Sunday, 6 January 2013

সুস্থ্য থাকার ২০ নিয়ম



একেবারে ফিট থাকতে গেলে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। সুস্থ শরীর তার সঙ্গে শান্তিময় জীবন লাভ করতে কে না চায়। কিন্তু বিশৃঙ্খলার আড়ালে জীবনটাই এলোমেলো হয়ে যায়। থাকে না শান্তি, থাকে না স্ব্বস্তি। সুস্থ থাকার কিছু সূত্র আছে। সেগুলো কী তা জেনে নিই।

■ প্রতিদিন খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠে দুই অথবা তিন কি.মি. হাঁটুন। এরপর গোসল করে প্রার্থনা করুন। এতে মন এবং প্রাণ সতেজ থাকবে।

■ সব সময় সোজা হয়ে বসুন।

■ যখনই খাবার খাবেন তখন ভালো করে চিবিয়ে খাবার গ্রহণ করুন। এতে পাচন ক্রিয়া ঠিক থাকবে।

■ মোটা হওয়ার প্রধান কারণ হলো তৈলাক্ত এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া। তাই এ ধরনের খাবার খুব কম খান।

■ সম্ভব হলে সপ্তাহে একদিন উপোস করে শরীরে খাবারের সমতা বজায় রাখুন।

■ গাড়ি থাকলেও খুব বেশি গাড়ি চালাবেন না। বেশিরভাগ সময় হেঁটেই কাজ সারুন। এতে পায়ের মাংসপেশীর ব্যায়াম হবে। আপনি দীর্ঘদিন সুস্থ থাকতে পারবেন।

■ বেশি পরিমাণে সবুজ শাক-সবজি আর ফলমূল খান।

■ ঘরের সব কাজ নিজে করারই চেষ্টা করুন।

■ ব্যস্ত থাকাটা শরীর ও মন—দুয়ের পক্ষে ভালো। তাই কাজে যতটা সম্ভব ব্যস্ত থাকুন।

■ আপনার রুচি ও ব্যক্তিত্ব অনুয়ায়ী পোশাক পরিধান করুন।

■ শরীরের নিয়মিত যত্ন নিন। শরীরের সৌন্দর্য বজায় রাখুন।

■ গরমের দিন রাতে শোয়ার আগে গোসল করুন, এতে ঘুম ভালো হবে।

■ রাতে শোয়ার আগে ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। শরীরের প্রত্যেকটা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ রোম ছিদ্রের মধ্য দিয়ে শ্বসন প্রক্রিয়া চালায়। সে কারণে শোয়ার আগে ঢিলেঢালা পোশাক পরে ঘুমানো উচিত।

■ চুলের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখুন। কারণ চুল হলো সৌন্দর্যের অঙ্গ। সম্ভব হলে সপ্তাহে একদিন হার্বাল শ্যাম্প দিয়ে মাথা ধৌত করুন।

■ প্রতিদিন অন্তত ১০ মিনিট ধ্যান করুন। এতে মানসিক শান্তি পাবেন। তার ওপর মনের জোরও বাড়বে।

■ ক্রোধ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চলুন।

■ কথার উপরে সংযম রাখুন। আপনার কথায় কেউ যেন মানসিক দুঃখ না পায়। সেটা মাথায় রেখে কথা বলুন।

■ রাতে শোয়ার সময় মনে কোনো চিন্তা রাখবেন না। সুস্ব্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য গভীর ঘুম অত্যন্ত জরুরি।

■পেশাগত কোনো সমস্যা থাকলে সে সমস্যাকে না জিইয়ে রেখে তা মেটানোর চেষ্টা করুন।




হায়রে চুল পড়া সমস্য


প্রতিদিন এক’শ টা চুল পড়া নাকি স্বাভাবিক। কিন্তু কে আর গুনে রাখে।
তবে এটা ঠিক চুল পড়ে, এটা আমরা বলে থাকি, সব বয়সের ছেলে মেয়ে এ কথা বলে থাকে।
কারন চুল পড়ে গেলে নিজের কাছে খারাপ লাগে।
এই চুল পড়া সমস্য থেকে বাচাঁর জন্য প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে কী কারনে আপনার চুল পড়ছে। কারন টা খুজে বের করে আগে সেই সমস্য সমাধান করতে হবে। তখন আপনার-আপনিই চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
নানা কারনে আমাদের মাথার চুল পড়ে থাকে। যেমন- চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন না হলে,অ্যানিমিয়া থাকলে, মানসিক স্ট্রেক-টেনশনে, চুলে খুশকি ,বড় কোন অসুখে ভূগলে।আর যে কোন কারনে চুল পড়োক না কেন কিছু নিয়ম মেনে চললেই সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়।

++নিন্মে কিছু নিয়ম দেওয়া হল--------

* সাপ্তাহে একদিন অন্তত ডিমের কুসুমের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ অলিব অয়েল মিশিয়ে পুরো চুলে লাগান। এক ঘন্টা পর চুল শ্যাম্পু করে নিন।

* নারিকেল তেলের সাথে দারুচিনি গুড়া করে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করলেও চুল পড়া বন্ধ হয়।

* ঘোমানোর আগে মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে হালকাভাবে চুল আচড়ে নেবেন।
এতে চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন হয়ে থাকে।

* আমলকি ও জবাফুল নারকেল তেলে ফুটিয়ে বোতলে ভরে রাখুন। শ্যাম্পু করার আগে ওই তেলে চুলের গোড়ায় ম্যাসেজ করেন।

* সবুজ সাকসবজি ফলমূল বেশি খান।

* বেশি করে প্রোটিনযুক্ত খাবার ও প্রচুর পানি পান করুন

আমার মনে হয় এই সামান্য কাজ করলেই আমরা চুল পড়া সমস্যা থেকে সমাধান পেতে পারি.........
আবার আসব অন্য কোন বিষয় নিয়ে ততক্ষন অপেক্ষা করুন। ভালথাকা হয় যেন সবার ।

ছেলেদের ত্বকের যত্ন



 একটা সময়ে সৌন্দর্য চর্চা ছিল শুধুই মেয়েদের অধিকারে। কিন্তু কালের পরিক্রমায় বদলে গেছে অনেক কিছুই। বর্তমানে সৌন্দর্য চর্চার বিষয়ে ছেলেরাও সমান সচেতন। আর তাই ভীড় বাড়ছে জেন্টস পার্লারগুলোতে। কেন নয়? সজীব আর প্রানবন্ত থাকতে ত্বকের প্রতি একটু বেশি যত্নবান তো হতেই হবে। ছেলেরা কীভাবে ত্বক সজীব রাখবেন, জেনে নিন কিছু টিপস-

ত্বকের যত্ন: এসময় ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। ত্বক সুন্দর রাখতে কেমিক্যালের চেয়ে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা ভালো। কেননা কেমিক্যাল ব্যবহারে ত্বকের কোমলতা ও উজ্জলতা কমে যেতে পারে। মুখ ও গলায় আলু, পাতিলেবুর রস, কচি শশার রস ব্যবহারে ভাল ফল পাওয়া যায়।

আলু পানিতে ধুয়ে পাতলা করে কেটে মুখ ও গলায় ১০ মিনিট ঘষতে হবে। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে ত্বকের সজীবতা ফিরে আসবে।

পেপে, গাজর, শশা, কমলা, আপেল পেষ্ট করে স্ক্রাব তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন। আর বাসায় এসব করতে না চান তাহলে জেন্টস পার্লার ও সেলুনে গিয়ে ত্বকের পরিচর্যা করাতে পারেন।

মাসে অন্তত দুইবার ফেসিয়াল করা উচিত। ফেসিয়াল করলে ত্বকের ব্লাক হেডস দূর হয়ে যায়। যারা সময়ের অভাবে অথবা অনভ্যস্ততার কারনে পার্লারে পরিচর্যা করতে পারেন না, তাদের জন্য ঘরে বসে ত্বকের পরিচর্যার দুটি সহজ পদ্ধতি-

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য: যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা দুই চামচ কাঠবাদাম বাটা এবং মুগ ডাল গুড়োর সাথে ১চা চামচ গোলাপ জল দিয়ে পেষ্ট তৈরি করে মুখ ও গলায় মেখে ২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে আলতো ভাবে ঘষে ঘষে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দুইবার এভাবে ত্বকের পরিচর্যা করুন।

শুষ্ক ত্বকের জন্য: শুষ্ক ত্বকের জন্য দুই চা চামচ মুগ ডাল গুড়ো, সমপরিমান ময়দা , দুই চামচ আর্মন্ড ওয়েল, দুই চামচ প্রিপারমিন্ট ওয়েল সেই সাথে এক চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন। মুখ ও গলায় মেখে ২০ মিনিট রাখুন। এবার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে মশ্চারাইজার মাখুন।

নিয়মিত পরিচর্যায় ত্বক হয়ে উঠবে কোমল ও উজ্জল


ভেষজ উপায়ে ত্বক ও চুলের যত্ন



সব ধরনের ত্বকের জন্যই আছে ভেষজ পদ্ধতিতে রূপচর্চা। সুস্থ আর সুন্দর ত্বক কে না চায়। আর সুন্দর ত্বকের জন্য দরকার হয় আলাদা যত্নের। প্রত্যেক মানুষের ত্বকের ধরন আলাদা আর ত্বকের ভিন্নতার কারণে যত্নও নিতে হয় একটু ভিন্ন উপায়ে। যাঁদের ত্বক কিছুটা সংবেদনশীল, তাঁদের জন্য রাসায়নিক দ্রব্যাদি দিয়ে তৈরি প্রসাধনসামগ্রী ত্বক সহ্য করতে পারছে না। তাঁদের জন্য রয়েছে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক গুণসমৃদ্ধ ও ভেষজ উপায়ে তৈরি রূপচর্চার নানা উপকরণ। চাইলে ঘরে বসে কিংবা পার্লারে গিয়েও আপনি ভেষজ উপায়ে রূপচর্চা করতে পারেন।

ত্বক সাধারণত তিন ধরনের হয়ে থাকেঃ তৈলাক্ত, শুষ্ক ও সাধারণ। এই তিন ধরনের ত্বকের জন্য চাই তিন ধরনের রূপচর্চা।

ত্বক যখন তৈলাক্তঃ
যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, তাঁদের বারবার মুখ ধুতে হবে। কেননা, পানি ত্বকের জন্য উপকারী। মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে শসার রস, মেথির গুঁড়া ও চালের গুঁড়া দিয়ে প্যাক তৈরি করে লাগানো যায়। নিয়ম করে সকালে আর বিকেলে প্যাক ব্যবহার করলে মুখের তৈলাক্ত ভাব কেটে যাবে। এতে ব্রণ হওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়।

শুষ্ক ত্বকের জন্যঃ
যাঁদের ত্বক শুষ্ক, তাঁদের জন্য রয়েছে রূপচর্চার অন্য উপায়। কাঠবাদাম, সয়াবিন পাউডার ও দুধ দিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে দিনে অন্তত একবার মাখলে ত্বক অনেক মসৃণ হয়ে যায়। এতে শুষ্ক ভাবটা কমে যায়।

স্বাভাবিক ত্বকের বিশেষ যত্নঃ
অনেকে মনে করেন, যাঁদের স্বাভাবিক ত্বক, তাঁদের হয়তো রূপচর্চার দরকার নেই। বিষয়টি কিন্তু একদমই তেমন নয়। স্বাভাবিক ত্বকের জন্য রয়েছে বিশেষ যত্ন। আমলকী, সয়াবিনের গুঁড়া ও সামান্য একটু কাঁচা হলুদ আর মধু মিশিয়ে ঘরে প্যাক তৈরি করে লাগাতে পারেন।

ত্বক থাকুক তরুণঃ
ত্বকে বয়সের ছাপ যেন না পড়ে, সে জন্য তিল, পুদিনাপাতা, সয়াবিন পাউডার, কাঁচা হলুদ আর মধু দিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে নিয়ম করে সকালে মাখুন। এসব প্যাক ঘরে তৈরি করে ফ্রিজে রেখে অনায়াশেই কয়েক দিন ব্যবহার করতে পারেন।

চুলের যত্নঃ
শুধু নারকেলের তেল নয়, নারকেলের সঙ্গে তিলের তেল মিশিয়ে নিলে চুল ভালো থাকে। আমলকী, হরীতকী, বহেড়া, ভৃঙ্গরাজ আর মেথি একসঙ্গে মিশিয়ে পিষে পেস্ট করে চুলে মেখে রাখুন। এরপর কলাপাতায় চুল পেঁচিয়ে কিছু সময় রেখে শ্যাম্পু করলে চুল হবে ঝরঝরে। আলাদা করে কন্ডিশনার ব্যবহার না করে আমলকী সেদ্ধ করে পানি ছেঁকে ওই পানি দিয়েও কন্ডিশনারের কাজ করা যায়। এই ভেষজ উপকরণগুলো বাজারে কিনতে পাওয়া যায়।

শুধু প্যাক তৈরি করে ত্বকে আর চুলে মাখলেই হবে না; খাবারের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। ত্বক সুন্দর রাখতে ভেতর থেকে ভালো থাকা প্রয়োজন। এ জন্য প্রচুর পানি আর ফল খেতে হবে। সকালে খালি পেটে থানকুনিপাতার রস কিংবা কাঁচা হলুদের রস খেলে পেট পরিষ্কার হয়, ত্বক ভালো থাকে।

নগরের বিভিন্ন পার্লার আজকাল ভেষজ বা হারবাল রূপচর্চার সেবা দিয়ে থাকে। ভেষজ রূপচর্চায় ফল একটু ধীরে পাওয়া যায়। তবে এটি সম্পূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত পদ্ধতি।


হারিয়ে যাওয়া পাসওয়ার্ড নিমিষেই উদ্ধার করুন সহজেই:




আমরা বিভিন্ন প্রয়োজনে নানা ধরনের ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করে থাকি। কিন্তু আমরা যদি ঐ সময় আইডি এবং পাসওয়ার্ড কোথাও সংরক্ষন করে না রাখি এবং পরবর্তীতে পাসওয়ার্ড ভুলেই তাহলে ঐ সব সাইটে আর লগইন করা সম্ভবপর হয় না। এ সব ক্ষেত্রে মনে হয় ইস, কোনভাবে যদি আবার পাসওয়ার্ডগুলি ফিরে পাওয়া যেত! হ্যা, আপনার মনের ইচ্ছা পূরণ করতে পারে মজিলা ফায়ারফক্স। ফায়ারফক্স ব্যবহারকারীরা খুব সহজেই তাদের আইডি এবং পাসওয়ার্ড উভয়ই ফিরে পেতে পারেন। কিভাবে আপনি আপনার পাসওয়ার্ড ফিরে পেতে পারেন সেটি নিচে কয়েকটি ধাপে দেখানো হল। তো বন্ধুগণ নিচে বর্ণিত ধাপগুলি অনুসরণ করে ফিরিয়ে নিন আপনার হারিয়ে যাওয়া পাসওয়ার্ড।


১. মজিলা ফায়ারফক্সের Tools এ ক্লিক করুন

২. এরপর option এ ক্লিক করুন

৩. এবার বেশকিছু ট্যাব ওপেন হবে। এখান থেকে Security Tab এ ক্লিক করুন

৪. তারপর নিচের দিকে থাকা Saved Password এ ক্লিক করুন

৫. এরপর পাসওয়ার্ড দেখতে Show Password এ ক্লিক করুন।

৬. এবার ‍Are you sure you wish to show your password? এই লেখাটি আসবে। আপনি Yes এ ক্লিক করুন।

৭. তারপর ফায়ারফক্স আপনার বিভিন্ন সাইটের সকল সেভ করা পাসওয়ার্ড প্রদর্শন করবে।
 

ঘুমহীন পরদিন...


ঘুম। কর্মব্যস্ত সারা দিনের পর অপেক্ষার সেই নিঝুম শান্তি। নগরজীবনের নানা দুশ্চিন্তায় ব্যাঘাত ঘটে নিঝুমপুরের সেই শান্তির। নানা ঝামেলার কারণে চোখের পাতা এক করা হয় না হয়তো কারও কারও। তাই বলে যে পরদিন কর্মব্যস্ত নগর নির্দিষ্ট সময়ে জেগে উঠবে না, তা কিন্তু নয়। আর তার সঙ্গে তাল মেলাতে হবে আপনাকেও। ঘুমহীন সারা রাতের যে ছাপটুকু আপনার চেহারায় ফুটে ওঠে, একটু কৌশলে তাকে করে ফেলতে পারেন আড়াল।
এসিআই লিমিটেডের মানবসম্পদ নির্বাহী ফারহানা ফাবিন বলেন, ‘হাতে সময় থাকলে সকালে গোসল করতে পারলে অনেকখানি ক্লান্তি কমে যায়। এরপর ভালোভাবে সকালের নাশতা খেতে হবে। রাতে ভালো ঘুম না হলে সকালে ঠিকমতো নাশতা না করলে ক্লান্তি ভাব আরও বেশি ফুটে ওঠে। আমি নিজেও ক্লান্তিকে দূরে সরিয়ে রাখতে এ কাজ করি। এ ছাড়া অন্যদিনের তুলনায় একটু পরিপাটি হয়ে যাওয়া। চোখে কাজল, হালকা রঙের আইশ্যাডো ও মাশকারা ব্যবহার করলে ক্লান্তি ঢেকে যায়। পোশাক হিসেবেও উজ্জ্বল রঙকে প্রাধান্য দিতে পারেন।’
রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা বলেন, ঘুম মানুষকে সারা দিনের ক্লান্তি দূর করে পরবর্তী দিনের জন্য তৈরি হতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। যদি কোনো কারণে ঘুম না হয়, তা হলে চেহারায় ক্লান্তি ভাব ফুটে ওঠে। শুধু তা-ই নয়, ত্বকে ব্রণ, চোখের নিচে কালি পড়াসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। এসব সমস্যা এড়ানোর জন্য ত্বকের চাই বাড়তি পরিচর্যা।
সকালে বিছানা ছাড়ার পরপরই গোসলটা সেরে নেওয়া যেতে পারে। জলকল বা শাওয়ারের নিচে চোখ বন্ধ করে খানিক সময় দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন। এতে ক্লান্তি ভাব কাটিয়ে ফুরফুরে আমেজ পাবেন।

চেহারার ক্লান্তি ভাব দূর করতে ময়দা, টমেটো, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে সারা মুখে লাগিয়ে নিন এবং ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।




ত্বকে দুধ ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে খানিকক্ষণ ম্যাসাজ করতে পারেন। যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, তাঁরা এ মিশ্রণের সঙ্গে দু-তিন ফোঁটা লেবুর রস যোগ করে নিন। ত্বকের ক্লান্তির ছাপ দূর করতে চালের গুঁড়া ও শসার রস মেশানো পেস্ট কিছু সময় লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলতে পারেন।


ঘুম না হলে যাঁদের ত্বকে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়, তাঁরা ঘুমাতে যাওয়ার আগে শসার রস দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। ব্রণের উঁচু ভাব কমাতে সকালে ব্রণযুক্ত স্থানে লবঙ্গের গুঁড়া লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। তারপর ধুয়ে নিন। দেখবেন ব্রণের উঁচু ভাব কমে গেছে।  যাঁদের ব্রণের সমস্যা বেশি, তাঁরা মেথির গুঁড়া পানিতে গুলিয়ে সারা মুখে লাগাতে পারেন। এটি ভালো পরিষ্কারকের কাজ করে। চোখের নিচে কালি পড়তে দেখলে কাঠবাদামের পেস্ট অথবা গোল আলুর রস লাগাতে পারেন। সকালের সময়টা নাশতা বানানো কিংবা নিজে তৈরি হওয়া, অন্যদের তৈরি করে দেওয়া—সব মিলিয়ে খুব ব্যস্ততায় কাটে। এ সময় একটু কৌশলে নিজের জন্য ঘরের কোণে একটি বাটিতে পানি দিয়ে তাতে রেখে দিতে পারেন একটি বেলি ফুলের মালা। শোয়ার ঘরে সবুজ লতানো দু-একটা গাছও থাকবে। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ঘুমাতে যাওয়ায় চেষ্টা করুন। দুশ্চিন্তাগুলো রেখে দিন পরদিনের জন্য। ভাবতে থাকুন সুন্দর ও ইতিবাচক ভাবনা। অন্তরে ভালো লাগা তৈরি হলে ঘুমপরিরা এমনিতেই এসে ভিড় করবে আপনার চোখের পাতায়।


Saturday, 5 January 2013

ছোট-বড় পেটুকেরা


ওরা সারাক্ষণ করে খাই-খাই। কারও বা আবার প্রমাণ সাইজের খাবার দেখলে হুঁশ থাকে না। সে খাবার হোক না নিজ আয়তনের চেয়ে বড়, ঘপাৎ করে গিলে ফেলবে।
আর্জেন্টিনায় এক ধরনের ব্যাঙ পাওয়া যায়, যা আর্জেন্টাইন হর্নড ফ্রগ বলে পরিচিত। এটাকে প্যাকম্যান ফ্রগও বলে। বাংলায় বলতে পারো শিঙেল ব্যাঙ। তা যা-ই বলো না কেন, ব্যাঙটি বেজায় পেটুক। পোকামাকড় তো খায়ই, ইঁদুর বা গিরগিটি পেলেও ঝাঁপিয়ে পড়ে। এমনকি তার চেয়ে বেশ বড় কোনো প্রাণীকে চওড়া মুখ দিয়ে শিকার বানাতে পরোয়া করে না। ব্রাজিল আর উরুগুয়েতেও এই ব্যাঙের দেখা মেলে।
পেটুক বা খাদক হিসেবে খুদে শুঁয়াপোকার জুড়ি মেলে না। একটি শুঁয়াপোকা ২০ দিনেরও কম সময়ে তার ওজন ১০ হাজার গুণ বাড়াতে পারে। আর তা বাড়ায় গাছের লতাপাতা বা ছাল বাকল খেয়ে।
খুদে প্রাণীর কথা যখন এসেই গেল, বিশ্বের সবচেয়ে ছোট পাখি হামিংবার্ড আর বাদ থাকবে কেন? সাইজে ওরা এইটুকুন হলে কী হবে, খাদক হিসেবে ভয়ংকর। প্রতি ১০ মিনিট পর খাবার চাই। একটি হামিংবার্ড এক দিনে গড়ে কত খাবার খায় জানো? শরীরের মোট ওজনের দুই-তৃতীয়াংশ পরিমাণ খাবার।
মাটি আর আকাশের পেটুকদের কথা তো বলা হলো, এবার একটু পানির নিচে ঘুরে আসা যাক। টাইগার শার্ক বলে যে বাঘা হাঙর রয়েছে, দুনিয়ার কোনো খাদক ওদের সঙ্গে টক্কর দিতে পারবে না। কারণ, ওরা সামনে যা দেখে, তা-ই খায়। শিকারিরা এসব হাঙর ধরার পর পেট চিরে স্যামন মাছ বা কাছিমের মতো উপাদেয় খাবারের সঙ্গে মানুষের ব্যবহার করা বর্ম, কোট, জুতা, লাইসেন্স নম্বর বসানো ফলক, টিনের পাত্র ইত্যাদি পেয়েছেন।
তবে পানিতে বাস করা প্রাণীর মধ্যে পেটুক-রাজ হচ্ছে নীল তিমি। একটি নীল তিমি প্রতিদিন গড়ে সাড়ে তিন হাজার কেজির বেশি খাবার খেয়ে থাকে। খাবারের তালিকায় সবচেয়ে বেশি থাকে ক্রিল বলে পরিচিত এক ধরনের খুদে সামুদ্রিক প্রাণী।
রক্তচোষা নিশাচর প্রাণী বা ভ্যাম্পায়ার হিসেবে ড্রাকুলা গল্প-উপন্যাসে দাপিয়ে বেড়ালেও আসল রক্তচোষা হচ্ছে ‘ভ্যাম্পায়ার ব্যাট’। ওরা এক ধরনের বাদুড়। রক্ত ছাড়া ওদের বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। এই বাদুড় প্রতিদিন বিভিন্ন প্রাণীর শরীর থেকে নিজ ওজনের চেয়ে বেশি পরিমাণ রক্ত পান করে।
‘তাসমানিয়ান ডেভিল’ বলে অস্ট্রেলিয়ায় একটি স্তন্যপায়ী মাংসাশী প্রাণী রয়েছে। ওরা সাধারণত মৃত প্রাণী পছন্দ করে। মাত্র আধা ঘণ্টায় প্রাণীটি নিজ ওজনের ৪০ শতাংশ খাবার সাবাড় করতে পারে।






সুকণ্ঠের কোকিল


মধুর কণ্ঠে গান
সুরের কলতান
জীবন কলরব
থেমে গেছে সব।
ফকির লালন সাঁই
কণ্ঠে তোলেন হাই।

ধুলোয় ওড়া সুর
মেঘ ভেজা দুপুর
অতল নদীর জল
এখনি নিষ্ফল।
হাছন রাজা কয়
এ কী অবক্ষয়!

গানের মঞ্চে ঢং
গ্রামোফোনে জং
তবলাতে নেই তাল





সুকণ্ঠের আকাল
কোকিল গেল কই?
খোঁজ পাঠ্যবই।

মাঝির কণ্ঠে গান
জলের কলতান
সুরের কলরব
থেমে গেছে সব।
শিল্পী গেল কই
খোঁজ করো টিপসই।




 


প্রশ্ন এক উত্তর অনেক



একি, তোমার গালে লিপস্টিকের দাগ?
না মানে, আমদের কলিগ মাখন ভাইয়ের ছোট্ট মেয়েটাকে কোলে নিয়েছিলাম তো। কী যুগ এসেছে, দেড় বছরের মেয়েরাও আজকাল লিপস্টিক লাগায়।

একি, তোমার গালে লিপস্টিকের দাগ?
ও এই কথা, অফিসে আজ ড্রেস অ্যাজ ইউ লাইকে পার্টিসিপেট করেছিলাম। মুখে হালকা রংটং দিতে হলো। ভালো করে ধোয়া হয়নি মনে হয়।

এ কি, তোমার গালে লিপস্টিকের দাগ?
এফডিসিতে গিয়েছিলাম। নায়ক ছাকিফ খানের সঙ্গে দেখা হতেই কোলাকুলি করলাম। এরাও দেখি শুটিংয়ের সময় মেয়েদের মতো লিপস্টিক পরে। কী হাস্যকর বলো তো!

একি, তোমার গালে লিপস্টিকের দাগ?
আরে না, লিপস্টিক হবে কেন? রিটায়ার করার পর একটি বাড়ি করব বলে রঙের দোকানে একটু ঢুঁ মেরে এলাম। রিয়াটারমেন্টের তো আর মাত্র ১০ বছর বাকি। ওখান থেকেই হয়তো গালে রংটং লেগেছে।

একি, তোমার গালে লিপস্টিকের দাগ?
হাঃ হাঃ, কী যা-তা বলছ। একটা ব্রন হয়েছিল ওখানে, চিকিৎসকের পরামর্শে অয়েন্টমেন্ট লাগিয়েছি। অয়েন্টমেন্টের রংটা একটু লাল ছিল। হাই পাওয়ারের অয়েন্টমেন্ট তো!

একি, তোমার গালে লিপস্টিকের দাগ?
ও, এটা নিশ্চয়ই শফিকের কাজ। তোমার কাছে আমাকে ফাঁসানোর জন্যই আমার অজান্তে গালে এটা লাগিয়ে দিয়েছে। ওই যে মনে নেই? আগে একবার আমার শার্টে একটা লম্বা চুল দিয়ে তোমার কাছে ফাঁসিয়েছিল, তুমি তো বিশ্বাসই করতে চাও না।

দাঁত কিড়মিড় করে কেন?


অনেক সময় খুব রেগে গেলে আমরা দুপাটি দাঁত চেপে ধরি, কিড়মিড় আওয়াজ করে দাঁতে দাঁত ঘষি। ঘুমের সময় বা অবচেতন মনেও এ রকম হয়। এটা একধরনের অসুখ। বাচ্চারা ঘুমের মধ্যে দাঁত ঘষলে অনেক সময় বলা হয় কৃমির জন্য এ রকম হচ্ছে। কিন্তু এর কারণ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা এখনো একমত হতে পারেননি। তবে সবাই মনে করেন, অতিরিক্ত মানসিক চাপ, খাওয়ার গন্ডগোল, মন হালকা করতে না-পারা প্রভৃতি কারণে এ রকম হয়ে থাকে। এ কারণে খাওয়ায় অরুচি, নির্ঘুম, দাঁতের মাড়ি ফোলা প্রভৃতি সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঘুমের মধ্যে দাঁত জোরে ঘষাঘষির কারণে দাঁতের পাটি, গাল, ঘাড় ও মাথাব্যথা হয়। দাঁতের ক্ষয়ও হতে পারে। এ জন্য ঘুমের সময় একধরনের দাঁতঢাকনা ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সবচেয়ে ভালো হলো ব্যায়াম। মুখমণ্ডল ও ঘাড়ের পেশি সংকোচন-প্রসারণে সুফল পাওয়া যায়। দিনে বেশ কয়েকবার এ ব্যায়াম করলে ভালো। প্রচুর পানি পান ও পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। মানসিক চাপ কমানো ও অস্থিরতা দূর করার জন্য কতগুলো সাধারণ ব্যায়াম রয়েছে, যেমন: নিয়মিত মাঝারি গতিতে একটানা আধা ঘণ্টা হাঁটা, গভীর শ্বাসপ্রশ্বাস, হাত-পায়ের প্রসারণ (স্ট্রেচিং), হাতের কবজি, কনুই, কাঁধ, পায়ের গোড়ালি, হাঁটু, ঊরু প্রভৃতি অস্থিসন্ধি হালকাভাবে ঘোরানো প্রভৃতি।

ফ্যাশন ২০১৩

 

এ রকম লম্বাই থাকবে, নাকি খাটো করে ফেলব? সালোয়ার বানাব, না চুড়িদারের জন্য কাপড় কিনব? নতুন বছরের ফ্যাশন ট্রেন্ড নিয়ে কম-বেশি সবার মধ্যেই জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে গেছে। এই বছরের ফ্যাশন ট্রেন্ডে গত বছরের ছোঁয়া থাকবে, নাকি ২০১৩ সালের ফ্যাশন ট্রেন্ড নতুন চমক আনবে, সে বিষয়ে কিছু ধারণা দিতেই এই প্রতিবেদন।
আড়ংয়ের জ্যেষ্ঠ পরিচালক তামারা হাসান আবেদ বলেন, ‘তরুণদের জন্য এ বছরও উজ্জ্বল রং এবং কালার ব্লকিং বিষয়টি থাকবে। নকশার মধ্যে বড় এবং দেশীয় মোটিফ চলে আসবে। এই বছরও লম্বাটে ধাঁচের কামিজের মধ্যে কলি কাট, ফ্লেয়ার এবং প্লেটস আসবে। সালোয়ারে এক ছাঁট, চোস্ত চলবে।’
কামিজে এর বাইরেও ভিন্নতা আসবে। ঝুল আগের মতোই থাকবে, তবে কমে যাবে আনারকলির মতো ঘেরটা। ফ্যাশন ডিজাইনার এমদাদ হক বলেন, ‘কামিজের নিচের অংশের ঘের কমে যাবে। এ লাইন কাটে বানানো হবে। হাঁটু পর্যন্ত লম্বা কামিজের চল যেমন থাকবে, তেমনি গোড়ালির ওপর পর্যন্ত লম্বাও থাকবে। সালোয়ারের ক্ষেত্রে পাতিয়ালা স্টাইলটি আবার জনপ্রিয়তা পেতে পারে। এ ছাড়া প্যান্ট এবং লেগিংসও থাকবে। শাড়িতে ভারী নকশার কাজ কিছুটা কমে যাবে।’
এ ছাড়া অনুযায়ী সুতির শাড়িতে চওড়া পাড় যোগ হবে। ব্লাউজে নিরীক্ষাধর্মী কাজ হবে বিভিন্ন ধরনের বৈচিত্র্য আনার জন্য।



ছেলেদের পোশাকের ক্ষেত্রেও দেখা যাবে বৈচিত্র্য। শার্টের প্যাটার্নে পাঞ্জাবি বানানো হবে। পাঞ্জাবিতে কলার, বুকপকেট থাকবে। হালকা কাজই প্রাধান্য পাবে বলে জানান এমদাদ হক। পাঞ্জাবির ঝুল বেড়ে যাবে।
কিশোর এবং তরুণদের মধ্যে ব্যাগি প্যান্টস জনপ্রিয়তা পাবে। এ ছাড়া ফতুয়াটাও ফিরে আসবে এ বছর, তবে কিছুটা ভিন্ন ঢঙে। শার্টের চেয়ে কম কিন্তু পাঞ্জাবির থেকে লম্বায় ছোট হবে নতুন ঘরানার এই ফতুয়া। আঁটসাঁট শার্টের চলন দেখা যাবে এ বছর। ছেলেদের জন্য বেগুনি, লাল, কমলা, হলুদ গাঢ় টোনগুলো বেশি ব্যবহার করা হতে পারে।
সাজের ক্ষেত্রেও কিছু পরিবর্তন আসবে। উজ্জ্বল মেকআপের বদলে সাজে অভিজাত টোন আসবে। রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা কামাল বলেন, ‘ট্যান টোনের সাজ এ বছর অনেক জনপ্রিয়তা পাবে। চোখের সাজে বাদামি, তামা, কফি, কালচে গোল্ডেন রংগুলো প্রাধান্য পাবে। এই রংগুলো একজনের ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করে। লিপস্টিকে কালচে লাল, মেরুন, বাদামি রংগুলো বেশি ব্যবহার করা হবে।’ গত বছর চোখের জন্য স্মোকি সাজ, ন্যাচারাল সাজ, ন্যুড লিপসের ট্রেন্ডগুলো এই বছরও থাকবে। চুলে হাইলাইটস এ বছরে অনেকটাই কমে আসবে। পুরো চুলে একই রং ব্যবহারের প্রচলন বাড়বে। ব্লাশঅনে বাদামি রং প্রাধান্য পাবে। গত বছর আঁটসাঁট করে চুল বাঁধার প্রচলন কিছুটা ঢিলে হয়ে আসবে। অর্থাৎ খোলা চুল, হালকা করে চুল বাঁধাটা চলে আসবে সাজসজ্জার ট্রেন্ড লিস্টে।
বাদ যাবে কেন জুতা প্রসঙ্গ। চট করে দেখে নেওয়া যাক ২০১৩ সালে কী ধরনের জুতা জনপ্রিয়তা পাবে। অ্যাপেক্স অ্যাডেলকি ফুটওয়্যার লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার মার্কেটিং খন্দকার স্বনন বলেন, ‘ফ্যাশনেবল জুতার তালিকায় মেয়েদের জন্য প্ল্যাটফর্ম হিল এগিয়ে থাকবে। জুতাতে দেশীয় মোটিফ জামদানি, জ্যামিতিক নকশা ইত্যাদি তুলে ধরা হবে। জুতার ওপর হালকা পুঁতির কাজ প্রাধান্য পাবে। কাপড়ের তৈরি জুতার চাহিদা ইতিমধ্যেই বেড়েছে। সামনে তা আরও জনপ্রিয়তা পাবে।’ ছেলেদের উঁচু গোড়ালির স্নিকার জুতার প্রতি আগ্রহ বাড়বে। কাজের সুবিধার জন্যই ক্যাজুয়াল এবং হালকা ওজনের জুতা তরুণদের ফ্যাশনের তালিকায় চলে এসেছে। এই বছরও চলবে।


পায়ের দুর্গন্ধ


শীত এলেই হালকা চপ্পলের চেয়ে কেডস বা জুতাকেই প্রাধান্য দেয় ছেলেরা। কিন্তু বিপত্তিটা বাধে জুতা খোলার পর। অনেকের পায়েই দুর্গন্ধ হয়। নিজের সঙ্গে সঙ্গে যে গন্ধে আশপাশের সবাই বিরক্ত হয়ে পড়ে। সবার জন্য যা হয় বিব্রতকর অবস্থা। আর তাই জুতা বা মোজার চেয়ে অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনেকে স্যান্ডেল পরেন। কিন্তু সঠিকভাবে পায়ের যত্ন নিলে পায়ের দুর্গন্ধ এড়িয়ে চলা সম্ভব।
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ আফজালুল করিম বলেন, নানা কারণে পায়ে দুর্গন্ধ হতে পারে। তবে পা অপরিষ্কার থাকলে ছত্রাকের আক্রমণ ছাড়াও সেই পায়ে গন্ধ হতে পারে। পায়ে নানা ধরনের জীবাণু থাকে, তাই তা পরিষ্কার রাখা দরকার। পায়ের ঘাম আটকে সেখান থেকেও দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে।
পায়ের যত্নে তাই একটু সচেতন হলে দুর্গন্ধ এড়িয়ে চলা সম্ভব। তা ছাড়া ভালোভাবে যত্ন নিলে পা থাকবে সতেজ।
রূপবিশেষজ্ঞ তানজিমা শারমিন জানান, শীতে ছেলেদের পায়ে একটু বাড়তি যত্ন প্রয়োজন। কারণ এই সময় অনেকে পায়ে বেশি পানি লাগাতে চান না। তা ছাড়া আবহাওয়ার কারণে এই সময় পা অপরিষ্কার থাকলে ত্বক ফেটে যায়। ঘামের সঙ্গে পায়ে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়।
বাইরে বেরোলে ছেলেদের পায়ে বেশি ময়লা জমে। যা থেকে সহজে পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়। নখ পরিষ্কার না করলে সেখানে ময়লা জমে পায়ে জীবাণু সংক্রমণ হতে পারে এবং নখ সহজে ভেঙে যেতে পারে। পায়ের আঙুলের যত্নেও তাই সচেতন থাকতে হবে। এ জন্য মাসে অন্তত দুবার পেডিকিওর করানো উচিত। এতে নানা ধরনের ফুট ম্যাসাজ করানো হয়। নখ কাটা, আঙুল পরিষ্কার, পায়ের গোড়ালি ইত্যাদি স্থানে জলপাই তেল ও লোশন ব্যবহার করা হয়। পেডিকিওরে মরা চামড়া সহজে তুলে ফেলা হয়। পায়ের ত্বক শুষ্ক হলে জলপাই তেল বা গ্লিসারিন ব্যবহার করা উচিত বলে জানান তানজিমা শারমিন। পায়ে বাতাস চলাচল করতে না পারলে সেখানে ঘেমে গন্ধ হয়। তাই জুতা কেনার সময়ে এদিকে লক্ষ রাখা উচিত।

ঘাম প্রতিরোধ করতে
যাঁদের পায়ে দুর্গন্ধ হয় তাঁরা মোজা ব্যবহারে একটু সচেতন থাকুন। বাতাস চলাচল করে এমন নরম মোজা ব্যবহার ভালো। মোজা নিয়মিত পরিষ্কার করে শুকাতে দিন। জুতা রোদে শুকিয়ে নিতে পারেন। এ ছাড়া খোলামেলা স্থানে জুতা রাখুন। বেশি পুরোনো স্যান্ডেল না পরাই ভালো। বাজারে ঘাম প্রতিরোধক লোশন পাওয়া যায়, এটিও ব্যবহার করতে পারেন।