আমি কি আমার মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে এই ঝড়ের রাতে বাইরে খেতে এসেছি?

আলাদা আলাদা প্যাকেট

আবুল মিঞা ফলের দোকানদার। একদিন তাঁর দোকানে এলেন এক অদ্ভুত ক্রেতা।
ক্রেতা: আমাকে এক কেজি আপেল দিন তো। প্রতিটা আপেল আলাদা আলাদা প্যাকেটে দেবেন।
আবুল মিঞা তা-ই করলেন।
ক্রেতা: হু, এবার আমাকে এক কেজি আম দিন। এ ক্ষেত্রেও প্রতিটা আম ভিন্ন ভিন্ন ঠোঙায় দেবেন।
আবুল মিঞা তা-ই করলেন। ক্রেতা তখন দেখছিলেন, আবুল মিঞার দোকানে আর কী কী আছে।
আবুল চটজলদি দুই হাতে আঙুরগুলো আড়াল করে বললেন, ভাই, আমি আঙুর বিক্রি করি না!

কুকুরকে খাওয়ানোর কেক

পল্টু বেকারির দোকানে নতুন চাকরি পেয়েছে। অথচ চাকরির দুই দিনের মাথায় দোকানমালিক তাকে ছাঁটাই করে দিল। কী তার অপরাধ?
দোকানে এক ভদ্রলোক এসেছিলেন। বলেছিলেন, খোকা, তোমাদের এখানে কি কুকুরকে খাওয়ানোর কেক পাওয়া যায়?
পল্টু গদগদ হয়ে বলেছিল, অবশ্যই স্যার! এখানে খাবেন, না বাড়ি গিয়ে খাবেন?

ক্রেতা: তোমার দোকানে কি সবকিছু পাওয়া যায়?
বিক্রেতা: জি স্যার, সব পাবেন!
ক্রেতা: বিস্কুট আছে?
বিক্রেতা: ওহেহা, স্যরি স্যার, বিস্কুট একটু আগেই শেষ হয়ে গেছে।
ক্রেতা: চাল আছে?
বিক্রেতা: চাল স্যার এখনো এসে পৌঁছায়নি। আমি স্যার খুবই দুঃখিত।
ক্রেতা: সাবান আছে?
বিক্রেতা: স্যার, সাবান আজকে বিকেলে এলেই পাবেন, এখন নেই।
ক্রেতা: তালা আছে?
বিক্রেতা: জি জি স্যার! এটা আছে!
ক্রেতা: গুড। দোকানে তালা লাগাও, আর বাড়ি গিয়ে ঘুমাও।

কজন ভিজবে

শিক্ষক: মন্টু। ধরো, একটা ছাতার নিচে ১০ জন দাঁড়িয়ে আছে, কজন ভিজবে?
মন্টু: কেউই না।
শিক্ষক: কীভাবে?
মন্টু: স্যার, আপনি তো বলেননি, ‘ধরো, বৃষ্টি হচ্ছে।’

বিয়ের মানে

    এক বিয়ের আসরে বিয়ের অনুষঠান হচ্ছে। অনেকেই উপস্হিত। এক অল্প বয়সি কিশোর এক বয়স্ক মানুষ কে জিজ্ঞাসা করল "আচ্ছা মামা বিয়েতে বর আর বউ হাতে হাত রেখে বিয়ে করে কেন?"
    বয়স্ক বলল "তুমি কখনো কুস্তি দেখেছ?" কিশোর বলল "হ্যাঁ দেখেছি"
    বয়স্ক আবার বলল "বকসিং, ক্যারাটে, কুংফু দেখেছ?" কিশোর বলল "তাও দেখেছি"
    বয়স্ক বলল "কি দেখেছ?" কিশোর বলল "কি দেখেছি মানে? এর সঙ্গে বিয়ের কি সম্পর্ক?"
    বয়সক বলল "তুমি কচু দেখছ। লড়াইয়ের আগে দুই খেলোয়ার কি করে দেখনি? হাতে হাত মিলায়। এটাও তাই।"

 বউকে কে বেশী ভয় পায়

    চার বন্ধু মিলে কথা হচ্ছে বউকে কে কেমন ভয় পায়। একে একে তিন বন্ধু স্বীকার করল বউকে তারা কমবেশী সবাই ভয় পায়।
    চতুর্থ বন্ধু বলল তোরা সব কাপুরুষের দল।
    বন্ধুরা বলল তার মানে তুই বউকে ভয় পাস না?
    সে বলল কখনোই না।
    বন্ধুরা এবার জিজ্ঞাসা করল কিরকম শুনি।
    সে বলল শুনবি? তাহলে শোন।
    সেদিন বউয়ের সাথে তুমুল ঝগড়া হল। আমিও ছেড়ে দেবার পাত্র নই। শেষে বউ হাঁটু গেড়ে বসল।
    বন্ধুরা বলল তারপর? তোর বউ কি করল?
    সে বলল তারপর আর কি? বউ মাথা নীচু করল।
    বন্ধুরাতো অবাক। জিজ্ঞাসা করল তারপর কি হল?
    একটু থেমে সে বলে বউ বলল বেড়িয়ে আয় মুখপোড়া খাটের তলা থেকে। আজ তোর একদিন কি আমার একদিন।

একদিন একটি ছেলে মন্দিরে গেছে ভগবানের কাছে প্রার্থনা করতে।
হে ভগবান !
তুমি আমার প্রিয় লেখক শরৎচন্দ্রকে আমার থেকে কেড়ে নিয়েছ, আমি কিছু বলিনি।
তুমি আমার প্রিয় কবি সুকান্তকে আমার থেকে কেড়ে নিয়েছ, আমি কিছু বলিনি।
তুমি আমার প্রিয় গায়ক কিশোরকুমারকে আমার থেকে কেড়ে নিয়েছ, আমি তবু কিছু বলিনি।
আজও আমি তোমার কাছে কোনো অভিযোগ নিয়ে আসিনি।
শুধু জানাতে এসেছি আমার প্রিয় নেত্রীর নাম মমতা ব্যানার্জ্জী।




Wednesday, 12 December 2012

শীতের সাত অসুখ



শীতে নাক, কান ও গলা শরীরের এই তিনটি অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধি হতে পারে। সাধারণ হাঁচি-সর্দি থেকে শুরু করে গলার স্বর বসে যাওয়া, সবই রয়েছে এই তালিকায়। স্বল্পপরিসরে সেসব রোগের কয়েকটি সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হলো।

১. নাকের অ্যালার্জি: এটি অ্যালার্জিজনিত নাকের প্রদাহ। ধুলাবালি, ঠান্ডা-গরমসহ বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জি উদ্রেককারী উপাদান এর কারণ। রোগটি স্থায়ীভাবে নিরাময়যোগ্য না হলেও নিয়ন্ত্রণযোগ্য। ওষুধের ব্যবহার ও ঠান্ডা-অ্যালার্জি উদ্রেককারী উপাদান এড়িয়ে চলার মাধ্যমে এর চিকিৎসা করা যায়।

২. নাক দিয়ে রক্ত পড়া: নাক দিয়ে রক্ত পড়ার অনেক কারণ আছে। ছোটদের ক্ষেত্রে সাধারণত নাক খোঁটার কারণে নাকে ক্ষত হয়ে রক্তপাত হয়। বড়দের ক্ষেত্রে উচ্চরক্তচাপের কারণে নাক দিয়ে রক্ত ঝরে। শীতে নাকের ভেতরটা শুকিয়ে চামড়া উঠে যায় এবং তখন নাকের ঝিল্লি ছিঁড়ে গিয়ে নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে।



৩. নাকের পলিপ: সাধারণত দীর্ঘদিন নাকে অ্যালার্জি থাকলে এমনটি হয়ে থাকে। নাকের মধ্যে মিউকাস ঝিল্লিগুলো ফুলে আঙুরের দানার মতো বিভিন্ন আয়তনের হয়ে থাকে। নাকের পলিপে নাক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে সাইনাসের ইনফেকশন হয়ে মাথাব্যথা হতে পারে। এই সমস্যার জন্য অপারেশন করার দরকার পড়ে। সনাতন পদ্ধতির অপারেশনে আবার পলিপ দেখা দেওয়ার সুযোগ থাকে। কিন্তু আধুনিক এন্ডোস্কোপিক সার্জারির মাধ্যমে রোগটি নিরাময়ে প্রভূত সাফল্য এসেছে। প্রাথমিক অবস্থায় স্টেরয়েড স্প্রে ব্যবহার করে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। শীতে এ ধরনের সমস্যা একটু বেড়ে যায়।

৪. সাইনাসের ইনফেকশন: সাধারণত নাকে অ্যালার্জি ও পলিপ, নাকের হাড় বাঁকা ইত্যাদি কারণে নাকের দুই পাশের ম্যাক্সিলারি সাইনাসে ইনফেকশন দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে মাথাব্যথাই মূল উপসর্গ। সাইনাসের একটি এক্সরে করলেই রোগ সম্পর্কে অনেক ধারণা পাওয়া যায়। প্রাথমিক অবস্থায় ওষুধ ব্যবহার, পরবর্তী সময়ে সাইনাস ওয়াশ এবং শেষ পর্যায়ে এন্ডোস্কোপিক সাইনাস সার্জারি করে রোগটি সারানো যায়। শীতে বারবার নাকের মধ্যে প্রদাহ হয়, নাক বন্ধ থাকে বলে সাইনাসের ইনফেকশন সহজেই হতে পারে।




৫. মধ্যকর্ণে প্রদাহ: এই সমস্যা শিশুদের বেশি হয়ে থাকে। সাধারণত ঊর্ধ্ব শ্বাসনালির প্রদাহ, টনসিলের ইনফেকশন, এডিনয়েড নামক গুচ্ছ লসিকা গ্রন্থির বৃদ্ধি ইত্যাদি থেকে এই ইনফেকশন হয়ে থাকে। শীতে এ উপসর্গগুলো ব্যাপকভাবে দেখা দেওয়ার কারণে হঠাৎ করেই মধ্যকর্ণে ইনফেকশন হতে পারে। এই রোগে কানে বেশ ব্যথা হয়, কান বন্ধ মনে হয়। সঠিক সময়ে এই রোগের চিকিৎসা না করলে কানের পর্দা ফুটো হয়ে রোগটি কানপাকা রোগে রূপ নিতে পারে। অ্যান্টিবায়োটিক ও নাকের ড্রপসহ অন্যান্য ওষুধ হচ্ছে এই রোগের চিকিৎসা।

৬. মধ্যকর্ণে পানির মতো তরল জমা: এই রোগের কারণও উপসর্গ অনেকটা মধ্যকর্ণে প্রদাহের মতোই। তবে উপসর্গগুলোর তীব্রতা অনেক কম থাকে। শীতের সময় শিশুদের ঘনঘন সর্দি লাগে। বারবার সর্দি লাগার কারণে কিংবা এডিনয়েড সমস্যার জন্য দীর্ঘদিন ধরে নাক দিয়ে শ্লেষা ঝরার পরিণতিতে এই রোগ হয়ে থাকে। শীতে এর প্রকোপ বেড়ে যায়। নাকের পেছনের অংশের সঙ্গে কানের যোগাযোগ রক্ষাকারী নালিটির নাকের প্রান্তবর্তী মুখটি যদি ঠান্ডা-সর্দি কিংবা এডিনয়েডের বৃদ্ধির জন্য বন্ধ হয়ে যায়, তখন মধ্যকর্ণে তরল পদার্থ জমে যায়। অনেক সময় নালির মুখটি বন্ধ হয়ে ভেতরে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। তাতে কান বন্ধ মনে হয়। কানের মধ্যে ফরফর শব্দ করে। সাধারণ ওষুধেই এ রোগ সারে। অনেক সময় ছোট্ট অপারেশন করে মধ্যকর্ণে জমে থাকা পানি বের করে দিতে হয়। এডিনয়েড বড় থাকলে শিশুদের ক্ষেত্রে তা অপারেশন করিয়ে নিতে হয়।

৭. এডিনয়েড ও টনসিলের ইনফেকশন: শীতে গলাব্যথা হয় অনেকেরই। এই গলাব্যথার জন্য মূলত দায়ী হচ্ছে টনসিলের ইনফেকশন। এটি মূলত শিশুদের সমস্যা। বড়দেরও হয়। টনসিলের সমস্যায় গলাব্যথা, খেতে গেলে ব্যথা, সামান্য জ্বর ইত্যাদি থাকে। প্রথমত ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। বারবার হতে থাকলে সম্যক জটিলতা ও কষ্টের কথা বিবেচনা করে টনসিল অপারেশন করিয়ে নিতে হয়। সারা পৃথিবীতে শিশুদের যত অপারেশন হয়, তার মধ্যে টনসিল অপারেশনের অবস্থান সবার শীর্ষে।
নাকের ছিদ্রের পেছন দিকে যে অঞ্চলটি রয়েছে, সেখানে এই এডিনয়েড নামক লসিকা গ্রন্থির অবস্থান। এটি অনেক সময় বড় হয়ে নাক আংশিক বন্ধ করে দেয়, ফলে নাক দিয়ে অধিকাংশ সময়ই সর্দি ঝরে। কানের সঙ্গে নাকের পেছনের অংশের যোগাযোগ রক্ষাকারী টিউবটির মুখও আংশিকভাবে বন্ধ থাকে। ফলে কানও বন্ধ থাকে। কানের মধ্যে পানির মতো তরল জমে কান ব্যথা করে। এডিনয়েড বড় হলে শিশু মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়। ঘুমের মধ্যে শ্বাস বন্ধ হয়ে জেগে ওঠে। রোগীর চেহারা ক্রমশ হাবাগোবা হয়ে পড়ে। অনেক অভিভাবকই এ সমস্যাটির ফলে সৃষ্ট ক্ষতি অনুধাবন করেন না। ফলে শিশুর অনেক ক্ষতি হয়। অপারেশনই হচ্ছে এর একমাত্র চিকিৎসা।
নাক, কান ও গলার এই সাতটি অসুখের ঝামেলা এড়াতে শীত থেকে রক্ষার যাবতীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশেষ করে শীতবস্ত্র-গলাবন্ধনী, মাথা ঢেকে রাখা, হাত-পায়ে মোজা পরা, ঠান্ডা এড়িয়ে চলতে হবে। সেই সঙ্গে সকালে হাত-মুখ ধোয়ায় এবং গোসলে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে হবে। আর এত প্রস্তুতির পরও যদি অসুস্থতায় পেয়েই বসে, তখন পরামর্শ নিতে হবে আপনার চিকিৎসকের।


Saturday, 1 December 2012

কি করে বোঝাব তোমাকে



ভালবাসি বললে যদি আমায় তুমি কর দোষী
তাইতো আমার ভালবাসা আমি
আমার বুকের ভিতরে পুষি ।
বুকের আশা আমার বুকেতে করে যাই লালন
স্বপ্নের ধ্বনিগুলো আমায় করে যে বারণ
নিজের স্বপ্ন তাই নিজেই দেখে
নিজেতেই আমি থাকি খুশী ।
দয়ার জন্য হাত বাড়ালে তুমি যদি দাও ফিরৎ
তবেই তো নষ্ট জীবন অন্ধকার হবে ভবিষ্যৎ
তার থেকে এই ভালো মনে হয়
দূর হতে অবলোকন করে যাব তোমার হাসি ।


Top 10 creative ways to “propose a girl”


Do you know that I discovered a very interesting fact today? That a total of close to 4 lac Indian men and boys are searching (just on Google) for ways of, what is known (in India) as “proposing a girl”.* Now that’s quite some number.
So in this post I’ve decided to share the most creative 10 ways of “proposing a girl”, i.e. letting a girl know of your romantic feelings for her.
  1. The t-shirt proposal

    Get a plain white round-neck t-shirt printed with “Sheetal (or whoever), I love you. J” It’s even better to get creative with the t-shirt message. Wear it inside a jacket or shirt and go to work/college or wherever it is that you regularly meet your love-interest. Try to catch her alone and reveal your gift to her with a smile.
  2. The YouTube proposal

    Propose to her on video and post it on YouTube. Then send her a very serious sounding mail with the link, and it make it look as though it contains some work related information. You can imagine her reaction when she opens it! Here it’s important to be creative with the message on the video.
  3. The alarm proposal

    Get your hands on her cell phone. Set a reminder for 2 a.m. (i.e. sometime in the middle of the night when she’s sure to be asleep) which says, “Wake up Sheetal! Rahul loves you!”
  4. The super-dramatic alarm proposal

    If you want to be the drama king, don’t stop there. Set the reminder as, “Look inside your bag!” Put a piece of paper inside her bag saying, “Open you diary/biology classnotes copy.” Write your romantic message inside this diary/copy. (As you understand you can make this chain of actions as long as you want. Just don’t bore her enough to earn a rejection!)

  5. They key proposal

    Send a key to her home/dormitory by courier. Don’t give any explanation. After a few days send her a note saying, “Did you receive a key?” Then again after a few days send the final note saying, “The key you received is the key to my heart. I give it to you.-Rahul.” I bet she’ll be in tears! (Assuming you didn’t make a mistake choosing the girl!)
  6. The “boxed” proposal

    Send a gift-wrapped box to her home. Put another box inside the first one, and another inside the second one. This is the classic box-inside-box-inside-box proposal. Include as many boxes as you like (but again, like point #4, you know when to stop!), and inside the final one put a key, with a note saying, “I give you the key to my heart.” (Alert: Don’t forget to sign your name at the end!!)
  7. The “meal in a box” proposal

    Take the man in the college/office canteen into confidence. The next time she orders something at the canteen she’ll receive a piece of paper on her plate saying “Today you have just Rahul’s (replace with your name!) love for a meal.”
  8. The maze proposal

    Get a friend to tell her that Prof. XYZ (if you’re a student)/her boss (if you’re working) is calling her. Make sure you do this during lunch hours, i.e. at a time when the professor/her boss is not in his/her office. Now stick an arrow on the wall just beside the closed door of the office of this person, so that she notices it when she comes to meet him/her. (Don’t stick it on the door under any circumstances!) We humans are curious at the core of our selves, so chances are she’ll follow the sign. Put another arrow on the wall and another one. You can put as many arrows as you like. But, again…remember…Well, you know. :D Lead her to some empty room or any place which is likely to be empty of people. Put a cardboard sign there saying, “You’ve reached Rahul’s heart.” You can get creative with the message here.
  9. The picture-perfect proposal

    Get hold of a photo of hers (from Facebook maybe). Combine it with a photo of yours using Photoshop (or get a friend to do it) to show the two of you together. Send it to her by snail-mail with something romatic written on it. Put the name of the sender as “GOD”. Obviously the meaning is that God wants you to be together.
  10. The time-bomb proposal

    Send her an email saying, “The 10th day from today will be the most important day of your life.” (Naturally from a fake email address)  Keep sending her an email everyday from that day onwards, saying, “9 more days to go…”, “8 more days to go…” etc. until the last day. On the 10th day leave a note on her desk with your romantic message.
Now go ahead, pick the one most suitable to you and get to work changing your dreams into reality.

Tuesday, 20 November 2012

বিয়ের আয়োজন


বিয়ের আয়োজনের যেন শেষ নেই। আবার বছরের পর বছর ধরে স্মৃতিতে থাকবে এই কয়েকটি দিন। তাই বিয়ের প্রতিটি আয়োজনেই থাকা চাই বৈচিত্র্য।এ নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ওয়েডিং ডেকোর বাই নুসরাতের প্রধান নির্বাহী নুসরাত নওরীন।

পানচিনি
একখানি থালায় খিলি করা পান দিয়ে গাছপালা আর ঘরবাড়ি তৈরি করে নিতে পারেন। রঙিন মসলা আর সুপারি দিয়ে তৈরি করে দিতে পারেন পথখানি। সবুজ মসলায় হয়ে উঠতে পারে সবুজ মাঠ। এর মাঝে বর-কনে সাজানো ছোট্ট দুটি পুতুল সাজিয়ে দিতে পারেন। আবার বড় একটি রুপার থালায় পান আর সুপারির সাদামাটা উপস্থাপনটাও কিন্তু খারাপ লাগার কথা নয়। আনারসে পানের খিলি গেঁথে গেঁথে তৈরি করে নিতে পারেন সুন্দর একটা ময়ূর। চাইলে দু-একটা ময়ূরের পাখাও করতে পারেন যোগ। আর ময়ূর বসে থাকা থালায় ছড়িয়ে দিন সুপারি ও মিষ্টি জর্দা। পানের সঙ্গে মাটির হাঁড়িতে কিংবা কাঠের পাত্রে দিতে পারেন মিষ্টি।

আংটি বদল
নুসরাত নওরীন বলেন, ‘গোলাপের পাপড়ির মাঝে আংটি সুন্দর করে বসিয়ে দেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া ঝিনুকের খোলার ভেতরেও মুক্তাঘেরা আংটিখানি আপনার সামনের দিনের চলার পথের জ্যোতি বাড়াবে। ছোট একখানি ট্রেতে লাল মখমল কিংবা শিফনের কাপড়ের ওপর সাদা ঝিনুকটা দেখতে সবারই চোখ জুড়িয়ে যাবে।’
মাটির বড় পাত্রে পানির ওপর ভাসা পান পাতায় শোভা বাড়াবে বর-কনের আংটি দুটি। বিয়ের শেষে কনের বরের বাড়ি যাওয়ার পর ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে রাখা থালি থেকে বর-কনে দুজনকে আংটি খুঁজে বের করার খেলায় মাতিয়ে তুলতে পারেন। তবে বর-কনে দুই পক্ষই সাবধান! কারণ, মজা করে বলা হয় আংটিখানি যে পক্ষ আগে পাবে, সারা জীবন তার কর্তৃত্ব চলবে সংসারে।

রাখির জৌলুশ
মেয়েদের ক্ষেত্রে সোনালি রাখির সঙ্গে যোগ করে দিতে পারেন বড় দুটি ঝুমকা। ছেলেদের রুপালি রাখিতে থাকতে পারে মুক্তা কিংবা সাদা পুঁতির কারুকাজ। বড় কোনো থালিতে কাঁচা হলুদ আর মেহেদির পাশে প্রদীপের আলোয় মেলে ধরতে পারেন রাখি। আপনি চাইলে আলাদা ছোট থালিও রাখতে পারেন রাখির জন্য।

ফুলের গয়না
হলুদ কিংবা মেহেদির আয়োজনে নিজেকে সাজিয়ে তুলতে কনের সাজে ফুলের গয়নায় জুড়ি নেই। এসময়ে কনের পোশাকের সঙ্গে রং মিলিয়ে আবার কনট্রাস্ট রঙের বাহারি সব ফুলের গয়না জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাজা ফুলের গয়না হিসেবে অর্কিড বেশি চলছে। কারণ, এর ওপর ইচ্ছেমতো রং ছড়িয়ে করে নেওয়া যায় পোশাকের উপযোগী গয়না। এর সঙ্গে পুঁতি, পাথরও যোগ করে নিতে পারেন। শুধু কানের ফুল আর গলার হারই নয়, বাজু, টিকলি, টায়রা—এগুলো কন্যার সাজকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে। আপনি তাজা ফুলের পাশাপাশি কৃত্রিম ফুলের গয়নাও বেছে নিতে পারেন।

মাছ পাঠানো
বিয়ের আগের দিনে বরপক্ষের পাঠানো মাছ কনেবাড়ির প্রধান আকর্ষণের বিষয়। তাই তাদের উপস্থাপনটাও হওয়া চাই অনেক বেশি আকর্ষণীয়। পাঞ্জাবি, লুঙ্গি, গামছা আর ছোট ছাতায় একটি মাছ সেজে উঠতে পারে বরের সাজে। বর-মাছের মুখে টাকা গুঁজে দিতেও যেন এ সময় ভুল না হয়। আর লাল জরির শাড়িতে নথ-টিকলিতে সেজে ওঠা কনে-বউ মাছ তো বরের পাশে থাকছেই।

আয়না দেখা বা শাহ নজর
বিয়ে পড়ানোর পর বর-কনের এবার চোখ চাওয়াচাওয়ির সুযোগ। লাজুক লতা কনের মুখ সরাসরি চাহনিতে দেখতে বরেরও যেন আজ লাজের শেষ নেই। আয়োজনটা তাই হয়ে আসছে শাহ নজরে। বড় একখানি কাঠের আয়নার চারপাশটা ফুলে ফুলে মুড়ে নেওয়া যেতে পারে। তার ফাঁকে ফাঁকে মুক্তা আর ঝিনুক-শামুকও করতে পারেন যোগ। আয়নার ওপরে মেলে ধরতে পারেন রঙিন কোনো দোপাট্টা। দোপাট্টার আড়ালে আয়নায় এবার শুধু বর-কনের মুখ। কী, হলো তো শাহ নজর?

গেট ধরা
বিয়ের আয়োজনে কনেবাড়ির একদল তরুণ-তরুণীর বহুল আকাঙ্ক্ষিত ক্ষণের এবার অবসান হবে। এ জন্য কিন্তু দুই পক্ষেরই আয়োজন জরুরি। কনেপক্ষ যত ভালো অভ্যর্থনা দিতে পারবে, বরপক্ষ থেকে প্রাপ্তির অঙ্কটাও তেমন মোটা হবে। যে ফিতা কেটে বরপক্ষ প্রবেশ করবে, সেই ফিতাটি হওয়া চাই সুন্দর। ফুলে ফুলে মোড়াও হতে পারে সেটি। বরপক্ষের টাকা দেওয়ার থলেটা হতে পারে মখমলের। বর প্রতীকী কোনো বড় নোট আর তার ভেতরের খামে ভরে দিন টাকা। আপনি শোলা দিয়ে তৈরি সোনালি বড় একখানি কয়েনও দিতে পারেন। তবে যা-ই করুন, টাকাটা যেন থাকে ঠিকঠাক। নতুবা বরমশাইয়ের সেই গঞ্জনা সইতে হবে চিরকাল।

আগমনের ধ্বনি
বর-কনের আগমনের ধ্বনি এবার শোনা গেল। বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন এবার দুজনেই। বর-কনের আগমনটা হতে পারে বৈচিত্র্যময়। কনে চড়তে পারেন পালকিতে। পালকিটি হতে পারে ময়ূর পালকিও। তবে বিয়ের মঞ্চে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত যেন পালকির সোনালি পর্দাখানি না খোলা হয়। ছেলে আসতে পারে ঘোড়ায় চড়ে। সাদা ঘোড়ার ওপর একখানি আসন বসিয়ে তার ওপর ছড়িয়ে দিতে পারেন রঙিন কাপড়। বরের পেছনে ছাতা ধরে থাকতে পারেন কেউ কেউ। নুসরাত নওরীন বলেন, বর-কনের আগমনটা এখন অনেক বেশি আকর্ষণীয় করা হয়। কখনো কখনো ঘোড়ার গাড়ি আবার কখনো একখানি রিকশা সাজিয়ে কনে যাত্রীকে নিয়ে বর রিকশাচালককেও দেখা যায় আজকাল। কনে নিয়ে এবার বরের জীবনযাত্রা শুরু হলো।


ধূমপান প্রতিরোধে অভিনব কৌশল

 
ধূমপানের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরতে সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে এক যুবকের লাশের ছবি সংযোজিত হয়েছে যুক্তরাজ্যে। গত বছরের ১ অক্টোবর থেকে যুক্তরাজ্যে সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে এ ধরনের ছবি দেখা যাচ্ছে। এ ছবি ছাড়াও সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে উল্লেখ আছে কিভাবে সিগারেট পুরুষের যৌনক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। এ রকম আরো কিছু লিখিত সতর্কতা ২০০৩ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে চালু আছে। ইউরোপ মহাদেশের মধ্যে যুক্তরাজ্য প্রথম যারা পুরোদ¯ুÍর মৃত মানুষের ছবি সম্বলিত সিগারেট প্যাকেট বাজারে ছাড়লো। কানাডা অবশ্য ২০০১ সাল থেকে এ রকম কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িত। কানাডায় এ ধরনের সিগারেটের প্যাকেট বাজারে আসতে ৩১ শতাংশ ধূমপায়ীর বোধের পরিবর্তন আসে। এদের মধ্যে ধূমপানের পরিণতি মেনে নিয়ে শতকরা ২৭ জন ধূমপান থেকে বিরত থাকেন। ধূমপান বন্ধ করতে লাশের ছবি তাদের মারাত্মকভাবে প্ররোচিত করে । যুক্তরাজ্য  তাদের এ উদ্যোগের এক ধরনের প্রভাব আশা করছে। কেননা ধূমপান এককভাবে আগাম মৃত্যুহারের জন্য অন্যতম কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। এখন প্রতিবছর ধূমপানের কারণে শুধু ইংল্যান্ডে ৮৭ হাজার লোক মারা যান।


মৃতদেহের ছবিযুক্ত সিগারেটের পাকেট বিষয়ক সরকারি ঘোষণার পর ব্রিটেনের চিফ মেডিক্যাল অফিসার স্যার লিয়াম জেনাল্ডসন বলেন, ‘লিখিত স্বাস্থ্য সতর্কতা অনেক ধূমপায়ীকে ধূমপান বন্ধে উৎসাহিত করছে। মৃত মানুষের ছবিযুক্ত সতর্কতা অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে ধূমপানের ক্ষতিকর স্বাস্থ্য পরিণতির বাস্তবতা তুলে ধরেছে। আমি মনে করি এবার ধূমপায়ীরা আরো বেশি ভাবার সুযোগ পাবে এবং স্বাস্থ্য রক্ষায় ধূমপান ছেড়ে দেবে।’ বৃহত্তর পরিসরে মৃতদেহের ছবিটি ছাড়াও সিগারেট প্যাকেটের গায়ে ১৫ ধরনের লিখিত স্বাস্থ্য সতর্কতা আবর্তিত আছে। চিত্রে বিধৃত এ রকম নিষ্ঠুর সত্যের স্বাস্থ্য সচেতনতা ২০১৫ সাল নাগাদ ব্রিটেনের অন্যান্য তামাকজাত পণ্যে দেখা যাবে। ইউরোপ মহাদেশের বাইরে স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রসার ঘটাতে অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, ভারত, নিউজিল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, উরুগুয়ে এবং ভেনিজুয়েলায় সিগারেটের প্যাকেটে বিভিন্ন রকম গ্রাফিক ইমজে ব্যবহৃত হচ্ছে।

ডান চোখ বাঁ চোখ



তোমরা নিশ্চয়ই লক্ষকরেছ যে বেশির ভাগ মানুষ ডান হাতে কাজ করে এবংঅল্প কিছু মানুষ রয়েছে, যারা বাঁ হাতে কাজ করে। আমাদের চোখেরও সে রকম ব্যাপার আছে। আমাদের কেউ কেউ ডান চোখের মানুষ,কেউ কেউ বাঁ চোখের মানুষ।
তুমি কি ডান চোখের মানুষ, না বাঁ চোখের মানুষ? বের করা খুব সোজা, অনেক দূরে কোনো একটা জিনিস আঙুল দিয়ে দেখাও। এবার একটা চোখ বন্ধ করো, তোমার আঙুলটি কি জিনিস থেকে সরে গেল? যদি সরে গিয়েথাকে, তা হলে যে চোখ বন্ধ করেছ, তুমি সেই চোখের মানুষ! যদি না সরে থাকে, তাহলে অন্যচোখ বন্ধ করো, এবার জিনিসটা নিশ্চয়ই সরে যাবে, আর তুমি সেই চোখের মানুষ!

দাম্পত্যে সুসম্পর্কই সুস্থ রাখে বাকি জীবনে


সমপ্রতি নারী পুরুষের দাম্পত্য জীবনে সুসম্পর্ক রাখা নিয়ে গবেষণালব্ধ একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে। আপনি যদি বিবাহিত হন এবং আপনার জীবন সঙ্গিনীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকে, তাহলে মধ্য বয়সেও ব্রেইন বা মস্তিষ্ক সতেজ, বুদ্ধিদীপ্ত, স্মৃতিশক্তি ও চিন্তাশক্তি প্রখর থাকতে পারে। এমনকি শেষ জীবনেও ডিমেনসিয়া বা আত্মভোলা সমস্যাও কম হতে পারে।
গবেষণায় বিশেষজ্ঞগণ দেখতে পেয়েছেন মধ্য বয়সেও যারা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সুন্দর সম্পর্ক রাখতে পেরেছেন তাদের ক্ষেত্রে পুরুষরাই স্বাস্থ্যগত সুবিধা বেশি পেয়েছেন। মহিলাদের চেয়ে পুরুষদের স্মৃতিশক্তি ও চিন্তাশক্তি অধিক প্রখর থেকেছে। বিশেষজ্ঞগণ গবেষণা রিপোর্টে আরও উল্লেখ করেন স্বামী-স্ত্রীর সুসম্পর্ক ও পারিবারিক সহযোগিতা এবং শ্রদ্ধাবোধ থাকলে মস্তিষ্ক বুড়িয়ে যাওয়া বা এজিং ব্রেইন রোধ করে। এই গবেষণা তথ্যটি অবশ্যই আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে এবং যারা শুধু শারীরিক স্বাস্থ্য নয়, মনের স্বাস্থ্যও ভালো রাখতে চান তাদের এই গবেষণা রিপোর্ট থেকে শিক্ষা নেয়ার আছে। বিবাহিত দম্পতিদের নিয়ে এই চমৎকার গবেষণা পরিচালিত হয়েছে ফিনল্যান্ডে। যাদের বয়স ৫০ এর কোটায় এমন ১৫ শত নারী-পুরুষ অন্তর্ভুক্ত করা হয় গবেষণায়।



Monday, 19 November 2012

প্রিয় মুখখানি



‘হারানো’ শব্দটি শুনলেই এখনো কঠিনভাবে শিউরে উঠি। বুকের ভেতরটা হুহু করে ওঠে। চিৎকার করে শুধু কাঁদতে ইচ্ছে হয়। কেন এমন হলো? সত্যি সত্যিই আমার জীবন থেকে হারিয়ে গেছে মায়াভরা সেই মুখখানি। আর কোনো দিনই ফিরে পাবো না আমার হারিয়ে যাওয়া প্রিয় মুখ, প্রিয় মুহূর্ত।
পৃথিবীর বুকে প্রত্যেক সন্তানের মহা মূল্যবান সম্পদ হলো বাবা-মা। যাদের একজনের অবর্তমানে সমগ্র পৃথিবীই অন্ধকার মনে হয়। বলছি আজ নিজের জীবনচিত্রের আলোকে। আব্বু আমার হারিয়ে গেছে না ফেরার দেশে। হারিয়ে গেছে সব আদর, ভালোবাসা, স্নেহ, মায়ামমতা।
আব্বু আমাকে ভীষণ ভালোবাসত। দিনের কর্মব্যস্ততা শেষে রাতে যখন সবাই একত্র হতাম, তখন শুরু হতো অনেক গল্প, অনেক মজা। আমি আব্বুর ছোট মেয়ে হওয়ায় আদর, আবদার, আহাদের পরিমাণটা অন্যদের থেকে একটু বেশিই ছিল। একটু যদি এদিক-ওদিক হতো, তবেই শুরু হয়ে যেত মান-অভিমান। আর সেই মান ভাঙাতে আব্বুর কত রকম প্রচেষ্টা। সবটাই এখন শুধু স্মৃতি।
একবার আব্বু এক সপ্তাহের জন্য অফিসের কাজে ঢাকায় গিয়েছিল। তখন আমি কাস ফাইভে পড়তাম। আব্বুকে ছেড়ে ওই এক সপ্তাহ যে আমি কতটা কষ্টে ছিলাম তা আমার লেখা দেখেই  আব্বু বুঝেছিল। আব্বু ঢাকায় চলে যাওয়ার দিন থেকে ফিরে আসার দিন পর্যন্ত লিখেছিলাম অনেক চিঠি। তা দেখে আব্বু আমাকে বলেছিলÑ ‘পাগলি মেয়ে কোথাকার, এত কান্না করলে হয়? আব্বু মাত্র বাড়িতে ছিল না তাই এ অবস্থা, আর যখন দুনিয়াতেই থাকবে না তখন কী হবে?’
কথাগুলো শুনে অনেক কেঁদেছিলাম। সান্ত্বনাও পেয়েছিলাম অনেক। কিন্তু আজ যে আমি কিছুই পাই না। সবই হারিয়ে গেছে। দিনের পর দিন, বছরের পর বছর অপেক্ষার প্রহর গুনলেও আব্বু আর কখনোই ফিরে আসবে না। ডায়েরির পর ডায়েরি শেষ হলেও কেউ তা দেখে আর বলবে নাÑ ‘পাগলি মেয়েটা আমার…।

বউ শাশুড়ি বন্ধু!


ঝুমার নতুন বিয়ে হয়েছে। শ্বশুর বাড়ির সবাই তাকে অনেক গুরুত্ব দেয় ভালোবাসে। সমস্যা শুধু শাশুড়ি। খুব আক্ষেপ করে সেদিন বলছিলো শাশুড়ি না থাকলে আমার সংসারটা অনেক শান্তির হতো। বউ-শাশুড়ি সম্পর্ক কি শুধুই খুনসুটি আর একে অন্যের দোষ ধরার জন্য? না, দিন পাল্টেছে, আমরা মনে করি শাশুড়িও হয়ে উঠতে পারেন বউমার আশ্রয়ের জায়গা। সেই সাথে বউও হবে শাশুড়ির মনের কথা শেয়ার করার সঙ্গি। কীভাবে? বউদের জন্য রইলো কিছু সহজ পদ্ধতি, যা আমাদের এই সম্পর্ককে আরও আন্তরিকভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং অর্থবহ করতে সাহায্য করবে।
শাশুড়ির পছন্দ অপছন্দগুলো স্বামীর কাছ থেকে জেনে নিন। তিনি অপছন্দ করেন এমন বিষয়গুলো কথা বলার সময় সামনে আনবেন না। দীর্ঘদিন শাশুড়ি তার পরিবারের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন। বিয়ের সঙ্গে সঙ্গে তার কিছু বিষয় আপনার ভালো না লাগলেও রাতারাতি ওগুলো পরিবর্তন করতে চাওয়াটা ঠিক নয়।


এমন হতে পারে আপনার বাবার বাড়ির রান্নার সঙ্গে শাশুড়ির রান্নার ধরণ মিলছে না। বা তাদের রান্না হয়তো আপনার খেতে কষ্ট হচ্ছে, এমন অবস্থায়ও শাশুড়ির রান্নার প্রশংসা করুন। চেষ্টা করুন তাদের খাবার পছন্দ করে খেতে আর মাঝে মাঝে আপনার পছন্দের আইটেম সবার জন্য তৈরি করুন। শাশুড়ির যে রান্নাগুলো আপনার স্বামী পছন্দ করেন, সে রেসিপিগুলো আগ্রহের সঙ্গে শিখে নিন। শাশুড়ি আর স্বামী একসঙ্গে খুশি হয়ে যাবেন। বাড়িতে যদি ননদ থাকে স্বাভাবিকভাবেই শাশুড়ি নিজের মেয়েকে গুরুত্ব দেবেন। এটা দেখে হয়তো আপনার ভালো নাও লাগতে পারে। তবে ননদকে প্রতিদ্বন্দ্বী না ভেবে তার সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলুন। শাশুড়ি যখন দেখবেন আপনি তার প্রিয় সন্তানকে আপন করে নিয়েছেন, তিনি আপনাকে আরও পছন্দ করতে শুরু করবেন।
আপনার বাড়িতে কোনো অতিথি যদি কোনো উপহার নিয়ে আসেন আপনার নিশ্চয় ভালো লাগবে। এই আইডিয়াটাই কাজে লাগান। শাশুড়ির জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী মনে রাখুন, আর বিশেষ দিন ছাড়াও মাঝে মাঝে তার জন্য ছোট ছোট উপহার নিয়ে আসুন। শাশুড়ি আগের দিনের মানুষ বউ একটু সাজুগুজু করে পরিপাটি থাকলে তিনি পছন্দ করেন, এলোমেলো থাকা পছন্দ করেন না। বেশ তো এটা নিয়ে আভিযোগ করার কি আছে? গুছিয়ে থাকলে সবাই আপনার রুচিরই প্রশংসা করবে। আর আয়নাতেও আপনাকেই সুন্দর লাগবে। শাশুড়ির সঙ্গে সবসময় নরম, ভদ্রভাবে কথা বলুন। তার কোনো আচরণ ভালো না লাগলে বিতর্কে জড়াবেন না। কোনো প্রয়োজনে আপনি বা শাশুড়ি বাইরে থাকলে নিয়মিত ফোন করে খোঁজ নিন। তিনি ফোন করে আপনার খোঁজ করেননি কেন এই অপেক্ষায় না থেকে আগে ফোন করুন। তিনিও একসময় আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে উদ্যোগি হবেন। আর এভাবেই আপনাদের মাঝে একটি সুন্দর সম্পর্ক তৈরি হবে। কোনো পরিকল্পনা করার সময় শাশুড়ির পরামর্শ চান। এতে করে সন্তানের জীবনে তার মতামতের গুরুত্ব আছে ভেবে তিনি  আনন্দিত হবেন। সম্মান করে শাশুড়ির ভালোবাসা অর্জন করুন। তার কোনো আচরনে কষ্ট পেলেও ক্ষমা করতে জানতে ভুলবেন না। আর এই সহজ নিয়মগুলোই আপনার জীবন অনেক সহজ করে দেবে।




নিজের ঢোল নিজে পেটাই

প্রাচীনকালে মুরুব্বিরা বলতেন, নিজের ঢোল একটু কম পেটাও বাবা, তা না হলে তো ঢোল ফাটাইয়া ফালাবা। মোদ্দাকথা, নিজের ঢোল নিজে পেটাতে হয় না। এমনটাই তারা মনে করতেন। তারা ঢোল পেটানোর দায়িত্ব অন্যকে দিতেন। কিন্তু এই ডিজিটালকালে এসে মুরুব্বিদের থিওরি বাতিল হয়ে গেছে। এখন নিজের ঢোল নিজেকেই পেটাতে হবে। কারণ আপনিই ভালো জানেন কিভাবে আপনার ঢোল পেটাতে হবে। কিভাবে পেটালে ঢোল ভালো বাজবে। ফেটে যাবে না। কারণ অন্যকে পেটাতে দিলে তারা এমন আস্তে পেটাবে যে, কেউ শুনতে পাবে না। অথবা ঢোল এমন জোরে পেটাবে, শেষে ঢোলই ফেটে যাবে। সুতরাং নিজের ঢোল নিজেই পেটাও। এতে কোনো দোষ নেই। কেন দেখেছেন না, আপনার চোখের সামনে যদু, মধু, কদু সমানে নিজের ঢোল পিটিয়ে যাচ্ছে। এতে কিন্তু তাদের লাভ ছাড়া কোনো তি হচ্ছে না। তো চলুন এখন থেকে নিজের ঢোল পেটাই। কিন্তু মুশকিল হলো, আপনি তো আর তাদের মতো না। এখনো শিখতে পারেননি, কিভাবে ঢোল পেটাতে হয়। আপনাকে জলে না ফেলে আমরা এখন আপনাকে কিছু ঢোল পেটানোর অনুগল্পের নতুনসহ কিছু কলাকৌশল হাতে-কলমে শিখিয়ে দেবো।
উদাহরণ হিসেবে আমার কথাই বলতে পারি, আমি নিজেকে অতি উচ্চশ্রেণীর লেখক, থুক্কু লেখক মনে করি। ইতোমধ্যে দেশের নামকরা পত্রিকা-ম্যাগাজিনের আমার শত শত কৌতুক ছাপা হয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন রসেভরা ছড়া-কবিতা নিত্যদিন বিভিন্ন জায়গায় ছাপা হচ্ছে। আজকেও তো কুম্ভকর্ণ ম্যাগাজিনে আমার প্রচণ্ড হাসির একটা কৌতুক ছাপা হয়েছে। এই সুসংবাদ আমি রাত ১২টা থেকেই সবাইকে মোবাইল করে জানিয়ে দিয়েছি।  আমার অনেক ভক্ত আছে, তারাও আমার ছাপা হওয়া কৌতুক পড়ে আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। সুতরাং আপনি যদি লেখক শ্রেণীর কেউ হন, সে েেত্র মেরে ভাইয়া, ওই পদ্ধতি কাজে লাগাতে উঠেপড়ে লাগেন।
আধুনিক পদ্ধতির সাহায্য নিতে পারেন। ইন্টানেট দুনিয়ায় প্রবেশ করতে হবে। নিজের একটা ব্লগ ওপেন করার পাশাপাশি, অন্যদের ব্লগে গিয়েও ভিড় জমাতে হবে। তারপর সবাই মিলে গলা ফাটিয়ে ফেলবেন, মানে কার্যক্রম শুরু করবেন আর কী!  ব্লগের পাশাপাশি ফেসবুকেও জয়েন করতে পারেন। সেখানে নিজেকে মেলে ধরার অফুরন্ত সুযোগ পাবেন। এতে দোষের কিছু নেই। এই পদ্ধতি লেখক-কবি শ্রেণীর জন্য বিশেষ ফলদায়ক।
যদি প্রেমিক হন। প্রেমিকাকে নিজের সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করতে অনেক চেষ্টা-তদবির করেও মনপ্রিয়ার মন পাচ্ছেন না। তো আপনাকে আপনার কিছু শুভাকাক্সী (ছেলেমেয়ে উভয় লাগবে) সৃষ্টি করতে হবে। তারা আপনার সম্পর্কে জনে জনে বিভিন্ন গালগল্প বলে বেড়াবে। বিশেষ করে মেয়ে বন্ধু আপনার প্রেমিকার কাছে গিয়ে যাতে আপনাকে ধোয়া তুলসিপাতা হিসেবে প্রচার করতে পারে সে দিকে বেশি দৃষ্টি দিবেন। কিছু দিন পরেই দেখবেন, আপনার উদ্দেশ্য সফল হয়েছে।
আপনি আপনার অফিসে বস ও কলিগদের কাছে নিজের ব্যাপারে কোনো পাত্তা পাচ্ছেন না। বসও আপনাকে গণনায়ই ধরে না। মোট কথা আপনি কোনো কাজের না বলেই তারা মনে করে। আপনিও যে অনেক কাজ করে তা তারা জানে না। সুতরাং আপনি দাদার (দাদাকে আপনারা চিনবেন না) পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। দাদার মতো করে, আপনিও সবসময় বসের সামনে দাঁত কেলিয়ে নিজের প্রতিদিনের কাজের বিবরণ দিতে থাকুন। প্রতিদিন একটি কাজ নিয়েই বসে থাকুন। যদি কেউ অন্য কোনো কাজের কথা বলে, তখন বলুন, আপনার হাতে কোনো সময় নেই। আপনার কাজের অনেক প্রেসার। দেখবেন, কেউ আপনাকে আর ঘাটবে না। উল্টো তারাই বলতে থাকবেÑ হ্যাঁ, তাই তো, উনার হাতে অনেক কাজ; উনাকে বিরক্ত করা যাবে না।
নিজের ঢোল পেটানোর আরো অনেক গল্প আছে এবং আরো আছে কিছু কলাকৌশল। কিন্তু আজ সব বলা যাবে না। আগামীর জন্য অপো করতে হবে। তত দিন নিজেই চেষ্টা করুন।

Sunday, 18 November 2012

এক যে ছিল রাজা

 
তোমরা অনেক মজার মজার গল্প জানো নিশ্চয়ই। কেউ কেউ হয়তো ভূতপ্রেতের কিসসা জানো। আবার কেউ বা জানো রাজা-রাজড়াদের গল্প। এমন অনেক গল্প আছে যা অনেক পুরনো দিনের। কিন্তু সেইসব গল্প শুনলে তোমরা চমকে উঠবে। তোমরা অনেক কিছু জানতে পারবে। এসব গল্পে হয়তো হাসাহাসির খোরাক নেই। নেই রমরমা কোনো ভয়ের বিষয়। তবে এসব গল্প শুনলে তোমরা হয়তো ভাববে, এসব ঘটনাও কি আসলে সম্ভব। মানুষ কি এমন হতে পারে! কিংবা মানুষের পক্ষে এমন করা আদৌ কি সম্ভব। এসব কাহিনী শুনে তোমরা অবাক হয়ে যাবে। আজ এমনই এক কাহিনী তোমাদের শোনাব।


 
সে অনেক অনেক দিন আগের কথা। এক ছিল মস্তবড় রাজা। তার ছিল বিশাল বড় এক রাজ্য। এত বড় রাজ্য তখন কোথাও ছিল না। আজো এত বড় রাজ্য দুনিয়ার মানুষ দেখেনি। অথচ সেই রাজার ছিল অতি সাধারণ এক রাজপ্রাসাদ। সেই প্রাসাদে কোনো জাঁকজমক ছিল না। রাজপ্রাসাদের সিংহদরজায় ছিল না কোনো পাহারাদার। রাজার নিরাপত্তার জন্য কোনো সৈন্যসামন্ত ছিল না। সেই রাজপ্রাসাদ উজির-নাজিরদের ভিড়ে গমগম করত না। রাজার প্রাসাদে দাসদাসীদের কলরবও শোনা যেত না। রাতের বেলায় নানা রঙের বাতির মহড়াও চোখে পড়ত না রাজপ্রাসাদে। আর রাজার অবস্থা তো ছিল আরো করুণ। তাকে দেখলে কে বুঝবে যে তিনি এত বিশাল রাজ্যের মালিক। তার গায়ে জরির পোশাক নেই। মাথায় স্বর্ণের মুকুটও নেই। রাজার পায়ে সোনালি নাগরাও নেই। রাজা যখন চলেন তার আগে-পিছে শত শত সৈন্যসামন্ত বা দাসদাসীর লটবহর দেখা যেত না। সেই এক অদ্ভুত রাজা ছিলেন তিনি। আর অদ্ভুত ধরনের ছিল তার রাজপ্রাসাদ। আমাদের অতিপরিচিত এই রাজা ছিলেন এক গরিব রাজা। গরিব হলে কী হবে, রাজার ছিল দুনিয়াজোড়া নাম। তার ছিল বিশাল রাজ্য। তার ক্ষমতাও ছিল অসীম। তার নাম শুনলেই আশপাশের বড় বড় রাজা ভয়ে থরথর করে কাঁপত। তার রাজ্যে কোনো অভাব-অনটন ছিল না। রাজ্যের মানুষ সুখশান্তিতে বাস করত। সেই রাজ্যে উঁচু-নীচুর কোনো ভেদাভেদ ছিল না। রাজার রাজ্যে হানাহানি-দলাদলি ছিল না। সবাই মিলেমিশে বাস করত তার রাজ্যে। সেই রাজ্যের মানুষ সদাই হাসিখুশিতে দিন কাটাত। রাজাও ছিল বড় সচেতন। তার দেশের কোনো মানুষ না খেয়ে না পরে থাকুক সেটা রাজা চিন্তাও করতে পারত না। তাই সে রাতের আঁধারে ঘুরে বেড়াত মানুষের দ্বারে দ্বারে। কে কোথায় কিভাবে আছে, তাদের অবস্থা নিজ চোখে দেখার জন্য সে ব্যাকুল থাকত। সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়ত গরিব রাজা ঠিক তখনই বেরিয়ে পড়ত তার প্রজাদের খোঁজে। সে বলত, আমার রাজ্যে একটি কুকুরও যদি না খেয়ে মারা যায় তাহলে এর জন্য আমাকেই মহান প্রভুর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। কেমন অপূর্ব মহৎ ও দরদি ছিল সেই রাজা।
একদিনের ঘটনা। রাজা আপন মনে ঘুরে বেড়াচ্ছিল মদিনার অলিগলিতে। চার দিকে তখন ঘন অন্ধকার। মদিনার মানুষেরা সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। কোথাও কোনো সাড়াশব্দ নেই। রাজা ঘুরতে ঘুরতে এক জায়গায় এসে দেখল অনতিদূরে ক্ষীণ আলো জ্বলছে। রাজা বুঝল কেউ হয়তো জেগে আছে। তার মনে অজানা এক বিপদের আশঙ্কা জাগল। তাই সে এগিয়ে গেল। সামনে এগোতেই রাজার চোখে পড়ল একটি তাঁবু। সে আরো কাছে গেলে বাইরে থেকে এক দৃশ্য দেখে রাজার মন খারাপ হয়ে গেল। সে দেখল এক মহিলা উনুনে পানি জ্বাল দিচ্ছে আর পাশে বসে তার ছোট ছোট ছেলেমেয়ে কাঁদছে। রাজা অনেকক্ষণ একই দৃশ্য দেখে অবাক হলো। তাই সে কাছে এগিয়ে গিয়ে মহিলাকে পানি জ্বাল দেয়ার কারণ জিজ্ঞেস করল। মহিলা লোকটির কথা শুনে অশ্রুসজল হয়ে উঠল। তার বাকরুদ্ধ হয়ে গেল। তারপর অনেক কষ্টে মহিলা বলল, ‘আমার ঘরে কোনো খাবার নেই। ছেলেমেয়েরা না খেয়ে আছে। ুধার জ্বালায় কাঁদছে। তাই তাদের মিথ্যা বুঝ দেয়ার জন্য খালি হাঁড়িতে মিছেমিছি পানি জ্বাল দিচ্ছি।’
মহিলার দুঃখের কথা শুনে রাজার মন বিষাদে ভরে উঠল। সে এই অবুঝ শিশুদের ব্যথা দেখে মর্মাহত হলো। তৎক্ষণাৎ রাজা মহিলাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলল, একটু অপেক্ষা করো মা, আমি এক্ষনি আসছি। এ কথা বলেই সে বেরিয়ে পড়ল। একটু পরই বায়তুলমাল থেকে খাবারের বোঝা নিজের পিঠে বহন করে মহিলার তাঁবুতে পৌঁছে দিলো। মহিলা এগুলো দিয়ে খাবার তৈরি করে ুধার্ত ছেলেমেয়েদের খাওয়াল। এতে মহিলা খুবই খুশি হলো। এই অবস্থা দেখে রাজার মনও পরম তৃপ্তিতে ভরে উঠল। মহিলার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে এবার রাজা গভীর রাতে রাজপ্রসাদে ফিরে গেল। প্রজার সেবা করতে পেরে সে প্রভুর শুকরিয়া আদায় করল।


এই মহান রাজার জীবনের আর একটি ঘটনা। একদিন তার বেগম তাকে বলল, বহুদিন ধরে জয়তুন তেল দিয়ে শুকনো রুটি খেতে খেতে মুখে একদম অরুচি ধরে গেছে। যদি একটু মধুর ব্যবস্থা করা যেত তাহলে মন্দ হতো না। রাজা বেগমের কথা শুনে ভাবল। সেও যে এ রকমই চিন্তা করছিল। কিন্তু মধু আনার সামর্থ্য যে তার নেই। যা ভাতা পায় তা দিয়ে মধু জোগাড় করা খুব কটিন। বহু ভেবে বেগম একটা উপায় বের করল। সে বলল, বায়তুলমাল থেকে কিছু দিরহাম ধার নিলেই তো হয়ে যায়। পরে তা ধীরে ধীরে শোধ করার ব্যবস্থা করা যায়। বেগমের কথা রাজার মনঃপূত হলো। তাই সে বায়তুলমালের প্রধানের কাছে যাওয়ার জন্য মনস্থ করল। এমন সময় রাজার পুত্র বলল, বাবা! আপনি কি মনে করেন যে আপনি আগামীকাল পর্যন্ত বেঁচে থাকবেন?

রাজা জবাব দিলো, মানুষের তো এক মুহূর্তও বেঁচে থাকার সুযোগ নেই।
এবার পুত্র বলল, তাহলে আপনার ঋণ করে ভালো খাবার জোগাড় করা কি ঠিক হবে? এ কথা শুনে রাজার মন কেঁপে উঠল। তাই তার আর মধু খাওয়া হলো না। এই মহান লোকটির নাম কি তোমরা অনুমান করতে পারো? এত সহজ-সরল, খোদাভীরু ও প্রজাবৎসল রাজার কথা কি কল্পনা করা যায়! অথচ তিনি অর্ধেক দুনিয়ার মালিক। এই মহারাজা আর কেউ নন, ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত উমর রা:। তিনি উমর ইবনে খাত্তাব। তার শাসনব্যবস্থার নজির আজো বিরল। উমরের রা: শাসনের মতো সুন্দর ও শান্তিময় অবস্থা আজো দুনিয়ায় কায়েম হয়নি। এই মহান ব্যক্তির জীবনে এ রকম আরো অনেক অনুপম ও শিক্ষণীয় ঘটনায় পরিপূর্ণ। তোমরা বড় হয়ে তার বিশাল জীবনচরিত পড়লে আরো অনেক কিছুই জানতে পারবে। তিনি ৫৮৩ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১০ বছর ছয় মাস ক্ষমতায় ছিলেন। হিজরি ২৩ সালে এই মহান ব্যক্তি ইন্তেকাল করেন।

না খাওয়ার দল

 
না খেয়ে বেঁচে থাকা দুনিয়ার কোনো প্রাণীর পক্ষেই সম্ভব নয়। পেটে দানাপানি না পড়লে কেমন লাগে, এক বেলা না খেয়ে থাকলে হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যায়। এর পরও এমন কিছু প্রাণী আছে, ক্ষুধা যারা অনেক দিন দমিয়ে রাখতে পারে।


মরুর জাহাজ উটের কথাই ধরো না। দিগন্তবিস্তারী মরুভূমিতে চাঁদি ফাটানো রোদের মধ্যে মানুষসহ বোঝা নিয়ে ক্লান্তিহীন হেঁটে যায় তারা। দিনের পর দিন এভাবেই কাটে। এ সময় খাবার না পেলেও ক্ষুৎপিপাসায় কাতর হয় না ওরা। এর কারণটি হচ্ছে উটের পিঠে পাহাড়ের মতো উঁচু হয়ে থাকা কুঁজ। এই কুঁজ পুরোটাই চর্বির ভান্ডার। উট যখন না খেয়ে থাকে, এই চর্বি হজম হয়ে তার টিকে থাকার শক্তি জোগায়। এ ছাড়া উটের গলার ভেতর পানি জমিয়ে রাখার থলে রয়েছে। এ সঞ্চয় তার পানির চাহিদা মেটায়।
সাপেরও খিদে ঠেকিয়ে রাখার ক্ষমতা দারুণ। অনেক সাপই একটানা এক বছর না খেয়ে থাকতে পারে। সুস্বাদু মাছ স্যামন প্রায় নয় মাস না খেয়ে থাকতে পারে। সাগর থেকে এই মাছ যখন ঝাঁক বেঁধে নদীর উজানের দিকে ছোটে, এ সময় না খেয়ে থাকে ওরা।
ভালুকদের মধ্যে বাদামি গ্রিজলি ভালুক অতিকায় একটি প্রাণী। দেহ যেমন, খায়ও তেমন। তবে খিদে চেপে রাখতেও কম পটু নয়। শীতকালে এই ভালুক নির্জন কোনো নিরাপদ স্থানে শীতঘুমের আয়োজন করে। এ সময় পুরোটা শীতকাল ঘুমিয়ে কাটায় ওরা। এতে একটানা সাত মাস না খেলেও কিছু হয় না ওদের। ঠিক উটের মতো গায়ে জমে থাকা চর্বি খাবারের কাজ সারে।
ইংরেজিতে ওদের বলে ‘হানিপট অ্যান্ট’। বাংলায় ‘মধুপিঁপড়া। শরীরের চেয়ে বড় গোলগাল একটা মধুর পোঁটলা নিয়ে ঘোরে ওরা। সঙ্গে মধু নিয়ে ঘুরলে কী হবে, উপোসে কম যায় না। একটানা ছয় মাস না খেলেও কাহিল হয় না ওরা।

সামুদ্রিক প্রাণীর মধ্যে বিশাল খাদক বলে কুখ্যাতি আছে তিমির। এ ক্ষেত্রে অ্যান্টার্কটিকার সাগরজলে বাস করা ‘সাউদার্ন রাইট হোয়েল’ একটানা চার মাস না খেয়ে থাকতে পারে।
মেরু অঞ্চলের পাখি এমপেরর পেঙ্গুইন বা রাজ পেঙ্গুইনও না খেয়ে থাকতে পারে অনেক দিন। ডিম থেকে ছানা ফোটার পর কনকনে হিম পরিবেশে ওটাকে আগলে রাখে বাবা পেঙ্গুইন। আর মা যায় সাগরে মাছ ধরে আনতে। এ সময় মাস তিনেক একদম খেতে পারে না বাবা পেঙ্গুইন।
ওয়েডেল সিলের বেলায় এমন কষ্ট পোহাতে হয় মাকে। নতুন বাচ্চাটিকে আগলে রাখতে গিয়ে পুরো তিন সপ্তাহ না খেয়ে থাকতে হয় তাকে।

Saturday, 17 November 2012

যে দিন আমায় হারাবে


GKw`b Avwg P‡j hv‡ev wKQzB bv e‡j
†mw`b Zzwg Kuv`‡e শুধুy Si‡e AkÖæ evo‡e †e`bv
†hw`b Avwg i‡ev bv †mw`b Zzwg GKv i‡e 
mewKQzB eyS‡Z cvi‡e hLb Avgvq nviv‡e| 
†hgb dyj dz‡U S‡i hvq †euvUv c‡o _v‡K 
†Zvgvi ü`q Kuv`‡e †mw`b †h w`b Avgvq nviv‡e|